সম্পাদকীয়............✍️
'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' বা ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে মাথা উঁচু করে বিশ্ববাসী 'শহীদ দিবস' হিসাবে জনগনের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন পালন করছে। যার সৃষ্টি বিশ্বের এক শ্রেষ্ঠ জাতি 'বাঙালী'র হাত ধরে, বাঙালী'র রক্তে, ত্যাগে! এই জাতি বিশ্ববাসীকে শিখিয়েছে যে, মাতৃভাষা মায়ের দুধের সমান, আর মাতৃভাষার জন্য যে প্রাণ দেওয়া যায় সেটাও বাঙালী দেখিয়েছে। আমরা ইতিহাস শুনেছি, যখন অধম পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) অপশক্তির বলে পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) বসবাসকারী বাংলাবাসীর জনগনের উপর নানান নির্মম গণহত্যা ও অত্যাচারের মাধ্যমে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন ১৯৫২ সালে( ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) নিজের মাতৃভাষা তথা বাংলাভাষা'কে রক্ষা এবং পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আন্দোলন করে তখন ছাত্রদের উপর পাকিস্তানি পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত আরো অনেকেই। তাই এই দিনটি শহীদ বা দধীচি দিবস হিসেবে চিহ্নিত এবং অমর হয়ে আছে। তারপর ২০১০ সালে জাতিসংঘ গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারী বিশ্বব্যাপী 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে পালন করা হয়।
'নবোন্মেষ' সাহিত্য পত্রিকার ফেব্রুয়ারী ই-সংখ্যা 'মাতৃভাষা' সংখ্যার মাধ্যমে বাংলাভাষা, সমগ্র মাতৃভাষা এবং মাতৃভাষা রক্ষা করতে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অফুরন্ত ভালোবাসা রইল।
ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা
গৌরাঙ্গ সরকার (সম্পাদক,নবোন্মেষ)
ও
শিবশঙ্কর দেবনাথ (সহ-সম্পাদক, নবোন্মেষ)
0 মন্তব্যসমূহ