বসন্তের বিশেষ সংখ্যা

বসন্তের বিশেষ সংখ্যা

সম্পাদকীয়

বসন্ত ঋতু মানেই বসন্ত উৎসব আর বসন্ত উৎসব মানেই হাজার হাজার বাঙালীর ভীড় শান্তিনিকেতন। এখন শুধু বাঙালীদের জন্য বসন্ত নয়, আসেপাশে সমগ্র জাতিরা মিলিত হয়। রঙ আর আবিরের আনন্দে যেন রাঙ্গা হয়ে রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন, রাঙ্গা হয় বাঙালীর গ্রামীণ জীবন দোলপূর্ণিমায়। বসন্ত প্রেমিদের মনে বেজে ওঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় একটি গান-‌ “ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল”, আর জেগে ওঠে ব্যাকুলতার পাগল কবিরা। লেখে যায় হাজার হাজার বসন্তের কবিতা আর গল্প। বসন্ত আসলেই যেন কবিদের মন হাজারো কবিতায় ডানা মেলে। 
শুভেচ্ছা এবং শুভকামনায়
গৌরাঙ্গ সরকার (সম্পাদক)
শিবশঙ্কর দেবনাথ( সহ-সম্পাদক)
নবোন্মেষ পত্রিকা
ত্রিপুরা, ভারত

সম্পাদকীয়

বসন্ত ঋতু মানেই বসন্ত উৎসব আর বসন্ত উৎসব মানেই হাজার হাজার বাঙালীর ভীড় শান্তিনিকেতন। এখন শুধু বাঙালীদের জন্য বসন্ত নয়, আসেপাশে সমগ্র জাতিরা মিলিত হয়। রঙ আর আবিরের আনন্দে যেন রাঙ্গা হয়ে রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন, রাঙ্গা হয় বাঙালীর গ্রামীণ জীবন দোলপূর্ণিমায়। বসন্ত প্রেমিদের মনে বেজে ওঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় একটি গান-‌ “ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল”, আর জেগে ওঠে ব্যাকুলতার পাগল কবিরা। লেখে যায় হাজার হাজার বসন্তের কবিতা আর গল্প। বসন্ত আসলেই যেন কবিদের মন হাজারো কবিতায় ডানা মেলে। 
শুভেচ্ছা এবং শুভকামনায়
গৌরাঙ্গ সরকার (সম্পাদক)
শিবশঙ্কর দেবনাথ( সহ-সম্পাদক)
নবোন্মেষ পত্রিকা
ত্রিপুরা, ভারত

সৌন্দর্যে বসন্ত


                ✍️মোঃ আলামিন

নেমে এলো ঋতুরাজ বসন্ত,
 কুহু কুহু করে কোকিল
   এসে গেছে বসন্ত।

কত গাছের ডালে নতুন পাতার দল
সূর্যের আলোয় যে করছে ঝলমল।

দক্ষিনা বাতাসের আগমনে 
        তৃপ্তি পেল প্রকৃতির প্রাণ ।

আহ চারিদিকে কি বসন্তের সৌন্দর্য,
মিষ্টি সুরের কোকিলের ডাক, বনফুলের গন্ধে ডানা মেলে প্রজাপতি ঔ
      গুনগুনিয়ে বেড়ায় ভোমোরা।

নতুন পাতা আগমনে দোলে হাওয়ায়      
          গাছের শাখায় শাখায়।

কত পাখির কিচি মিচি হই চই,
    যেন বসন্ত মেলা শুরু হয়েছে।
   
 মানুষের জীবনে উৎসব, মেলা আছে,
তেমনি প্রকৃতির উৎসব বসন্তে।

সৌন্দর্যে বসন্ত


                ✍️মোঃ আলামিন

নেমে এলো ঋতুরাজ বসন্ত,
 কুহু কুহু করে কোকিল
   এসে গেছে বসন্ত।

কত গাছের ডালে নতুন পাতার দল
সূর্যের আলোয় যে করছে ঝলমল।

দক্ষিনা বাতাসের আগমনে 
        তৃপ্তি পেল প্রকৃতির প্রাণ ।

আহ চারিদিকে কি বসন্তের সৌন্দর্য,
মিষ্টি সুরের কোকিলের ডাক, বনফুলের গন্ধে ডানা মেলে প্রজাপতি ঔ
      গুনগুনিয়ে বেড়ায় ভোমোরা।

নতুন পাতা আগমনে দোলে হাওয়ায়      
          গাছের শাখায় শাখায়।

কত পাখির কিচি মিচি হই চই,
    যেন বসন্ত মেলা শুরু হয়েছে।
   
 মানুষের জীবনে উৎসব, মেলা আছে,
তেমনি প্রকৃতির উৎসব বসন্তে।

বসন্ত বিলাপ


                   ✍️সৌমেন ভট্টাচার্য্য

 কি অদ্ভুত এক অনুভূতি 
হৃদয়ে জাগে প্রতিবার
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে 
মন হারিয়ে যায় কোথায়...
 জানিনে কিসের সন্ধানে! 

বসন্তের দক্ষিণা  হাওয়ায় কোকিলের বার্তায় 
বৃদ্ধ প্রৌঢ়রাও ফিরে তাকায়,
জীবনের অতীতের যৌবন বেলায়।
ভেবে পায়না ফারাক কিছু! 
নবীনদের প্রেমের খেলায়। 

বসন্ত আসে-  বসন্ত যায়
রঙীন আবীরে মন রাঙায়।
কতো কতো কলি প্রস্ফুটিত হয়
মৌ ভ্রমরেরা পিছু ধায় 
যৌবন উন্মাদনায়। 
কখনো কখনো কালের হরণে
জীবনের সম্বিত ফিরে পায়--
তাকিয়ে থাকে নতুন দিগন্তে! 
বসন্ত বিলাপে বুক ভাসায়।

বসন্ত বিলাপ


                   ✍️সৌমেন ভট্টাচার্য্য

 কি অদ্ভুত এক অনুভূতি 
হৃদয়ে জাগে প্রতিবার
ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে 
মন হারিয়ে যায় কোথায়...
 জানিনে কিসের সন্ধানে! 

