আমার ছোট্টবেলা

….✍ সঞ্জয় দত্ত

আমি খুব ছোট ছিলাম,

তখন আমাকে কেউ চিনতো না!


কিছু সময়ের জন্য আমি নিঃস্ব,

এই নিঃসঙ্গতা আমায় ভাবায়!


আমার চোখের ঘুম নেই!

আমি চিন্তিত ছিলাম খুব।


এই চিন্তা ভাবনার মধ্যে

ধীরে ধীরে বড়ো হতে লাগলাম।


আমাকে চিনতে পারছে অনেকেই,

সাথে আমিও।


সেই ছোট পরিবারটা আর নেই,

অনেক বড়ো হয়েছে এখন।


দেশ বিদেশে এখন আমার অনেক বন্ধু,

ভালোবাসায় যেন বুক ভরে গেছে।


আমাকে নিয়ে কতো স্বপ্ন  দেখছে!

সেই স্বপ্নের পূর্ণতা দিতে ব্যস্ত আমি।

আমার ছোট্টবেলা

….✍ সঞ্জয় দত্ত

আমি খুব ছোট ছিলাম,

তখন আমাকে কেউ চিনতো না!


কিছু সময়ের জন্য আমি নিঃস্ব,

এই নিঃসঙ্গতা আমায় ভাবায়!


আমার চোখের ঘুম নেই!

আমি চিন্তিত ছিলাম খুব।


এই চিন্তা ভাবনার মধ্যে

ধীরে ধীরে বড়ো হতে লাগলাম।


আমাকে চিনতে পারছে অনেকেই,

সাথে আমিও।


সেই ছোট পরিবারটা আর নেই,

অনেক বড়ো হয়েছে এখন।


দেশ বিদেশে এখন আমার অনেক বন্ধু,

ভালোবাসায় যেন বুক ভরে গেছে।


আমাকে নিয়ে কতো স্বপ্ন  দেখছে!

সেই স্বপ্নের পূর্ণতা দিতে ব্যস্ত আমি।

শ্রাবণ

….✍ আক্তার হোসেন

শ্রাবণ তুমি এসো ফিরে আবার বছর ঘুরে,

তোমার অপেক্ষায় থাকবো আমি চৌরাস্তার মোরে।

গ্রীষ্মের শেষে যখন তুমি এসো বর্ষা হয়ে,

ধূসর কালো পৃথিবীকে সবুজ করো ধুয়ে।

সবুজ ঘাসে সাজিয়ে তুলো গ্রাম বাংলার মাঠ,

তুমি আমার প্রানের স্পন্দন সাঁতার খেলার ঘাট। 

যখন আমি তোমার জন্য থাকি অপেক্ষায়,

বৃষ্টি হয়ে এসো তুমি আমার ঘরের দাওয়ায়।

শ্রাবণ তুমি অঝোর প্রেমে ,

এসো আমার বুকে নেমে।

তোমার প্রেমের শীতল পরশ,

প্রাণে আমার তুলবে হরষ।

কাশ ফুলেরই গুচ্ছ তুলে,

পড়িয়ে দেবো তোমার চুলে।

শ্রাবণ

….✍ আক্তার হোসেন

শ্রাবণ তুমি এসো ফিরে আবার বছর ঘুরে,

তোমার অপেক্ষায় থাকবো আমি চৌরাস্তার মোরে।

গ্রীষ্মের শেষে যখন তুমি এসো বর্ষা হয়ে,

ধূসর কালো পৃথিবীকে সবুজ করো ধুয়ে।

সবুজ ঘাসে সাজিয়ে তুলো গ্রাম বাংলার মাঠ,

তুমি আমার প্রানের স্পন্দন সাঁতার খেলার ঘাট। 

যখন আমি তোমার জন্য থাকি অপেক্ষায়,

বৃষ্টি হয়ে এসো তুমি আমার ঘরের দাওয়ায়।

শ্রাবণ তুমি অঝোর প্রেমে ,

এসো আমার বুকে নেমে।

তোমার প্রেমের শীতল পরশ,

প্রাণে আমার তুলবে হরষ।

কাশ ফুলেরই গুচ্ছ তুলে,

পড়িয়ে দেবো তোমার চুলে।

ফেরত চাই

….✍ মেহেদী হাসান রানা

ফেরত চাই আমার পাঠানো শব্দের প্রতিটি অক্ষর.. 

