সুরহীন,শব্দহীন,গতিহীন


✍️সাধন নমঃ

তখনো আকাশ উত্তরের মেঘে মুখভার
চারিদিকে শুধু প্রকৃতির কালো রূপের বাহার।
থেকে থেকে কেঁদে উঠছে ছেলেটা, 
সে কান্না শুধু প্রকৃতি আর চারদেওয়ালের মাঝে। 
ক্ষত-বিক্ষত মনটা আজ যেন বজ্রপাতে পাথর 
রাতের আঁধারটাই একমাত্র মুক্তির পথ।
বেকারত্ব আর যৌবনের সন্ধিক্ষণে সে যেন এক
কাঠগড়ায় ফাঁসির আসামি। 
অর্থ আর উপার্জনের চাবুকে ছেলেটি আজ 
যৌবনের শুকনো ডালে নির্মম পরিহাসের কাক।
সেদিনও প্রতিবাদের সুরে কাঁদতে চেয়েছিল 
কিন্তু সে তো ছেলে, কাঁদতে বারণ  ছিল। 
ইংরেজি আর অঙ্ক কষে কষে হাতটা করেছিলো গাধা 
তাই আজ ইট ভাঙতে, কুলি সাজতে মনটা দেয় বাঁধা। 
তবুও আজ হার মানে নি ছেলেটি 
অঙ্কের ত্রিকোণমিতি ভুলে গিয়ে পথের মোরে বিক্রি করছে ঝালমুড়ি। 
সে কাঁদে,আজও কাঁদে! 
কিন্তু সে কান্না সুরহীন,শব্দহীন, গতিহীন।
মেঘের পরে রোদ আসে, রাতের ঘনঘটার আড়াল থেকে 
সোনামুখি সেই মিষ্টি সূর্যটুকু উঁকি মারে।
আর ছেলেটা!
আজও ধুকে ধুকে কাঁদে,
কিন্তু সে কান্না সুরহীন,শব্দহীন, গতিহীন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