বসন্তের দক্ষিণা  হাওয়ায় কোকিলের বার্তায় 
বৃদ্ধ প্রৌঢ়রাও ফিরে তাকায়,
জীবনের অতীতের যৌবন বেলায়।
ভেবে পায়না ফারাক কিছু! 
নবীনদের প্রেমের খেলায়। 

বসন্ত আসে-  বসন্ত যায়
রঙীন আবীরে মন রাঙায়।
কতো কতো কলি প্রস্ফুটিত হয়
মৌ ভ্রমরেরা পিছু ধায় 
যৌবন উন্মাদনায়। 
কখনো কখনো কালের হরণে
জীবনের সম্বিত ফিরে পায়--
তাকিয়ে থাকে নতুন দিগন্তে! 
বসন্ত বিলাপে বুক ভাসায়।

রঙে রাঙ্গিয়ে


                 ✍️ অনিমেষ গোপ

বিশ্বমাঝে নানা ধর্মের নানা জাতির বসবাস।
ব্যস্ততার মধ্যেও আনন্দ উৎসব পালন বার মাস।

রঙ্গে রাঙ্গিয়ে রঙ্গিন করা একটি দোল উৎসব।
রঙ্গে রাঙ্গিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে চায় বাস্তব।

চঞ্চল মন দুর্বার গতি রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিতে প্রিয়কে।
রাঙ্গিয়ে দিতে স্থির ও সাবধান হতে হবে সবাইকে।

বুঝতে হবে জানতে হবে রংগে রাঙিয়ে দেবে যাকে।
রাঙ্গিয়ে দেওয়ার পর ভাটা যেন না আসে সম্পর্কে।

আঘাতহীন কষ্টহীন রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেওয়াই যথার্থ । সৃষ্টি হোক রং খেলাতে রাঙিয়ে দেওয়ার মাহাত্ম্য।

খেলবো হোলি রং দেবো স্মরণ করব শ্রীকৃষ্ণকে।
ছন্দ শেষে দোল উৎসবে রাঙাতে নেমন্তন্ন সবাইকে।

রঙে রাঙ্গিয়ে


                 ✍️ অনিমেষ গোপ

বিশ্বমাঝে নানা ধর্মের নানা জাতির বসবাস।
ব্যস্ততার মধ্যেও আনন্দ উৎসব পালন বার মাস।

রঙ্গে রাঙ্গিয়ে রঙ্গিন করা একটি দোল উৎসব।
রঙ্গে রাঙ্গিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে চায় বাস্তব।

চঞ্চল মন দুর্বার গতি রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিতে প্রিয়কে।
রাঙ্গিয়ে দিতে স্থির ও সাবধান হতে হবে সবাইকে।

বুঝতে হবে জানতে হবে রংগে রাঙিয়ে দেবে যাকে।
রাঙ্গিয়ে দেওয়ার পর ভাটা যেন না আসে সম্পর্কে।

আঘাতহীন কষ্টহীন রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেওয়াই যথার্থ । সৃষ্টি হোক রং খেলাতে রাঙিয়ে দেওয়ার মাহাত্ম্য।

খেলবো হোলি রং দেবো স্মরণ করব শ্রীকৃষ্ণকে।
ছন্দ শেষে দোল উৎসবে রাঙাতে নেমন্তন্ন সবাইকে।

বসন্তের প্রতি


                    ✍️নিধির রায়

বসন্ত, তুমি আমার জীবনে রামধনু এঁকে দিয়ে যাও,
ছেলেবেলায় যত কিনতে না- পাড়া রঙ
এখন দিয়ে যাও কোচড় ভরে।
রঙে রঙে সবার জীবন রঙিন হয়ে যাক।

দেখো ,আমবাগানে বসেছে মৌউৎসব,
দেখো ,কোকিলেরা করে লুটোপুটি,
 পলাশের বনে দেখো আবিরের মেলা।

বসন্ত,
তুমি আমাকে রাঙিয়ে দিয়ে যাও।

মনে পড়?কাঁঠাল গাছের ছালের নীচে লুকিয়ে থাকা রঙ আবিস্কারের কাহিনি?
প্রাচীন ভেষজের মতো তুলে এনেছি
কাঁঠাল গাছের ছাল- নির্যাস,
তার সাথে মিশিয়েছি
ঠাম্মার পানের বাটা থেকে চুরি করা চুন,
ব‍্যস,রঙের যাদু ছড়িয়ে পড়তো মুখ থেকে মুখে।
মিনা রঙের সাধ মিটিয়ে দিতো পাকা পুঁইবিচি।
দেখো কাণ্ড,ওরা এসময়েই পাকে !

বসন্ত,তুমি মহান,
রঙ কিনতে না-পাড়া মানুষগুলোর জন‍্যও
তুমি সাজিয়ে রেখেছো আনন্দের ধন।

বসন্ত ,তুমি সবার জীবন রঙিন করে দাও
রঙে রঙে সেরে যাক তাবৎ অসুখ।

বসন্তের প্রতি


                    ✍️নিধির রায়

বসন্ত, তুমি আমার জীবনে রামধনু এঁকে দিয়ে যাও,
ছেলেবেলায় যত কিনতে না- পাড়া রঙ
এখন দিয়ে যাও কোচড় ভরে।
রঙে রঙে সবার জীবন রঙিন হয়ে যাক।

দেখো ,আমবাগানে বসেছে মৌউৎসব,
দেখো ,কোকিলেরা করে লুটোপুটি,
 পলাশের বনে দেখো আবিরের মেলা।

বসন্ত,
তুমি আমাকে রাঙিয়ে দিয়ে যাও।

মনে পড়?কাঁঠাল গাছের ছালের নীচে লুকিয়ে থাকা রঙ আবিস্কারের কাহিনি?
প্রাচীন ভেষজের মতো তুলে এনেছি
কাঁঠাল গাছের ছাল- নির্যাস,
তার সাথে মিশিয়েছি
ঠাম্মার পানের বাটা থেকে চুরি করা চুন,
ব‍্যস,রঙের যাদু ছড়িয়ে পড়তো মুখ থেকে মুখে।
মিনা রঙের সাধ মিটিয়ে দিতো পাকা পুঁইবিচি।
দেখো কাণ্ড,ওরা এসময়েই পাকে !