যেগুলো আমি ধার করেছিলাম বিজয়নগর থেকে,

মৃত ইনকার ভগ্নস্তূপ বেয়ে কুড়িয়ে এনেছিলাম।।


ফেরত চাই আমার শব্দ'দের,

যাদের তুমি পরতে পরতে লাগিয়েছো ইতিহাসের বিবর্ন কালো ছাপ...,প্রতিটি প্রেমের শব্দে মিশিয়েছো ব্যর্থতার চরম পরিহাস..।।


যেসব শব্দ তোমার মায়াবী ঠোঁটে পায়নি স্থান,

যে শব্দে তোমার বন্দরে বাজেনি সাইরেন,

আমি সেই শব্দের প্রতিটি অক্ষর আজ ফেরত চাই 

ছড়িয়ে দিতে চাই শহুরে ওলিতে গলিতে...,

স্লোগানে স্লোগানে ভেসে যাক  আমার শব্দে বাণ..

সহস্র শতাব্দীর পরেও জেগে উঠুক তোমায় পাঠানো প্রতিটি শব্দের মান।।


ভগ্ন হৃদয়ের চরম অস্থিরতায় আমি ফেরত চাই,

ফেরত চাই  পাঠানো প্রতিটি রক্তকনিকার স্রোত,

শিরায় শিরায় ছড়িয়ে দেওয়া শব্দের ঝাঁক।। 


তোমাকে পাঠানো প্রতিটি শব্দ আজ এক্ষুনি ফেরত চাই....।।

ফেরত চাই

….✍ মেহেদী হাসান রানা

ফেরত চাই আমার পাঠানো শব্দের প্রতিটি অক্ষর.. 

যেগুলো আমি ধার করেছিলাম বিজয়নগর থেকে,

মৃত ইনকার ভগ্নস্তূপ বেয়ে কুড়িয়ে এনেছিলাম।।


ফেরত চাই আমার শব্দ'দের,

যাদের তুমি পরতে পরতে লাগিয়েছো ইতিহাসের বিবর্ন কালো ছাপ...,প্রতিটি প্রেমের শব্দে মিশিয়েছো ব্যর্থতার চরম পরিহাস..।।


যেসব শব্দ তোমার মায়াবী ঠোঁটে পায়নি স্থান,

যে শব্দে তোমার বন্দরে বাজেনি সাইরেন,

আমি সেই শব্দের প্রতিটি অক্ষর আজ ফেরত চাই 

ছড়িয়ে দিতে চাই শহুরে ওলিতে গলিতে...,

স্লোগানে স্লোগানে ভেসে যাক  আমার শব্দে বাণ..

সহস্র শতাব্দীর পরেও জেগে উঠুক তোমায় পাঠানো প্রতিটি শব্দের মান।।


ভগ্ন হৃদয়ের চরম অস্থিরতায় আমি ফেরত চাই,

ফেরত চাই  পাঠানো প্রতিটি রক্তকনিকার স্রোত,

শিরায় শিরায় ছড়িয়ে দেওয়া শব্দের ঝাঁক।। 


তোমাকে পাঠানো প্রতিটি শব্দ আজ এক্ষুনি ফেরত চাই....।।

আজগুবি ভাইরাস

   ….✍ ইমরান খান রাজ

আজগুবি এক ভাইরাস এলো

সারা বিশ্ব জুড়ে,

করোনা নাম শুনেই সবাই

পালিয়ে যায় দূরে !


হ্যান্ডশেক আর কোলাকুলি

মানুষ গেছে ভুলে,

করোনাভাইরাস কার সৃষ্টি ?

কে আছে তার মূলে ?


ঈদের দিনেও ছাড় দেয়নি

এ কেমন ভাইরাস ?

বাঁচবে কদিন তাও জানোনা

পাপ করো মাইনাস !


সাবান পানি দিয়ে সবাই

হাত পরিস্কার রাখো,

স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে

স্বাধীন বেশে বাঁচো !

