নুডলসের গপ্পো (৫ম পর্ব)

                 
                   ✍️রাজা দেবরায় 


গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম, একটি অতি জনপ্রিয় নুডলস্ কোম্পানি তাঁদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি ব্যবহার করেননা। তার মানে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট যে ভালো সেটা বলা যায়না (যদিও তৃতীয় পর্বে আবার বলা হয়েছে, এটা যে খারাপ এরকম কোনও গবেষণায় বা পর্যালোচনায় পাওয়া যায়নি), তা না হলে এই অতি জনপ্রিয় কোম্পানি এটা লিখতেইবা যাবেন কেনো!

এবার তাহলে একটু পেছন দিকে তাকানো যাক। ১৯৬৮ সাল। নিউইয়র্কের রেস্তোরাঁয় ডাঃ রবার্ট কুয়ক্ (Robert Kwok) আর পাঁচদিনের মতোই কাঁটায় জড়াচ্ছিলেন নুডলস্। হঠাৎ অনুভব করলেন হাতটা কেমন যেন অবশ হয়ে আসছে। পরে এই অবশ অনুভূতিটা হাত ছাড়িয়ে ঘাড়ে এবং সেখান থেকে শরীরের পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। সমস্ত শরীর জুড়ে একটা অবসন্ন ভাব। হৃদপিণ্ডের গতিটা হঠাৎ বেড়ে গেছে। তিনি কোনোক্রমে নিজের বাড়িতে ফিরে এলেন। আরও দুই ঘন্টা এরকম অবস্থা বজায় ছিলো, তারপর ধীরে ধীরে অস্বস্তি আর অবশ ভাবটা কমেছে।

পরে তিনি অনুসন্ধান করে জেনেছিলেন যে যাঁরা চাইনীজ খাবারের খুব ভক্ত, তাঁদের অনেকেরই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরপরই ব্যাপারটা নিয়ে আরও অনুসন্ধান শুরু হয় এবং তখনই জানা যায় যে এর পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ রাসায়নিক, যাকে সংক্ষেপে বলে MSG অর্থাৎ Monosodium Glutamate।

(চলবে)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