বসন্ত,তুমি মহান,
রঙ কিনতে না-পাড়া মানুষগুলোর জন‍্যও
তুমি সাজিয়ে রেখেছো আনন্দের ধন।

বসন্ত ,তুমি সবার জীবন রঙিন করে দাও
রঙে রঙে সেরে যাক তাবৎ অসুখ।

জীবন সংগ্রাম


           ✍️আলমগীর কবীর

 জীবনের এক একটা চাহিদা যেনো 
এক একটা পথের কন্টক!
বিষাক্ত সাপের ন্যায় ছোবল মেরে
শরীরটাকে বিষাক্ত করে দিয়েছে।
তবুও যেনো নিঃস্তেজ হয়ে যাইনি,
পশ্চাদে তাকানোর ইচ্ছে নেই
তবুও তাকাতে হয় স্বতেজ হওয়ার জন্য। 
যখন সামনের দিকে এগুতে যাই
আবার সেই বিষাক্ত কন্টকের আঘাতে
জর্জরিত হয়ে যাই।
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, একদিন এই বিষাক্ত
সর্প সাম্রাজ্যকে ধবংস করে
আমি শির তুলে দাঁড়াবো।
হয়ত তখন কোনো দংশনকারি
সাপ থাকবেনা,
কিন্তু আমারও বেলা অন্তিম পর্যায়ে চলে যাবে-----।
তখন হয়ত এই জীবন সংগ্রামের মর্মটা
বোঝার মতো কেউ থাকবেনা।

জীবন সংগ্রাম


           ✍️আলমগীর কবীর

 জীবনের এক একটা চাহিদা যেনো 
এক একটা পথের কন্টক!
বিষাক্ত সাপের ন্যায় ছোবল মেরে
শরীরটাকে বিষাক্ত করে দিয়েছে।
তবুও যেনো নিঃস্তেজ হয়ে যাইনি,
পশ্চাদে তাকানোর ইচ্ছে নেই
তবুও তাকাতে হয় স্বতেজ হওয়ার জন্য। 
যখন সামনের দিকে এগুতে যাই
আবার সেই বিষাক্ত কন্টকের আঘাতে
জর্জরিত হয়ে যাই।
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, একদিন এই বিষাক্ত
সর্প সাম্রাজ্যকে ধবংস করে
আমি শির তুলে দাঁড়াবো।
হয়ত তখন কোনো দংশনকারি
সাপ থাকবেনা,
কিন্তু আমারও বেলা অন্তিম পর্যায়ে চলে যাবে-----।
তখন হয়ত এই জীবন সংগ্রামের মর্মটা
বোঝার মতো কেউ থাকবেনা।

আজি এ বসন্তে


      ✍️শাশ্বতী দেব

এসে গেল বসন্ত আজি আসি আসি বলে,
বাতাসে রং এর ছোঁয়ায় 
এই মন আমাদের দোলে।
বসন্তের হলুদ আভায় দেখি আমি তোমায়,
কাছে এসে নিমেষেই তোমার ঠিকানা নাই।
প্রেমের এই পূর্ণ লগ্নে এস দেই তোমায় অসীমান্তিক প্রেম,
তোমার জিবে হাতছানি বারবার এই প্রেম।
এস করি দুজনে অভিষেক অমোঘ প্রেমের
তুমি যে হয়ে গেলে সোহাগ আমার হৃদয়ের
মধু মাখা এই রজনীতে চলো করি প্রেমে অবগাহন,
হয়ে যাক আজ এই প্রেমের মন্থন।

আজি এ বসন্তে


      ✍️শাশ্বতী দেব

এসে গেল বসন্ত আজি আসি আসি বলে,
বাতাসে রং এর ছোঁয়ায় 
এই মন আমাদের দোলে।
বসন্তের হলুদ আভায় দেখি আমি তোমায়,
কাছে এসে নিমেষেই তোমার ঠিকানা নাই।
প্রেমের এই পূর্ণ লগ্নে এস দেই তোমায় অসীমান্তিক প্রেম,
তোমার জিবে হাতছানি বারবার এই প্রেম।
এস করি দুজনে অভিষেক অমোঘ প্রেমের
তুমি যে হয়ে গেলে সোহাগ আমার হৃদয়ের
মধু মাখা এই রজনীতে চলো করি প্রেমে অবগাহন,
হয়ে যাক আজ এই প্রেমের মন্থন।

বসন্তের সংস্কৃতি উৎসব


              
                ✍️ক্র ইরী মগ চৌধুরী



কালো জালের পাঁজরের ভিতর থেকে ফেটে পড়ল
ঝিলিমিলি কচি পাতার উদ্ভাস
 কাঠিন্যের মজ্জার মধ্যে নিহিত ছিল,
এই রঙ এই চঞ্চলতা অপরাজেয় শক্তি।
এত হিংসা এতদূষণ এতযুদ্ধ মহামারী ধংস,
তবুও প্রানের সেই জয়যাত্রা
ঘোষণার নিশান ওই সবুজ।
দ্রুত বেড়িয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে ফুল
পাখিদের গানে উড়ালে বাসা বাঁধার ব্যস্ততায় প্রান দোলা খায়।
পতঙ্গের ডানা ঝিকিমিকিতে জেগে উঠে,
কাঠ পিঁপড়েদের গাছ বেয়ে ওঠা নামায়,
জল কাঁপানো মাছের পাখনায়,
তবে কি কেবল মানুষ অপাংক্তেয়
এই বিপুল সৌন্দর্য্যের
সংস্কৃতি উৎসবে প্রান বন্দনায়।
তার জীবন যাপনের পাকে পাকে আছে যে গাঁথা,
ফসল গুচ্ছ আর কৃষি সম্ভার।
মানুষের পুলক তাই আরো প্রগাঢ়।
হেমন্তের পূর্ণতার পর শীতের বিশ্রান্তি
মৃত্যু ভেঙ্গে জেগে ওঠা হিন্দোলে বাহারে বসন্ত।
মানুষের শরীরে নেই জরাবাল্ক- ল 
বিদির্ণ করা নব জীবন ও চেতনা।
তবুও মনে মনে তার বারে বারে আসে ফাল্গুন।
সমস্ত আচ্ছন্ন প্রানবিরোধী
প্রতিকুলতার তীরে দাঁড়িয়
হৃদয় গভীর থেকে ওঠে আসে
মাতৃভাষার কলরব
তাইতো এগিয়ে চলে নিত্য বসন্তের সংস্কৃতি উৎসব।


