সই আমি তোমার প্রেমে
অমর হতে চাই ।
এ জনমে তো তুমি আর
আমার হলে না ।
মৃত্যুর ওপারে না হলেও
পরের জনমে দেখা হবে ।
কোনো এক শান্ত নদীর তীরে ,
অথবা বিহঙ্গের কিচির মিচির ভিড়ে-
কোনো এক কৃষ্ণচূড়ার নীচে
অথবা পদ্ম দীঘির পাড়ে ।
আমি ডুবে থাকবো
কৃষ্ণা রায়ের কবিতায় ।
তাই এখন থেকেই
ভাগ্য দেবতার কাছে বলি
জনম জনম
তোমাকেই চাই ।
তাই রোজ মৃত্যু দেবতার কাছে বলি ,
মৃত্যুর পরেও যদি কোনোযন্ত্রণা থাকে ,
তবে আমার শত পূন্যের বদলে
সেই যন্ত্রণা আমায় দিও ।
কিন্ত তার বদলে শ্যামের ভাগ্যে
রাই এর নামটি লিখে দিও ।
তাই রোজ ভাগ্য দেবতার কাছে বলি -
মৃত্যুর পর যদি মানুষ না করো -
তবে আমায় আকাশ করে দিও ।
আর তুমি ঐ পূব আকাশের
তারা যেও।
আমি দুই হাত মেলে তোমার -
জড়িয়ে নেবো ।
আর তুমি মিট মিট করে
আমার বুকে হাঁসবে।
রোজের তারা দের মাঝে-
আমার কৃষ্ণা পক্ষের দ্বাদশী তিথির
তুমি তারাটি কে যদি খুঁজতে
শত শত বর্ষ কেটে যায় ।
তবে আমি মহাশূন্যে
খুঁজে বেড়াবো।
অপেক্ষা করবো হেমন্তের -
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আর
জ্যোৎস্না-প্লাবিত রাতে ।
হেমন্তের কুয়াশাতে যখন তুমি নেই ,
নেই জ্যোৎস্না-প্লাবিত রাতে ।
ভাববো নবযৌবনা রূপ নিয়ে
আসবে আগামী বসন্তের কোনো -
এক সুপ্রভাতে।
তুমি আসবে হঠাৎই
ঝলমলিয়ে ।
তখন কন্ঠে আমার সুর ।
আমার কলমে তখন ছন্দরা পাবে প্রাণ ।
তখন হাতে তোমার পত্রপল্লব ।
খোপাতে অজস্র জংলী ফুল ।
তখন মনে হবে আমার-
মৃত্যু টা যেনো সার্থক ছিল ।
কারণ তোমার এই রুপ ,
আমার হৃদয়ে -
প্রেমের নতুন
জন্ম দিলো ।
0 মন্তব্যসমূহ