রাত যত বাড়ে

✒️মধুমিতা চৌধুরী বর্ধন

টিকটিক শব্দে
ঘড়িটা বেজে চলেছে,
চারিদিক নিস্তব্ধ
অন্ধকারে আবৃত।
জানালায় কান পাতলে শোনা যায়
টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ,
দরজার বাইরের দৃশ্যটা ঝাপসা
যেন অনেক দূর পর্যন্ত
কালো চাদরে মোড়া
এ যেন এক
মায়াবী দৃশ্য।
কোন অতৃপ্ত অশরীরীর চলাচল
এই কালো চাদর ভেদ করে,
হয়তো চলে আসবে সে
হতে পারে সে পাশের বাড়ির কেলু।
চাকরিটা যে খোয়া গেল তার
হারিয়ে গেল সে সেই হাজার হাজারের ভিড়ে
পাড়াপড়শিদের গঞ্জনা আর অপমান
কেড়ে নিল কেলুর প্রাণ।
এইতো কিছুদিন আগেই
বাড়ির আম গাছ তলায়
আচমকা জমেছিল ভিড়
কাছে যেতেই দেখেছিলাম
কেলুর বিবর্ণ মুখটা
সেই মুখ যেন ছিল।
এই রাত থেকেও বেশি অন্ধকার
আত্মঘাতী কেলুর
ওই মুখে লুকিয়ে ছিল
শত চিৎকার ও হাহাকার
ছিল অনেক অব্যক্ত কথা।
ছিল শত অভিমান
সব যেন মিশে আছে এই রাতের অন্ধকারে
এই নিস্তব্ধ রাতের গভীরে
এসব ভাবতেই
সমগ্র শক্তি দিয়ে
বন্ধ করে ফেলি দরজা সশব্দে
এরপর আবার সব চুপ
একলা ঘরে রয়েছি বসে একা
এই রাতে যেন
আমিও এক অশরীরী ।
ব্যক্ত করতে চাইছি অনেক কিছু
কিন্তু এই ব্যাকুলতা
কারো কানে পৌঁছবে না
আমিও যেন ভাঙতে চাই
এই নিস্তব্ধতা,
কিন্তু অন্ধকারের আকুলতা নিয়ে
এভাবেই রাত বাড়ে
ঘরে ও বাইরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