বসন্তের সংস্কৃতি উৎসব


              
                ✍️ক্র ইরী মগ চৌধুরী



কালো জালের পাঁজরের ভিতর থেকে ফেটে পড়ল
ঝিলিমিলি কচি পাতার উদ্ভাস
 কাঠিন্যের মজ্জার মধ্যে নিহিত ছিল,
এই রঙ এই চঞ্চলতা অপরাজেয় শক্তি।
এত হিংসা এতদূষণ এতযুদ্ধ মহামারী ধংস,
তবুও প্রানের সেই জয়যাত্রা
ঘোষণার নিশান ওই সবুজ।
দ্রুত বেড়িয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে ফুল
পাখিদের গানে উড়ালে বাসা বাঁধার ব্যস্ততায় প্রান দোলা খায়।
পতঙ্গের ডানা ঝিকিমিকিতে জেগে উঠে,
কাঠ পিঁপড়েদের গাছ বেয়ে ওঠা নামায়,
জল কাঁপানো মাছের পাখনায়,
তবে কি কেবল মানুষ অপাংক্তেয়
এই বিপুল সৌন্দর্য্যের
সংস্কৃতি উৎসবে প্রান বন্দনায়।
তার জীবন যাপনের পাকে পাকে আছে যে গাঁথা,
ফসল গুচ্ছ আর কৃষি সম্ভার।
মানুষের পুলক তাই আরো প্রগাঢ়।
হেমন্তের পূর্ণতার পর শীতের বিশ্রান্তি
মৃত্যু ভেঙ্গে জেগে ওঠা হিন্দোলে বাহারে বসন্ত।
মানুষের শরীরে নেই জরাবাল্ক- ল 
বিদির্ণ করা নব জীবন ও চেতনা।
তবুও মনে মনে তার বারে বারে আসে ফাল্গুন।
সমস্ত আচ্ছন্ন প্রানবিরোধী
প্রতিকুলতার তীরে দাঁড়িয়
হৃদয় গভীর থেকে ওঠে আসে
মাতৃভাষার কলরব
তাইতো এগিয়ে চলে নিত্য বসন্তের সংস্কৃতি উৎসব।


রামধনুর রং


          ✍️সংগীতা শীল

সোনার তরীর পালে
বয়ে আনলো পলাশ বনে,
বাসন্তী রঙের শাড়ী পড়া
খোঁপায় একগুচ্ছ রজনী
আবীর হাতে এগোচ্ছো
সামনে আমি।
আমার কাঙ্ক্ষিত প্রেমে
বসন্ত রাগে অস্থিরতায় 
গোটা গায়ে মেখে দিলে
আগুন রাঙা আবীর
আঁচল টেনে;
রাঙিয়ে দিলাম সেই রঙে
লজ্জায় তুমি লাল;
ক্রমাগত আঁকড়ে ধরছো আমায়
শোনা যাচ্ছে অনুচ্চারিত শব্দ 
ভালোবাসা ভালোবাসি।

রামধনুর রং


          ✍️সংগীতা শীল

সোনার তরীর পালে
বয়ে আনলো পলাশ বনে,
বাসন্তী রঙের শাড়ী পড়া
খোঁপায় একগুচ্ছ রজনী
আবীর হাতে এগোচ্ছো
সামনে আমি।
আমার কাঙ্ক্ষিত প্রেমে
বসন্ত রাগে অস্থিরতায় 
গোটা গায়ে মেখে দিলে
আগুন রাঙা আবীর
আঁচল টেনে;
রাঙিয়ে দিলাম সেই রঙে
লজ্জায় তুমি লাল;
ক্রমাগত আঁকড়ে ধরছো আমায়
শোনা যাচ্ছে অনুচ্চারিত শব্দ 
ভালোবাসা ভালোবাসি।

বসন্ত এলো যে


               ✍️সংহিতা ভট্টাচার্য্য  
  
হিমেল হাওয়া দূরে ঠেলে 
সবুজে সবুজ পা ফেলে।
এলো যে বসন্ত
ফুলে ফুলে শান্ত।

কোকিল সুরে আবেশ জড়িয়ে 
নীল নীলিমায় সুবাস ছড়িয়ে। 
ফুটেছে পলাশ
ভরেছে আকাশ। 

হোলির প্রতিকশা বুকে জড়িয়ে।
বাসন্তি রঙ গালে মাখিয়ে
দিগন্ত আনমন
জোনাকির মতন।

ফাগুন এলো আজ ঘরে
পাখীদের ঝাঁক সুরে সুরে
মধুপেরা মহুয়ায়
কি যেন বলে যায়।
                    

বসন্ত এলো যে


               ✍️সংহিতা ভট্টাচার্য্য  
  
হিমেল হাওয়া দূরে ঠেলে 
সবুজে সবুজ পা ফেলে।
এলো যে বসন্ত
ফুলে ফুলে শান্ত।

কোকিল সুরে আবেশ জড়িয়ে 
নীল নীলিমায় সুবাস ছড়িয়ে। 
ফুটেছে পলাশ
ভরেছে আকাশ। 

হোলির প্রতিকশা বুকে জড়িয়ে।
বাসন্তি রঙ গালে মাখিয়ে
দিগন্ত আনমন
জোনাকির মতন।

ফাগুন এলো আজ ঘরে
পাখীদের ঝাঁক সুরে সুরে
মধুপেরা মহুয়ায়
কি যেন বলে যায়।
                    

যৌবনের ঋতু


               ✍️মিঠু মল্লিক বৈদ‍্য

শীতের নির্জীবতায় সবুজ পাতায়
হলুদের ছোঁয়া ;প্রকৃতির কোলে জীর্ণতার
চাদর ঠেলে সহসা বসন্ত আসে নেমে।