আজগুবি ভাইরাস

   ….✍ ইমরান খান রাজ

আজগুবি এক ভাইরাস এলো

সারা বিশ্ব জুড়ে,

করোনা নাম শুনেই সবাই

পালিয়ে যায় দূরে !


হ্যান্ডশেক আর কোলাকুলি

মানুষ গেছে ভুলে,

করোনাভাইরাস কার সৃষ্টি ?

কে আছে তার মূলে ?


ঈদের দিনেও ছাড় দেয়নি

এ কেমন ভাইরাস ?

বাঁচবে কদিন তাও জানোনা

পাপ করো মাইনাস !


সাবান পানি দিয়ে সবাই

হাত পরিস্কার রাখো,

স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে

স্বাধীন বেশে বাঁচো !

তুমি আজও কিশোরী

….✍ সুস্মিতা মহাজন

মায়াবিনী রূপবতী কন্যা তুমি,

ধরিত্রী তোমার "মা"।

কখনো কূল ভাঙ্গে স্রোতে, 

আবার কখনো গড়ে উঠে পলিতে।


কন্যা তুমি রুপ নেও মাতৃ-

তীরে বুকে বাঁচে হাজারো সন্তান তোমার।

তোমাতেই পূণ্য যেনো;

তোমাতেই ভাসে পাপী। 


বরষাতে পূর্ণ গর্ভ তোমার,

চৈত্রেতে শুষ্ক রূপী।

কূল ভাঙ্গে, কূল গড়ে-

তবু তুমি থামো নাকো।

চলছে তোমার চলন স্রোত, 

চলছেই অবিরাম অবিশ্রান্ত! 

সময় পাল্টে ঘড়ির কাঁটায়, 

তুমি সেই আজও কিশোরী।

তুমি আজও কিশোরী

….✍ সুস্মিতা মহাজন

মায়াবিনী রূপবতী কন্যা তুমি,

ধরিত্রী তোমার "মা"।

কখনো কূল ভাঙ্গে স্রোতে, 

আবার কখনো গড়ে উঠে পলিতে।


কন্যা তুমি রুপ নেও মাতৃ-

তীরে বুকে বাঁচে হাজারো সন্তান তোমার।

তোমাতেই পূণ্য যেনো;

তোমাতেই ভাসে পাপী। 


বরষাতে পূর্ণ গর্ভ তোমার,

চৈত্রেতে শুষ্ক রূপী।

কূল ভাঙ্গে, কূল গড়ে-

তবু তুমি থামো নাকো।

চলছে তোমার চলন স্রোত, 

চলছেই অবিরাম অবিশ্রান্ত! 

