নিসর্গের টানে

✍️ প্রবীর পাঁন্ডে

মনে হয় যেন কোনো অতিদূর দেশে
যাই চলে,চিরনিশা আঁধারের শেষে-
লোকালয় হতে দূরে তপোবন মাঝে
যেথা স্বর্ণপ্রভা দেবী অপরূপ সাজে;
সোনার আঁচল পেতে মনোহর বেশে
উন্মুক্ত গগন তলে রহিয়াছে বসে। 
হেরি চারিধারে তার সৌন্দর্যের রাশি 
রাঙা চরণের তলে পড়িতেছে খসি।

যেথা দেবী উষারানি ভোরবেলাকায়
কুঙ্কুম রঞ্জিত রাঙা সোনালি আলোয়-
মাধবীলতার মতো বাহুযুগ মেলে
সৌন্দর্যের সুধারস আনে ধরাতলে। 
জ্যোৎস্নার শুভ্রলোকে পূর্নিমার রাতে
যেথা নীল পরীগণ সখিগণ সাথে, 
নির্মল স্ফটিক স্বচ্ছ স্নিগ্ধ সরোবরে 
প্রণয় উচ্ছ্বাসে মেতে জলকেলি করে। 

যেথা মেঘমুক্ত শুভ্র নীলিমা আকাশ-
চারিদিকে বহে শুধু প্রশান্ত বাতাস-
চির বসন্তের সেই সবুজ প্রদেশে
ঝরনার কলস্রোতে গান ওঠে ভেসে;
যেথা নাহি অন্ধকার- আছে মহাদীপ্তি
জীবনের তৃষা নাহি-আছে চিরতৃপ্তি
নাহি কোনো কোলাহল, নাহি কোনোজন
শুধু বন বালিকার নীরব গুঞ্জন। 

জন কোলাহল হীন সেই সে নির্জনে
কুসুম আবাস বাঁধি বড়ই যতনে, 
কেতকীর বেড়া ঘেরা আমলকী বনে
সারাদিন রব বসে সবুজের সনে। 
কত না সৌন্দর্য রাশি এ ভরা ভূবনে-
কত না রূপের খেলা মেঘের কাননে-
পলাতক আলো ছায়া গগনে গগনে
সানন্দে করিব পান আমি তা নয়নে। 

আর কোনো কাজ নয় বসি বৃক্ষতলে
হৃদয়ের রূদ্ধ দ্বার দিব আমি খুলে-
যত কথা আছে মম গোপন হৃদয়ে
লিখে যাব কাব্যগীতে সু্র ছন্দ দিয়ে। 
যত গান, যত সুর আছে মর্মস্হলে
গেয়ে যাব কন্ঠ ছাড়ি শূন্যে-জলে-স্হলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