শিমূল -পলাশের রূপ,কৃষ্ণচূড়ার মোহনীয়তায়
দখিনা মলয়ে কান পেতে শুনি
যৌবন ঋতুর আগমনীর সুরেলা ধ্বনি।

রিক্ত বসন বিজরিত তরুডালে সবুজের ছোঁয়া।
পুষ্প মঞ্জুরির সৌরভে মাতোয়ারা ভ্রমর
শুকনো মাঠের কচি ঘাসে যৌবনের উন্মাদনা।

লালা নীল হলুদের বাহারী শোভা,
দিগন্ত জোড়া আলোর নাচন,
ভ্রমরের গুঞ্জনে পুলক জাগে মনে।

কোকিলের কুহুতান,পাপিয়ার পিউ ডাক
মুকুলের প্রেমে মাতোয়ারা অলি দল
তিতলির রঙিন ডানায় প্রেমের দোলা।

পল্লবিত তরুলতার যাদুময়ী লাবণ‍্য,
বসন্ত বাউরির "বৌ কথা কও"সুরে
চিটা হৃদেও লাগে প্রেমের হরষ।

নববধূর রূপে মহুয়ার মালায় সাজে
প্রকৃতি,বসন্তদূত বাজায় প্রেমের বাশুরী
যৌবনের ঋতু মেলে ধরে সুখ-তরী।

গোধূলির গোলাপী আলোর পথ বেয়ে
সন্ধ‍্যাতারা জাগে দূর আকাশে;জোনাকীর
রূপালী আলোয় ভাসে রূপসী বাংলা।

যৌবনের ঋতু


               ✍️মিঠু মল্লিক বৈদ‍্য

শীতের নির্জীবতায় সবুজ পাতায়
হলুদের ছোঁয়া ;প্রকৃতির কোলে জীর্ণতার
চাদর ঠেলে সহসা বসন্ত আসে নেমে।

শিমূল -পলাশের রূপ,কৃষ্ণচূড়ার মোহনীয়তায়
দখিনা মলয়ে কান পেতে শুনি
যৌবন ঋতুর আগমনীর সুরেলা ধ্বনি।

রিক্ত বসন বিজরিত তরুডালে সবুজের ছোঁয়া।
পুষ্প মঞ্জুরির সৌরভে মাতোয়ারা ভ্রমর
শুকনো মাঠের কচি ঘাসে যৌবনের উন্মাদনা।

লালা নীল হলুদের বাহারী শোভা,
দিগন্ত জোড়া আলোর নাচন,
ভ্রমরের গুঞ্জনে পুলক জাগে মনে।

কোকিলের কুহুতান,পাপিয়ার পিউ ডাক
মুকুলের প্রেমে মাতোয়ারা অলি দল
তিতলির রঙিন ডানায় প্রেমের দোলা।

পল্লবিত তরুলতার যাদুময়ী লাবণ‍্য,
বসন্ত বাউরির "বৌ কথা কও"সুরে
চিটা হৃদেও লাগে প্রেমের হরষ।

নববধূর রূপে মহুয়ার মালায় সাজে
প্রকৃতি,বসন্তদূত বাজায় প্রেমের বাশুরী
যৌবনের ঋতু মেলে ধরে সুখ-তরী।

গোধূলির গোলাপী আলোর পথ বেয়ে
সন্ধ‍্যাতারা জাগে দূর আকাশে;জোনাকীর
রূপালী আলোয় ভাসে রূপসী বাংলা।

চিঠি

       
         ✍️ সুপর্ণা মজুমদার

আসছে বসন্তে আবিরের সাথে 
কিছুটা সিঁদুর মিশিয়ে রাখিস,
সাথে ঐ যে মঙ্গল সূত্রটা--,
হাতের মুঠোয় নিয়ে রাখিস। 
অগণিত ভীড়ে মিশে যাওয়া আমি 
আমায় খুঁজে নিস্, 
শিমুল পলাশের রঙ্গিন বসন্তে 
আমায় আবীর মেখে দিস্। 
ভ্যালেন্টাইন ডে? থাকনা পরে
সেতো লোক দেখানো বুলি,
হাজার গোলাপের বদলে নাহয়
বিশ্বাসের অঙ্গিকারে চলি! 
না দেখা প্রহরে দুজন দুজনকে
ব্যাকুল চোক্ষে হারাবো, 
দিনের শেষে ক্লান্ত জীবনে 
পাশাপাশি দুজন হাঁটবো। 
অজান্তেই কখনো ঝাপটে বলবি
চল্ না ঘুরে আসি, 
ভেঙে যাওয়া অভিমানি মনে 
তোর ভরসাই চাইবো বেশি।
সেদিন তুই দু'হাতে জড়িয়ে 
আমায় আগলে রাখিস, 
জীবন খাতার প্রতিটি পাতা
ভালবাসায় ভরিয়ে রাখিস। 