সময় পাল্টে ঘড়ির কাঁটায়, 

তুমি সেই আজও কিশোরী।

অবশেষে

**********★**********

….✍ জুয়েল দেব

দিন পেরিয়া রাত হলো,বাবা তো মা আসলো না,

বললে তুমি আসবে বাবা,হাতে নিয়ে জামা খানা।

বাবা যখন আসবে তখন করব আমি বায়না, 

বাবা তখন হাঁসবে আর বলবে কাছে আয় না।


বাবাকে মা দেখিনা বড্ড দিন হলো,

বাবা আমায় একলা ফেলে কেমন করে রইল।।

আসবে বাবা খেলবো মোরা আহা কি আনন্দ,

আসবে বাবা মাংস নিয়ে আহা কি গন্ধ।।


বলছ তুমি আসবে বাবা দুদিন হতে চলল,

বাবা যে কেন আসছে না তা নিয়েই ত দন্ধ।।

আসবে বাবা ঘুরবো মুরা আহা কি আনন্দ,

এই কথা শুনলেই তুমি কেন নীরবে কাঁদ।।


আসবে বাবা দেখবি তুই, কত দেবে যত্ন,

তুই যে বাবার জীবন যুদ্ধের একলা মানিক রত্ন।।

বাবা যে আজ দূর দেশে পাবিনা তার গন্ধ,

বাবা ছাড়াই কাটবে যে তোর জীবন যুদ্ধের ছন্দ।


আসবে না যে পায়ে হেটে,ডাকবে না আর সোনা বলে,

দেখবি তুই আসছে বাবা,চড়ে চার জনার দন্ড।।

মুখ লোকিয়ে কেন আছ? দেখছনা আর তুমি,

বাবা যখন আসবে তখন কাঁদবে না আর তুমি।।

অবশেষে

**********★**********

….✍ জুয়েল দেব

দিন পেরিয়া রাত হলো,বাবা তো মা আসলো না,

বললে তুমি আসবে বাবা,হাতে নিয়ে জামা খানা।

বাবা যখন আসবে তখন করব আমি বায়না, 

বাবা তখন হাঁসবে আর বলবে কাছে আয় না।


বাবাকে মা দেখিনা বড্ড দিন হলো,

বাবা আমায় একলা ফেলে কেমন করে রইল।।

আসবে বাবা খেলবো মোরা আহা কি আনন্দ,

আসবে বাবা মাংস নিয়ে আহা কি গন্ধ।।


বলছ তুমি আসবে বাবা দুদিন হতে চলল,

বাবা যে কেন আসছে না তা নিয়েই ত দন্ধ।।

আসবে বাবা ঘুরবো মুরা আহা কি আনন্দ,

এই কথা শুনলেই তুমি কেন নীরবে কাঁদ।।


আসবে বাবা দেখবি তুই, কত দেবে যত্ন,

তুই যে বাবার জীবন যুদ্ধের একলা মানিক রত্ন।।

বাবা যে আজ দূর দেশে পাবিনা তার গন্ধ,

বাবা ছাড়াই কাটবে যে তোর জীবন যুদ্ধের ছন্দ।


আসবে না যে পায়ে হেটে,ডাকবে না আর সোনা বলে,

দেখবি তুই আসছে বাবা,চড়ে চার জনার দন্ড।।

মুখ লোকিয়ে কেন আছ? দেখছনা আর তুমি,

বাবা যখন আসবে তখন কাঁদবে না আর তুমি।।

এই নিয়ে আঠারো

  ….✍ প্রীতম শীল

এই মেয়ে যাচ্ছিস কোথায়?

-কেনো বলোতো?

না এমনি, গায়ের ও পথে যেতে নেই।

- কেনো কি আছে ও পথে?

ফিরে এসো মেয়ে বেশি প্রশ্ন করোনা।

-না ফিরবোনা যাও!

বেশ যাও তবে আর আটকাবোনা।


কতোগুলো মানুষের কোলাহল--

কি হয়েছে ভাই?

-আর বলবেন না, একটি মেয়ের লাশ।

কই দেখি দেখি!

এই তো সেই মেয়ে যাকে আমি বারন করেছি।

শরীরে কতোগুলো মানুষ রুপি হায়ানার দাগ,

জানতাম আমি জানতাম আমি।

তবে আমার মতো আর কেউ জানতো কিনা, 

কে জানে বাপু ছেঃ ছেঃ ছেঃ।

যাই বাড়ি যাই, কলমে লিখে রাখি *এই নিয়ে আঠারোটা*।

এই নিয়ে আঠারো

  ….✍ প্রীতম শীল

এই মেয়ে যাচ্ছিস কোথায়?

-কেনো বলোতো?

না এমনি, গায়ের ও পথে যেতে নেই।

- কেনো কি আছে ও পথে?

ফিরে এসো মেয়ে বেশি প্রশ্ন করোনা।

-না ফিরবোনা যাও!

বেশ যাও তবে আর আটকাবোনা।


কতোগুলো মানুষের কোলাহল--

কি হয়েছে ভাই?

-আর বলবেন না, একটি মেয়ের লাশ।

কই দেখি দেখি!

