✍️মিঠু মল্লিক বৈদ্য
একুশের ভোর সমাগত রাষ্ট্রের বুকে
কতো আয়োজন,কতো উদ্ভাবন।
মুকুলিত তাজা গোলাপের সুভাষিত পরিমলে-
শুভ্র মল্লিকায় সজ্জিত মিনার।
কোকিলের মিষ্টি কলতানে;বাউলের গীতে
কৃষ্ণচূড়া ডালের মৃদু সমীরণে,
বাঙ্গালীর স্বপনে-মননে,একুশের ভাবনা,
রকমারী পুষ্পালঙ্কারে অলংকৃত বেদি।
সহসা নি:শব্দ যামিনীর অলৌকিক সুরে
ভেসে আসে কাতর স্বর।
জিজ্ঞাসে আমারে কেন রাখনি প্রতিশ্রুতি?
ভুলে গেলে আত্মত্যাগের কাহিনী?
আমরা তো চাইনি সারম্বরতা,তুচ্ছপ্রমোদ
চেয়েছিলাম তৃপ্তি,ভাষার স্বাধীনতা।
রক্তে কেনা গৌরব সঁপেছিলাম আমরা
কেন তবে এতো অবমাননা?
নারী ছেঁড়া ফুলের বুঝনি যাতনা,
একুশের গর্বে গৌরবান্বিত বাঙ্গালী ;
অথচ গৌরব নিয়েই খেলছে ছিনিমিনি
প্রজন্মরে শিখায় ইংরেজি বুলি।
শিখড়কে ভুলি ডালে ডালে চলো,
নাড়ীর বাঁধন ছিন্ন করি
অন্যরে রাখো আপন স্নেহডোরে বাাঁধি।
চেতনার বহ্নিশিখা উধাও আধুনিকার হাওয়ায়।
আমি নির্বাক,প্রতিভাষ নেই মুখে।
চিটা অবয়বে শহীদ আত্মারা
খোঁজে নেয় উত্তর,ফেলে দীর্ঘশ্বাস
গর্জে উঠে বজ্র নিনাদে।
সহস্র ক্ষোভের ঢেউ উঠে বুকে
অতুষ্ট আত্মারা মুখলুকিয়ে কাঁদে।
শহীদদের আত্মনিনাদ,শত মায়ের কান্না
আজও স্পষ্ট ধ্বনিত কর্ণকুহরে।
একুশের ভোর, ভাসবে প্রভাতফেরীর জনজোয়ারে
মিনারে বইবে পুষ্পাঞ্জলির স্রোত।
রক্তিম সাঁঝে অস্তমিত দিবাকরের সাথে
বোধের অর্চিও মিশবে বিশ্বায়নে।
শপথের কথা পরে থাকে বকেয়া
শহীদদের স্বপ্নভাঙ্গে প্রতি একুশে।
একটি বছরের অপেক্ষায় আবারও দিনগুনে
রঙ্গিন ফুলেরা বিবর্ণ হয় মিনারেই।
0 মন্তব্যসমূহ