সাহসী ও বুদ্ধিমান বিবেকানন্দ



   ✍️রাজা দেবরায়

স্বামী বিবেকানন্দ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন বলে একটা সমালোচনা আছে। আসলে ঐ সময়টা মনে মনে চিন্তা করতে হবে। আজ তিনি যে সর্বত্র পূজিত হন সেটা এমনিতেই হতো না। তাঁর সমসাময়িক অনেকেই এই স্থানটা পাওয়ার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। তাছাড়া স্বামী বিবেকানন্দ 'ব্রাহ্মণ' যে ছিলেন না, সেটাও বুঝতে হবে।

স্বামী বিবেকানন্দ চিকাগো/শিকাগো থেকে ফেরার পরে ব্রাহ্মণগণ তাঁর সাথে দেখা করতে আসেননি। দক্ষিণেশ্বরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁর প্রয়াণের পরেও ব্রাহ্মণগণ দেখতে আসেননি। আর সেসময় ব্রাহ্মণদের কথাই মান্যতা পেতো সবসময়। ফলে এরকম একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে স্বামী বিবেকানন্দকে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে হয়েছে যেগুলো সচরাচর ব্রাহ্মণগণ বলতেন।

স্বামী বিবেকানন্দ অসম্ভব সাহসী, দার্শনিক, সুশিক্ষিত, দারুণ বুদ্ধিমান ছিলেন। তাই চট করেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য যা যা প্রয়োজন হতো তাই করতে পারতেন এবং করেছিলেন। আবার অনুকূল পরিবেশেও যা যা করার কথা ছিলো তাই করতেন এবং করেছেন।

আসলে শ্রীরামকৃষ্ণ যেমন তাঁকে আগলে রেখেছিলেন তাঁর গানে মোহিত হয়ে, তাঁর ব্যক্তিত্বে মোহিত হয়, তাঁর শিক্ষাদীক্ষায় মোহিত হয়ে, তেমনি তাঁর বিরোধীও ছিলেন অনেক। বিশেষত রামকৃষ্ণ মিশন করার সময় দেখা গেছে সেটা। তবে তিনি তখন স্বামী বিবেকানন্দ হয়েছিলেন বলে কোনো বিরোধীতাই ধোপে টেকেনি। নিজের প্রচেষ্টায়, নিজের দমে করে দেখিয়েছেন। স্বামী বিবেকানন্দকে ভালোভাবে পুরোপুরি বুঝতে গেলে বিশেষত শেষ দিকের লেখা বা চিঠিগুলো পড়তে হবে।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