এই তো সেই মেয়ে যাকে আমি বারন করেছি।

শরীরে কতোগুলো মানুষ রুপি হায়ানার দাগ,

জানতাম আমি জানতাম আমি।

তবে আমার মতো আর কেউ জানতো কিনা, 

কে জানে বাপু ছেঃ ছেঃ ছেঃ।

যাই বাড়ি যাই, কলমে লিখে রাখি *এই নিয়ে আঠারোটা*।

স্বেচ্ছাসেবক

….✍ শুভজিৎ চক্রবর্তী

  স্বেচ্ছায় সেবক হতে চললাম

       আজ আমি,

  মানুষের সেবা করি,

      চিরকাল আমি

  বৃদ্ধ মায়ের সেবা করলাম

  আজ মনে তৃপ্তি পেলাম,

জনগণের, সমাজের সেবায় ব্রতী হয়ে

জীবন ধন্য হলো আজি আমার,

 একই শব্দ, একই গান

   স্বেচ্ছায় সেবা করা

          আমার কাম।।

স্বেচ্ছাসেবক

….✍ শুভজিৎ চক্রবর্তী

  স্বেচ্ছায় সেবক হতে চললাম

       আজ আমি,

  মানুষের সেবা করি,

      চিরকাল আমি

  বৃদ্ধ মায়ের সেবা করলাম

  আজ মনে তৃপ্তি পেলাম,

জনগণের, সমাজের সেবায় ব্রতী হয়ে

জীবন ধন্য হলো আজি আমার,

 একই শব্দ, একই গান

   স্বেচ্ছায় সেবা করা

          আমার কাম।।

জীবন

**********★***********

….✍দীপা সরকার

ক্লান্ত শরীর নিয়ে দিনের শেষে  যখন ঘরে ফিরি 

আমি আমার শিরদাঁড়া সোজা করতে পারি না

সারাদিন কাজ আর কাজ, 

আষ্টে পিষ্টে ঘিরে ধরে আছে কাজ আমাকে 

ক্লান্তিরা আমার বালিশের পাশে বসে 

কখনো একা বা কখনো সারা পৃথিবীর গল্প নিয়ে আসে

শ্রাবণের বৃষ্টির,  ভাদ্রের তপ্ত রোদের আর মানুষের ইদুর দৌড়ের গল্প শোনায় আমাকে ,


মানুষ শুধু ছুটছে জীবন নামক প্রতিযোগীতয়

কেউ দেশে

কেউ বিদেশে ।

যে যার মতো করে ছুটছে 

আমিও ছুটছি 

তবে সেই ছুটাছুটির মধ্যে  জীবন কে ছুয়ে দেখিনি  কখনো  , 

শহুরে জীবন,  মাথার উপরে ইট আর কংক্রিটের প্রলেপ 

বৃষ্টি রোদ ছুতে পারেনা আমাকে 

সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের খবর ঘড়ি বলে দেয় , 


জীবনের মধ্যে থেকে  জীবনকে 

না ছুঁইয়ে বেঁচে থাকা এমন ভাবেই কাটছে আমার।

জীবন

**********★***********

….✍দীপা সরকার

ক্লান্ত শরীর নিয়ে দিনের শেষে  যখন ঘরে ফিরি 

আমি আমার শিরদাঁড়া সোজা করতে পারি না

সারাদিন কাজ আর কাজ, 

আষ্টে পিষ্টে ঘিরে ধরে আছে কাজ আমাকে 

ক্লান্তিরা আমার বালিশের পাশে বসে 

কখনো একা বা কখনো সারা পৃথিবীর গল্প নিয়ে আসে

শ্রাবণের বৃষ্টির,  ভাদ্রের তপ্ত রোদের আর মানুষের ইদুর দৌড়ের গল্প শোনায় আমাকে ,


মানুষ শুধু ছুটছে জীবন নামক প্রতিযোগীতয়

কেউ দেশে

কেউ বিদেশে ।

যে যার মতো করে ছুটছে 

আমিও ছুটছি 

তবে সেই ছুটাছুটির মধ্যে  জীবন কে ছুয়ে দেখিনি  কখনো  , 

শহুরে জীবন,  মাথার উপরে ইট আর কংক্রিটের প্রলেপ 

বৃষ্টি রোদ ছুতে পারেনা আমাকে 

সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের খবর ঘড়ি বলে দেয় , 


