নবান্নের আনন্দ

   ✍️ মায়া রানী মজুমদার

রোদে পুড়ে জলে ভিজে 
            কৃষক করেন চাষ, 
ফলাবে সোনার ফসল
           কৃষকের এই আশ।
অগ্রহায়ণে কৃষকের আঙ্গিনায়
          সোনার ফসল উঠে, 
গোলা ভর্তিও হয় ধানে
            মুখে হাসি ফোটে। 
শুভ দিন দেখে করে 
          নবান্নের আয়োজন, 
আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব সহ
       করেন সবাই ভোজন।
নতুন ধানের চালের গুড়োয়
       কাজু,কিচমিচ,আদা।
চিনি,নারকেল-কোড়া দিলে 
         হয় একদম সাদা।
অগ্রহায়ণের অগ্রদিনে
         পালিত হয় নবান্ন, 
ঘরে ঘরে খায় সবাই 
          বানিয়ে নবান্ন।
গোবিন্দ ভোগ চালের 
           পিঠে ও পায়েস, 
নলিন গুড় দিলে আরো
            খেতে লাগে বেশ। 
নবান্নে নব বস্ত্র পরিধানে
              হয় সবাই ব্যস্ত,
তারপর রান্নার কাজে
               হয়ে যায় ন্যস্ত।
রান্নার ফাঁকে ফাঁকে 
               চলে নাচ গান, 
আনন্দেতে মাতে সবাই 
           আহ্লাদে আটখান।
প্রতি বছর এমনি ভাবে 
    হয় নবান্নের আয়োজন, 
প্রত্যাশায় গুনি দিন 
          বছর ঘুরবে কখন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