চিঠি

       
         ✍️ সুপর্ণা মজুমদার

আসছে বসন্তে আবিরের সাথে 
কিছুটা সিঁদুর মিশিয়ে রাখিস,
সাথে ঐ যে মঙ্গল সূত্রটা--,
হাতের মুঠোয় নিয়ে রাখিস। 
অগণিত ভীড়ে মিশে যাওয়া আমি 
আমায় খুঁজে নিস্, 
শিমুল পলাশের রঙ্গিন বসন্তে 
আমায় আবীর মেখে দিস্। 
ভ্যালেন্টাইন ডে? থাকনা পরে
সেতো লোক দেখানো বুলি,
হাজার গোলাপের বদলে নাহয়
বিশ্বাসের অঙ্গিকারে চলি! 
না দেখা প্রহরে দুজন দুজনকে
ব্যাকুল চোক্ষে হারাবো, 
দিনের শেষে ক্লান্ত জীবনে 
পাশাপাশি দুজন হাঁটবো। 
অজান্তেই কখনো ঝাপটে বলবি
চল্ না ঘুরে আসি, 
ভেঙে যাওয়া অভিমানি মনে 
তোর ভরসাই চাইবো বেশি।
সেদিন তুই দু'হাতে জড়িয়ে 
আমায় আগলে রাখিস, 
জীবন খাতার প্রতিটি পাতা
ভালবাসায় ভরিয়ে রাখিস। 



বসন্ত এসেছে


          ✍️মনচলি চক্রবর্তী 

বসন্ত এসেছে, ফাগুন এসেছে 
ঋতুরাজ বসন্ত হেসেছে 
দখিনা পাগল হাওয়া 
পলাশের সুগন্ধে মেতেছে 
ঝড়া পাতার গাছের ডালিতে এসেছে
নতূন কুঁড়ি
আমের মুকুলেরা  বসন্ত
দেয় উঁকি 
কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙখানি 
অন্তরে দেয় আনন্দের হাতছানি।
কত সুন্দর ফুল ফুটেছে বনে বনে
শিমূল পলাশের ডালে 
কোকিলরা ডাকে মধুর সুরে।
বসন্তের গোধূলিতে
চোখে চোখ রেখে হাতে হাত রেখে 
কত হৃদয়ের দেওয়া নেওয়া চলে।
 প্রকৃতিতে বসন্ত আবির্ভাব সবার
 জীবনে হৃদয়ে
নতূন প্রেমের বার্তা নিয়ে আসে
ফাগুনে মনে প্রেমের আগুন  লাগে
অন্তরে স্বপন দোলে ছন্দে তালে
বসন্তের  দোল উৎসবে মেতে
অন্তরে লাগে ভালবাসার পরশ
 জাগে শিহরণ বুকেতে।

বসন্ত এসেছে


          ✍️মনচলি চক্রবর্তী 

বসন্ত এসেছে, ফাগুন এসেছে 
ঋতুরাজ বসন্ত হেসেছে 
দখিনা পাগল হাওয়া 
পলাশের সুগন্ধে মেতেছে 
ঝড়া পাতার গাছের ডালিতে এসেছে
নতূন কুঁড়ি
আমের মুকুলেরা  বসন্ত
দেয় উঁকি 
কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙখানি 
অন্তরে দেয় আনন্দের হাতছানি।
কত সুন্দর ফুল ফুটেছে বনে বনে
শিমূল পলাশের ডালে 
কোকিলরা ডাকে মধুর সুরে।
বসন্তের গোধূলিতে
চোখে চোখ রেখে হাতে হাত রেখে 
কত হৃদয়ের দেওয়া নেওয়া চলে।
 প্রকৃতিতে বসন্ত আবির্ভাব সবার
 জীবনে হৃদয়ে
নতূন প্রেমের বার্তা নিয়ে আসে
ফাগুনে মনে প্রেমের আগুন  লাগে
অন্তরে স্বপন দোলে ছন্দে তালে
বসন্তের  দোল উৎসবে মেতে
অন্তরে লাগে ভালবাসার পরশ
 জাগে শিহরণ বুকেতে।

দাগ


              ✍️চন্দন পাল

যতরঙ আমি তোমায় পরাই -
সবইতো কাল মুছে যায়,
সেরঙ দিতে ইচ্ছে আমার -
যেরঙ মরমে লেগে যায়।

আবির মিনা নীল জড়ি কত-
মুঠোয় পুরে তোমায় মাখি,
তবুও তোমার লাগেনি দাগ-
গভীর হৃদয় ছোঁয়া বাকি।

লাগাবো সে কাদার রঙ -
রোয়াচাষী যা শরীরে মাখে,
কিংবা সে সাদামাটা রঙ -
পাহাড়বাসীর ভাষায় থাকে।

দেখাবো রাঙা মাটির রঙ -
ভুলে আমার গায়ে এলে,
কিংবা সে উদোম রঙ-
কচিরা যখন নেংটা খেলে।

আনতে নারি হলদে রঙ-
সর্ষে ফুল হাওয়ায় দোলে,
কিংবা সে সূর্য রঙ-
চাঁদ বেয়ে জোছনা ফলে।
           

দাগ


              ✍️চন্দন পাল

যতরঙ আমি তোমায় পরাই -
সবইতো কাল মুছে যায়,
সেরঙ দিতে ইচ্ছে আমার -
যেরঙ মরমে লেগে যায়।

আবির মিনা নীল জড়ি কত-
মুঠোয় পুরে তোমায় মাখি,
তবুও তোমার লাগেনি দাগ-
গভীর হৃদয় ছোঁয়া বাকি।

লাগাবো সে কাদার রঙ -
রোয়াচাষী যা শরীরে মাখে,
কিংবা সে সাদামাটা রঙ -
পাহাড়বাসীর ভাষায় থাকে।

দেখাবো রাঙা মাটির রঙ -
ভুলে আমার গায়ে এলে,
কিংবা সে উদোম রঙ-
কচিরা যখন নেংটা খেলে।

আনতে নারি হলদে রঙ-
সর্ষে ফুল হাওয়ায় দোলে,
কিংবা সে সূর্য রঙ-
চাঁদ বেয়ে জোছনা ফলে।
           

রঙিন


                 ✍️পান্হ দাস

উন্মুক্ত পথে হাঁটছি 
নেই উদ্বেগ স্বপ্নের,
আলো আছে তবে
ঝাপসা কেন বাস্তবের ৷

পুতুল খেলার বাটি
দিনেকের সাথে খুজি,
খেলাটি যেন প্রাণহীন
কিন্তু প্রকৃতিতে তাই রঙিন ৷