জীবনের মধ্যে থেকে  জীবনকে 

না ছুঁইয়ে বেঁচে থাকা এমন ভাবেই কাটছে আমার।

ইচ্ছে করে বাঁধন হারা

   …….✍বিপাশা দেব
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা 
উড়না  হতে, 
প্রখর তাপে পূর্ণ ছায়া;
কিংবা, 
যুদ্ধের মঞ্চে ফাঁসি, 
বৃষ্টি ভেজা মধ্যাহ্নে আবার ছাতা হয়েও আসি। 
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা
উড়না হতে, 
কচি ঘাসে অস্থির শয়ন, 
কিংবা, 
ঘুমের শিশুর কোমল দোলন ;
দূর্বা ঘাসে ঘিট  দিয়ে আবার গড়ি মনগড়া স্বপ্ন বয়ন। 
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা 
উড়না হতে, 
খোলা আকাশে পাখি হয়ে উড়তে থাকব উচ্ছ্বসিতে, 
কিংবা, নববধূর ঘোমটা হব উসস্রিতে। 
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা 
উড়না হতে, 
আত্মহত্যার অদ্বিতীয় মোড়ল
কিংবা,  মানবিক সম্ভ্রমের পরিচারক। 
ক্রন্দনে সিক্ত হব, রুধির উৎকন্ঠায় রিক্ত হবে প্রত্যয়হস্তী স্মৃতি স্মারক।

ইচ্ছে করে বাঁধন হারা

   …….✍বিপাশা দেব
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা 
উড়না  হতে, 
প্রখর তাপে পূর্ণ ছায়া;
কিংবা, 
যুদ্ধের মঞ্চে ফাঁসি, 
বৃষ্টি ভেজা মধ্যাহ্নে আবার ছাতা হয়েও আসি। 
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা
উড়না হতে, 
কচি ঘাসে অস্থির শয়ন, 
কিংবা, 
ঘুমের শিশুর কোমল দোলন ;
দূর্বা ঘাসে ঘিট  দিয়ে আবার গড়ি মনগড়া স্বপ্ন বয়ন। 
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা 
উড়না হতে, 
খোলা আকাশে পাখি হয়ে উড়তে থাকব উচ্ছ্বসিতে, 
কিংবা, নববধূর ঘোমটা হব উসস্রিতে। 
ইচ্ছে করে বাঁধন হারা 
উড়না হতে, 
আত্মহত্যার অদ্বিতীয় মোড়ল
কিংবা,  মানবিক সম্ভ্রমের পরিচারক। 
ক্রন্দনে সিক্ত হব, রুধির উৎকন্ঠায় রিক্ত হবে প্রত্যয়হস্তী স্মৃতি স্মারক।

দরিয়ার নৌকা

**********★**********
        ….✍ আক্তার হোসেন
নীল দরিয়ার নৌকার সাথে হয়েছে সন্ধি আজ, 
নৌকা বলে ওহে মাঝি তোমায় ছাড়া চলেনা আমার কাজ। 
তোমার বৈঠার স্পর্শে আমি চলছি ওজান–ভাটি, 
তুমি আমার চলার রসদ বন্ধু তুমি খাঁটি।
তোমার ভাটিয়ালি গানের রঙ্গে,
চলবো আমি জল তরঙ্গে। 
পারি দেবো  আজ দূর থেকে অনেক দূরে, 
বর্ষাকালের শ্রান্ত দুপুরে। 
প্রকৃতিতে সাজবে নানান সাজ, 
দুজন মিলে মনের কথা বলবো আমরা আজ।
দরিয়ার সন্ধিক্ষণে সাগর দেবো পারি, 
মিলবো একত্রে যেখানে নৌকা থাকে সারি সারি। 
আমায় তুমি নিয়ে যেও নৌকা গুলোর ভীড়ে, 
থাকবো দুজন তাদের সাথে সাগরেরও তীরে।
রাজার যেমন রাজ্য আছে আমার আছো তুমি, 
তোমায় ছাড়া সাগর পারি কেমনে দেবো আমি।
তুমি আমার পরম প্রিয় পথ চলার সাথী, 
ভালোবাসা থাকবে চিরকাল মাঝি তোমার প্রতি।

