বর্ণমালার তরীতে আজ ভাসিয়ে দেবো মন,
শব্দতরী চলছে ভেসে, করতে আয়োজন।
সুপ্রভাতের পাখির ডাকে,রবি জাগে ধরার বুকে,
শিশির ঝরে দূর্বা ঘাসে, হাসতে মনের সুখে।
হাওয়ায় দোলে তাল পাতা,বাবুই বুনে বাসা,
সুখের নীড়ে কাটাবে দিন, মনে ভীষন আশা।
চড়ুই করে কিচিরমিচির থেকে পরের ঘরে,
সে ঘর একদিন পড়লো ভেঙে, কালবৈশাখীর ঝড়ে।
চড়ুই কাঁদে বসে বসে পথ খুঁজে না পেয়ে,
বাবুই তখন মনের সুখে উঠলো গান গেয়ে।
বুলবুলিটার ফোটলো বুলি, শব্দ করে চাষ!
ডোবার জলে মাছ খেয়ে, চড়ে পাতি হাঁস।
ঊষার আলো হাসে তখন শিশির ভেজা ধানে,
দোয়েল কোয়েল গাছে বসে ভাবে মনে মনে-
ধান খাবো আজ মজা করে ক্ষেতের কোনায় বসে,
সেথা, চুপটি করে বসে বসে শিয়াল পন্ডিত হাসে!
নেই কো জানা পাখি দুটির,ভাবলো ফাঁকা মাঠে,
খেয়ে দেয়ে চাষীর ধান তুলবে ওরা লাটে!
উরোৎ পুরোৎ উড়াল দিয়ে পড়লো গিয়ে ধানে,
শিয়াল পন্ডিত খাপটি মেরে মারলো ওদের প্রাণে।
দেখলো চড়ুই চুপিচুপি,পেলো ভীষন ভয়,
অতি লোভে দোয়েল কোয়েল গেলো যমালয়!
আমরা চড়ুই থাকি পরের ঘরে,তাই তো আজ দুঃখ ঝরে,
খাটুনি খেটে বাবুই কেমন রইলো সুখের নীড়ে?
পরের তরে থাকে যারা,হয় না কভু সুখী তারা,
সৃষ্টি সুখের এই দুনিয়ায় এই তো নিয়ম ধারা।
যে পথ আমায় স্বপ্ন দেখায়, বাঁচতে শেখায়-
ছোট্ট বাবুই মনের সুখে ভীষন আত্মহারা।
0 মন্তব্যসমূহ