✍️ মায়া রানী মজুমদার
রাসলীলার মাহাত্ম্য
শুন দিয়া চিত্ত,
রাস মানেই রস
লীলা মানে নৃত্য।
এক অঙ্গের'ই দুই রূপ
শ্রীকৃষ্ণ আর রাধা,
ভিন্ন দেহে জন্ম নিয়েও
ছিল মিলনে বাধা।
গোপীগণ সনে রাধা
জল ক্রীড়া করে,
যত গোপীগণের পরিধেয়
বস্ত্র রাখে উপরে।
শ্রীকৃষ্ণ চুপিসারে বস্ত্র
রাখে বৃক্ষের উপরে,
সবাকার বস্ত্র নাহি হেরে
গোপীরা উঠে স্নান সেরে।
গোপীদের সাথে লীলা
করে শ্রীকৃষ্ণ কানাই,
কার্তিকের পূর্ণিমা তিথি
ছিল শুভ ঐ দিনটাই।
রস রঙ্গে মেতেছিলেন
জগতের প্রভু শ্রীনাথ,
প্রতিজন গোপী সনে
নৃত্যে মত্ত জগতের নাথ।
প্রতি বৎসর কার্তিকের
শুভ পূর্ণিমা তিথিতে,
রাসলীলা হয় উদযাপিত
এই শুভ তিথি মতে।
রঙ্গরসে আছে কন্টক
আছে কতো বাধা,
বৃন্দাবনে করে লীলা
শ্রীকৃষ্ণ আর রাধা।
রঙ্গ লীলায় হয়ে মত্ত
আনন্দে হন মগন,
নরনারীর লীলাক্ষেত্রও
সুমধুর বৃন্দাবন,
প্রেম লীলায় কৃষ্ণ আর
রাধা বিনোদিনী।
অষ্ট সখী রেখে রাধা
হন উন্মাদিনী,
বৃন্দাবনে রাধা কৃষ্ণের
দেখে প্রেম লীলা,
দেখাদেখি নরনারী মর্ত্যে
করে প্রেম খেলা।
সর্ব কর্মেই আছে বাধা
রেখো চোখে জড়তা,
যথাসাধ্য করো চেষ্টা
রাখতে সম্ভ্রমতা।
0 মন্তব্যসমূহ