দোলে হলো রাঙা সবাই
ভেসেছি আবেগে যদিও,
রঘুবীরের সাথে হোলি মাখাই
তাই নাচছে যেন আজ প্রকৃতিও ৷ 

রঙের উৎসবের ভয় একটাই
ভীত নহে রঙিন হবার,
বস্তুত থাকি কাঁপতে
রঙ পাল্টানো ব্যক্তিত্বে ৷

রঙিন


                 ✍️পান্হ দাস

উন্মুক্ত পথে হাঁটছি 
নেই উদ্বেগ স্বপ্নের,
আলো আছে তবে
ঝাপসা কেন বাস্তবের ৷

পুতুল খেলার বাটি
দিনেকের সাথে খুজি,
খেলাটি যেন প্রাণহীন
কিন্তু প্রকৃতিতে তাই রঙিন ৷

দোলে হলো রাঙা সবাই
ভেসেছি আবেগে যদিও,
রঘুবীরের সাথে হোলি মাখাই
তাই নাচছে যেন আজ প্রকৃতিও ৷ 

রঙের উৎসবের ভয় একটাই
ভীত নহে রঙিন হবার,
বস্তুত থাকি কাঁপতে
রঙ পাল্টানো ব্যক্তিত্বে ৷

বসন্তোৎসব


               ✍️প্রবীর পাঁন্ডে

চেয়ে দেখো একবার মুক্ত বাতায়নে
বসন্ত এসেছে আজি এ মর্ত্য ভূবনে-
মাতিল জগত সারা কূজনে-গুঞ্জনে, 
ধরিল সবুজ রঙ সবাকার মনে।
গুচ্ছে গুচ্ছে ধরিয়াছে প্রেমাম্র মুকুল, 
শাখায় শাখায় শত ফুটিয়াছে ফুল। 
নির্মল বাতাস বহে মৃদুমন্দ গন্ধে, 
গাহে পিকবর গান মধুময় ছন্দে। 
দলে দলে ধায় অলি কুসুমের বনে
করিবারে মধুপান প্রফল্লিত মনে। 
কপোত- কপোতি যুগ বসি বৃক্ষ'পরে
অধরে-অধর রাখি প্রেমালাপ করে। 
কত বীণা কত বেণু উঠিতেছে বাজি,
প্রকৃতি সুন্দর রূপে উঠিয়াছে সাজি।
শ্যামলিমা বধূ তার আঁচল বিছায়ে
কত যে সৌন্দর্য রাশি দিয়েছে ছড়ায়ে।
কত হাসি কত গান কত আলাপন-
বসন্তের মহোৎসব এ মহা মিলন।
আজি এই ফাগুনের শুভ আগমনে
কি আনন্দ! কি উছ্বাস! মানব জীবনে।

বসন্তোৎসব


               ✍️প্রবীর পাঁন্ডে

চেয়ে দেখো একবার মুক্ত বাতায়নে
বসন্ত এসেছে আজি এ মর্ত্য ভূবনে-
মাতিল জগত সারা কূজনে-গুঞ্জনে, 
ধরিল সবুজ রঙ সবাকার মনে।
গুচ্ছে গুচ্ছে ধরিয়াছে প্রেমাম্র মুকুল, 
শাখায় শাখায় শত ফুটিয়াছে ফুল। 
নির্মল বাতাস বহে মৃদুমন্দ গন্ধে, 
গাহে পিকবর গান মধুময় ছন্দে। 
দলে দলে ধায় অলি কুসুমের বনে
করিবারে মধুপান প্রফল্লিত মনে। 
কপোত- কপোতি যুগ বসি বৃক্ষ'পরে
অধরে-অধর রাখি প্রেমালাপ করে। 
কত বীণা কত বেণু উঠিতেছে বাজি,
প্রকৃতি সুন্দর রূপে উঠিয়াছে সাজি।
শ্যামলিমা বধূ তার আঁচল বিছায়ে
কত যে সৌন্দর্য রাশি দিয়েছে ছড়ায়ে।
কত হাসি কত গান কত আলাপন-
বসন্তের মহোৎসব এ মহা মিলন।
আজি এই ফাগুনের শুভ আগমনে
কি আনন্দ! কি উছ্বাস! মানব জীবনে।

প্রেমের পদ্য


             ✍️সৈকত মজুমদার

তোমার ঠোঁটের উপর জমা
কয়েক টুকরো ঘামের ফোঁটা 
কচি ঘাসের ডগায় জমা
বিন্দু বিন্দু শিশির কণা । 

তোমার ঠোঁটের ভাজের মায়া
আমায় ভীষণ কাছে টানে, 
আর কাজল চোখের গভীরে
ভালোবাসা খুঁজি নির্জন দুপুরে!

প্রেমের পদ্য


             ✍️সৈকত মজুমদার

তোমার ঠোঁটের উপর জমা
কয়েক টুকরো ঘামের ফোঁটা 
কচি ঘাসের ডগায় জমা
বিন্দু বিন্দু শিশির কণা । 

তোমার ঠোঁটের ভাজের মায়া
আমায় ভীষণ কাছে টানে, 
আর কাজল চোখের গভীরে
ভালোবাসা খুঁজি নির্জন দুপুরে!

