চন্দন পাল ✍️
ত্রিপুরার সাহিত্য জগতে বাংলা ভাষায় কৃতিত্বের দৃষ্টান্ত রেখেছে বাইখোরার সুমন পাটারী। ২০২২ যুব পুরুস্কার, যা বিভিন্ন রাজ্যের নজর ও গুরুত্ব কেড়েছে।
আরও কত কৃতি, যুব থেকে বয়স্ক হয়ে গেছেন, আবার ভবিষ্যতে হয়ে যাবেন সঠিক সন্ধান ও বাছাইয়ের অপূর্নতায়। এই বাঁছাই ত্রিপুরা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের একটি উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব বলে মনে করি। আমরা জানি সাহিত্যপ্রেমী সুসমাজের সুসৈনিক। তারা সংখ্যায় যত বাড়বে ততই সমাজ দূষণমুক্ত হবে। শালিনতায় গতিমান হয়ে অন্যদেশের সাথে স্পর্ধাতুল্য চমক হবে। তাদের লালন সরকারের পিতৃতুল্য ভূমিকা বলে মনে করি দেশের স্বার্থে । এ ভূমিকা শুধু সাহিত্যে নয় সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে,, যেমনঃ নাচ গান খেলা কলা সেবা ইত্যাদি ইত্যাদি।
অবশ্যই স্থানীয় বোদ্ধা মহলের সহযোগিতা ছাড়া এ বাছাই সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রতি জেলা বা মহকুমা থেকে তিনজন প্রথম সারির বা দ্বীতিয় সারির প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্ব এগিয়ে আসতে হবে যাঁরা গড়িষ্ঠমান্য ও অধিকতর নিরপেক্ষ। একটি লেখা তিনজনের কেউ একজন,,, বুঝতে পারেনি! তা হতেই পারে না। বোদ্ধারা সাহিত্যপ্রেমী, পাঠক, প্রকাশক, অধ্যাপক, সাংবাদিক, তথ্যআধিকারীকও হতে পারেন, এবং তাঁদের মান্য প্রচারও থাকবে।
নির্বাচিত বোদ্ধাদের পরিচয় গোপন রাখা এবং তাঁদের মাসিক বা বাৎসরিক সাম্মানিক দেওয়া আবশ্যক মনে করি, কারণ কাজটিতে মানসিক চাপ আছে।
কাজটির বিভিন্ন শাখা থাকবে ও প্রতি শাখায় নম্বর পদ্ধতি দেওয়া থাকবে। তিনজনের প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে যে বেশি হবে সে বছরের সেরা ক্রমিক হিসাবে গন্য হবেন। তাদেরও বাৎসরিক সাম্মানিকের ব্যবস্থা প্রয়োজন, উৎসাহের লক্ষ্যে। এখানে বিচারকও সাহিত্য রচনার দলে থাকতে পারবেন। আর যদি বিচারক সেরা নির্বাচিত হন সেক্ষেত্রে তার প্রাপ্ত সাম্মানিক অর্ধেক হলেই ভাল হবে কারণ তাঁর একটি বাঁধা সাম্মানিক রয়েছে।
যে শাখাগুলি বিচার করতে হবে,,, (১০ নম্বরের মধ্যে)
সেগুলি হতে পারে,,৷ ১)লেখা ও আচরণের মিল, ২)নিয়মিত কিনা, ৩)বিষয়বার্তার গুরুত্ব, ৪)শিল্পেররূপ, ৫)গঠনপ্রয়োগ, ৬)ভাষা'র সেবা, ৭)শুদ্ধ ও সচেতন সাহিত্যের মাত্রা,,, ইত্যাদি ।
গল্প প্রবন্ধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাময়িকী পত্রিকা বই ও মুঠোফোনে সক্রিয়তার পাশাপাশি উপরোক্ত শাখাগুলির অর্জন দেখা যেতে পারে ।
0 মন্তব্যসমূহ