দরিয়ার নৌকা

**********★**********
        ….✍ আক্তার হোসেন
নীল দরিয়ার নৌকার সাথে হয়েছে সন্ধি আজ, 
নৌকা বলে ওহে মাঝি তোমায় ছাড়া চলেনা আমার কাজ। 
তোমার বৈঠার স্পর্শে আমি চলছি ওজান–ভাটি, 
তুমি আমার চলার রসদ বন্ধু তুমি খাঁটি।
তোমার ভাটিয়ালি গানের রঙ্গে,
চলবো আমি জল তরঙ্গে। 
পারি দেবো  আজ দূর থেকে অনেক দূরে, 
বর্ষাকালের শ্রান্ত দুপুরে। 
প্রকৃতিতে সাজবে নানান সাজ, 
দুজন মিলে মনের কথা বলবো আমরা আজ।
দরিয়ার সন্ধিক্ষণে সাগর দেবো পারি, 
মিলবো একত্রে যেখানে নৌকা থাকে সারি সারি। 
আমায় তুমি নিয়ে যেও নৌকা গুলোর ভীড়ে, 
থাকবো দুজন তাদের সাথে সাগরেরও তীরে।
রাজার যেমন রাজ্য আছে আমার আছো তুমি, 
তোমায় ছাড়া সাগর পারি কেমনে দেবো আমি।
তুমি আমার পরম প্রিয় পথ চলার সাথী, 
ভালোবাসা থাকবে চিরকাল মাঝি তোমার প্রতি।

রুপকথার দেশ

**********★**********
        ….✍ প্রীতম শীল
এই মেয়ে যাচ্ছো কোথায়?
-- রুপকথার দেশে।
সঙ্গে নিবি আমায়?
-- না, আমি পারবো না।
কেনরে মেয়ে?
-- আমি চিনিনা সে দেশ। 
দাঁড়া আমি নেমে আসি।
-- তুই গাছে কেন?
আমি বাঁশি বাজায় গাছে চড়ে।
-- ও আচ্ছা প্রেমিক নাকি?
না গো মেয়ে না।
-- আচ্ছা নেমে আয়।

রুপকথা আমি গল্পে পড়েছি, যদি চাস নিয়ে যেতে পারি।
-- কেমন সে দেশ?
তবে চল চোখটি বন্ধ কর।
-- হুম করলাম।

একটা ঝর্না আছে, তাতে কতোগুলো রুপালী মাছ খেলছে। আমি তোকে নিয়ে মাছ গুলোকে ধরছি। একটু আদর করে আবার ছেড়ে দিচ্ছি। পুরু ঝর্নায় দুজনে ভিজতে ভিজতে গান গাইছি।  তুই আমার গায়ে জল ছিটিয়ে দিচ্ছিস, আমি তোর খোঁপায় বনোফুলের মালা দিয়ে সাজাচ্ছি।

তার পর দুজনে মিলে সমুদ্রতটে যাই। সেখানে বালু দিয়ে নিজেদের নাম লিখছি। কখনো বালুতে শুয়ে উপরের আকাশটাকে দেখছি। কখনো তোর মায়াবী মুখ।

-- হ্যাঁ আমাদের এই রুপকথার দেশে শুধুই তুই আর আমি। এক আকাশ যেন মুক্ত বিছানা। তারা গুলো দলবদ্ধ ফুল, তুই আর আমি মালী।

মনে হয় রুপকথা দেশের আমি রাজা! তুই আমার রানী। কোনো প্রজা নেই, কোনো বিচার নেই। এক রাজ বাড়িতে আমরা দুজন।   
সে দেশের রাজবাড়ী গাঙচিল সবই আমাদের। 

-- সারাদিন শেষে সন্ধ্যার পুব আকাশের সৃর্য্যটা যখন পশ্চিমে ডুবছে। আমি তোমায় বললাম, আমার ভয় করছে,  তুই আমার হাতটি চেপে ধরে বললি কিসের ভয় আমিতো আছি।
সন্ধ্যা নামার পর বনের কাঠ পুড়িয়ে আগুনের মশাল তৈরি করেছিস। ঠিক যেন সারাদিনের ক্লান্তি শেষে দুটো পাখি নিড়ে ফিরে দুজন দুজনকে দেখছে।

হ্যাঁ ঠিক, আমি তোর বুকে মাথা রেখে আমার শরীরের দীর্ঘ্য উষ্ণতায় তোকে জাপটে ধরেছি।  আমার ঠোঁট তোর ঠোঁটে মিশাতেই---

--চুপ করো,  বন্ধ করো। না আমি যেতে চাইনা এমন রুপকথার দেশে। যেখানে এই পৃথিবীর মতো সমস্ত ভালোবাসার ইতি ঘটে দীর্ঘ্য চুম্বনে।

