✍️মাধুরী লোধ
শ্রাবণের মেঘ ভ্রুকুটি হেসে বলে জল ভরে নাও পুকুর ডোবা খাল বিল নদী নালা
গাল পেড়ে বলো না যেনো জলের ঠেলায় ভেসে যাচ্ছে সব কিছু এ যে ভারী জ্বালা মহা জ্বালা !
উজানের জল ভাসাচ্ছে নদী মাঠের ফসলের উপর থৈ থৈ দুহাত চারহাত জল
এতো জল এতো জল জলের ঠেলায় অতীষ্ট জন জীবন মানুষ যাচ্ছে শরণার্থী শিবিরে চারদিকে গেলো গেলো কোলাহল ।
শ্রাবণের মেঘ আরো বলে আমাদের কি দোষ পৃথিবীর জলবায়ু মানে না মানুষের নিয়ম কানুন
এখানে ভাসায় ঐ খানে পোড়ায় বুঝি না আকাশের মতি গতি যার যা আছে কপালে মানতে হবে মানুন ।
আকাশে বারমাস থাকে মেঘ করে ছুটাছুটি হুটাহুটি দৌড়ঝাঁপ দিন রাত মানে শীত গ্রীষ্ম মানে না পৌষ পাবন বা ভাদ্র আশ্বিন
ক্ষনে ক্ষনে বদলায় সাজ পোশাক নীল সাদা আকাশী বেগুনী কালো হলুদ সবুজ মেঘ গুলো ছুটছে আপন খেয়ালে মানে না কি রাত কি দিন ।
ছয়টি ঋতু বারমাস বদলায় মেঘের রূপ যৌবন বৈশাখী কালবৈশাখী ,আষাঢ শ্রাবণে ঘন কালো শ্রাবণ ধারা আর শরতের আকাশ ঘন নীল সাদা মেঘের ভেলায় মেঘেদের লীলা খেলা
কার্তিক অগ্রহায়ণ এ ঘনকুয়াশা মাঝে মাঝে কার্তিকের তুফান আর পৌষ মাঘের যম শীত থামিয়ে দেয় মানুষের সহজ চলা
ফাগুনী বসন্তে মেঘেদের আহা কি রঙ্গ জাদু আকাশে বাতাসে যেদিকে তাকাই যেন উড়ে সাতরঙা আবীর ছটা
মেঘ গুলো উড়ে উড়ে চলে জানিনা সেখানে আছে কিনা বিউটি পার্লার নয়তো কিভাবে হয় আকাশেরএতো সাজের ঘটা ।
বুঝি না যে আকাশের মতিগতি কি কি নিয়মে চলে আকাশের ঘর কে রাজা কে বা প্রজা কে রাধে কে বাড়ে খাদ্য পরিসেবা
রোদ বৃষ্টির আজব খেলায় কার ক্ষতি কার লাভ হাট বাজারের কি দশা দুর্দশা পৃথিবীতে বসে কি করে বলবো মেঘেদের কেন এতো দৌড়ঝাঁপ কান্না ।
আলো আঁধার জল বিদ্যুৎ এর অধিকারী তো আমাদের মহাকাশ সেখানে কি কি আজব খেলা ধূলা হয় সে আমাদের আয়ত্বের বাইরে
আমারা মানুষ সীমিত সাধ্য জন্ম বিবাহ মত্যু আর সীমিত আয়ুর পরিধি এ পৃথিবীতে নশ্বর দেহী আকাশের হিসেব নিকেষ শুধু দেখে খুশি ভাইরে ।
0 মন্তব্যসমূহ