-- আমি বাড়ি চললাম।
এই মেয়ে শোনো। আরে আরে নাম টাতো বলে যাও।
-- নামটা জেনে নিও প্রতিটা প্রত্যাখ্যান হওয়া প্রেমিকার থেকে। যারা কিনা এমন রুপকথার স্বপ্ন দেখে।

রুপকথার দেশ

**********★**********
        ….✍ প্রীতম শীল
এই মেয়ে যাচ্ছো কোথায়?
-- রুপকথার দেশে।
সঙ্গে নিবি আমায়?
-- না, আমি পারবো না।
কেনরে মেয়ে?
-- আমি চিনিনা সে দেশ। 
দাঁড়া আমি নেমে আসি।
-- তুই গাছে কেন?
আমি বাঁশি বাজায় গাছে চড়ে।
-- ও আচ্ছা প্রেমিক নাকি?
না গো মেয়ে না।
-- আচ্ছা নেমে আয়।

রুপকথা আমি গল্পে পড়েছি, যদি চাস নিয়ে যেতে পারি।
-- কেমন সে দেশ?
তবে চল চোখটি বন্ধ কর।
-- হুম করলাম।

একটা ঝর্না আছে, তাতে কতোগুলো রুপালী মাছ খেলছে। আমি তোকে নিয়ে মাছ গুলোকে ধরছি। একটু আদর করে আবার ছেড়ে দিচ্ছি। পুরু ঝর্নায় দুজনে ভিজতে ভিজতে গান গাইছি।  তুই আমার গায়ে জল ছিটিয়ে দিচ্ছিস, আমি তোর খোঁপায় বনোফুলের মালা দিয়ে সাজাচ্ছি।

তার পর দুজনে মিলে সমুদ্রতটে যাই। সেখানে বালু দিয়ে নিজেদের নাম লিখছি। কখনো বালুতে শুয়ে উপরের আকাশটাকে দেখছি। কখনো তোর মায়াবী মুখ।

-- হ্যাঁ আমাদের এই রুপকথার দেশে শুধুই তুই আর আমি। এক আকাশ যেন মুক্ত বিছানা। তারা গুলো দলবদ্ধ ফুল, তুই আর আমি মালী।

মনে হয় রুপকথা দেশের আমি রাজা! তুই আমার রানী। কোনো প্রজা নেই, কোনো বিচার নেই। এক রাজ বাড়িতে আমরা দুজন।   
সে দেশের রাজবাড়ী গাঙচিল সবই আমাদের। 

-- সারাদিন শেষে সন্ধ্যার পুব আকাশের সৃর্য্যটা যখন পশ্চিমে ডুবছে। আমি তোমায় বললাম, আমার ভয় করছে,  তুই আমার হাতটি চেপে ধরে বললি কিসের ভয় আমিতো আছি।
সন্ধ্যা নামার পর বনের কাঠ পুড়িয়ে আগুনের মশাল তৈরি করেছিস। ঠিক যেন সারাদিনের ক্লান্তি শেষে দুটো পাখি নিড়ে ফিরে দুজন দুজনকে দেখছে।

হ্যাঁ ঠিক, আমি তোর বুকে মাথা রেখে আমার শরীরের দীর্ঘ্য উষ্ণতায় তোকে জাপটে ধরেছি।  আমার ঠোঁট তোর ঠোঁটে মিশাতেই---

--চুপ করো,  বন্ধ করো। না আমি যেতে চাইনা এমন রুপকথার দেশে। যেখানে এই পৃথিবীর মতো সমস্ত ভালোবাসার ইতি ঘটে দীর্ঘ্য চুম্বনে।

-- আমি বাড়ি চললাম।
এই মেয়ে শোনো। আরে আরে নাম টাতো বলে যাও।
-- নামটা জেনে নিও প্রতিটা প্রত্যাখ্যান হওয়া প্রেমিকার থেকে। যারা কিনা এমন রুপকথার স্বপ্ন দেখে।

নবোন্মেষ জন্মদিবস

নবোন্মেষ জন্মদিবস উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা " নবোন্মেষ"      

নবোন্মেষ জন্মদিবস

নবোন্মেষ জন্মদিবস উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা " নবোন্মেষ"