রাঙিয়ে দাও


          ✍️ গোপাল দে

রাঙিয়ে দাও তোমার বসন্ত
হাজারো আবির রঙে। 
রাঙিয়ে দাও চৌদিক আজ 
নিত্য নতুন ঢঙে।।

রাঙিয়ে দাও ফুটপাত জীবন
যাদের পেটে পড়েনি অন্ন। 
রাঙিয়ে দাও কৃষকের ক্ষেত
করো ওদের ধন্য।।

দিনমজুরের জীবনে আসুক
নতুন বসন্ত। 
রাঙ্গানো হোক কলুষিত আকাশ
দিক দিগন্ত।।

শিল্প আর কারখানাতে 
কাটে যাদের জীবন। 
বসন্তের ওই হোলির রঙে 
রাঙ্গাও ওদের ভুবন।।

কালো মেঘ কেটে গিয়ে 
উঠুক নতুন রবি। 
জীর্ণশীর্ণ ক্যানভাসেতে 
ফুটুক রঙিন ছবি।।

রাঙিয়ে দাও


          ✍️ গোপাল দে

রাঙিয়ে দাও তোমার বসন্ত
হাজারো আবির রঙে। 
রাঙিয়ে দাও চৌদিক আজ 
নিত্য নতুন ঢঙে।।

রাঙিয়ে দাও ফুটপাত জীবন
যাদের পেটে পড়েনি অন্ন। 
রাঙিয়ে দাও কৃষকের ক্ষেত
করো ওদের ধন্য।।

দিনমজুরের জীবনে আসুক
নতুন বসন্ত। 
রাঙ্গানো হোক কলুষিত আকাশ
দিক দিগন্ত।।

শিল্প আর কারখানাতে 
কাটে যাদের জীবন। 
বসন্তের ওই হোলির রঙে 
রাঙ্গাও ওদের ভুবন।।

কালো মেঘ কেটে গিয়ে 
উঠুক নতুন রবি। 
জীর্ণশীর্ণ ক্যানভাসেতে 
ফুটুক রঙিন ছবি।।

ঝরা পাতা


              ✍️পৌষালী ভৌমিক

 আমি ছিলেম ঝরা পাতা,
তোমার হাত ধরে বসন্তে ফেরা।
ভেবেছিলেম সবকিছু হবে ভাগাভাগি,
মনেই যে ছিলনা, মুখপোড়া আমিই অভাগী!
     বসন্ত যে শুধু তোমার,
আমি যে ঝরে যাওয়া, ঝরেই রই।
তুমি অন্তহীন, দেখ দেখি কত নতুনত্ব,
আমি নিরালায় বসে, বুঝি আমার মহত্ব।
সেদিন তুমি হাত ধরে তোমারই মাঝে নিলে আমায়,
      না,সে যে ছিল ভুল,
কিছুটা আমি রয়েই গেলাম সেই ঝরা পাতায়।
জানো, মন অনেক কথা কয়,
সব কথা তো ভাষা নয়,
কিছু আমাতেই রয়...।
ভাবো বুঝি,আমি ঝরা পাতা... প্রাণ কই? 
আমি বলি, প্রাণ চাই? তবে বসন্ততেই রই...
দেবে আমায়, আমাতে বাঁচতে?
ভাষা ও যে প্রাণ পেতে চায়, সে কী জানতে...?
                                

ঝরা পাতা


              ✍️পৌষালী ভৌমিক

 আমি ছিলেম ঝরা পাতা,
তোমার হাত ধরে বসন্তে ফেরা।
ভেবেছিলেম সবকিছু হবে ভাগাভাগি,
মনেই যে ছিলনা, মুখপোড়া আমিই অভাগী!
     বসন্ত যে শুধু তোমার,
আমি যে ঝরে যাওয়া, ঝরেই রই।
তুমি অন্তহীন, দেখ দেখি কত নতুনত্ব,
আমি নিরালায় বসে, বুঝি আমার মহত্ব।
সেদিন তুমি হাত ধরে তোমারই মাঝে নিলে আমায়,
      না,সে যে ছিল ভুল,
কিছুটা আমি রয়েই গেলাম সেই ঝরা পাতায়।
জানো, মন অনেক কথা কয়,
সব কথা তো ভাষা নয়,
কিছু আমাতেই রয়...।
ভাবো বুঝি,আমি ঝরা পাতা... প্রাণ কই? 
আমি বলি, প্রাণ চাই? তবে বসন্ততেই রই...
দেবে আমায়, আমাতে বাঁচতে?
ভাষা ও যে প্রাণ পেতে চায়, সে কী জানতে...?
                                

বিচ্ছেদের বিষণ্ণ মুখ


              ✍️ কৃষ্ণ দাস

কলঙ্কের দাগ নিয়ে রাধার মূর্ছিত আবেগ ,
প্রেম সর্বজগতে নিন্দ , তাই বলে 
প্রেমের বলিদান...!
অভিমানী রাধার বিচ্ছেদ ,
বিষণ্ণ মুখে আধখানা প্রাণ নিয়ে চেঁচিয়ে উঠে ।
নেবে গো আমায় হে প্রাণ সখা ।।
বিচ্ছেদের আনন্দ আর নাহি সহে যে মোর প্রাণে ।।
তিলে তিলে জ্বলছি দহনে ।।
নস্টাল রাত যে কথা বলে গো...
হাসে ! হেসে হেসে বলে...
রাধার বুঝি কলঙ্ক লাগলো বলে ।।
প্রানসখা বিচ্ছেদের করুণ আবেগ ,
না সহে যে মোর এ বুকে ।।
হেলায় দিও না ফেলে ,
বাবুই পাখির বাসার মতো ঝুলছি আমি মৃত্যুর মগডালে।।
কালো কাল হয় যাবে না দুঃশয় 
প্রেম ছিল বিচ্ছেদের ।।
মুখপানে চাইয়া নেই সব কাড়িয়া ।।
বিচ্ছেদের মধ্যে যে আনন্দ গো ,
না পারি শহনে , রাখি যতনে , 
অন্ধকারের রাতে জোনাকীর আলো জ্বেলে ।।

বিচ্ছেদের বিষণ্ণ মুখ


              ✍️ কৃষ্ণ দাস

কলঙ্কের দাগ নিয়ে রাধার মূর্ছিত আবেগ ,
প্রেম সর্বজগতে নিন্দ , তাই বলে 
প্রেমের বলিদান...!
অভিমানী রাধার বিচ্ছেদ ,
বিষণ্ণ মুখে আধখানা প্রাণ নিয়ে চেঁচিয়ে উঠে ।
নেবে গো আমায় হে প্রাণ সখা ।।
বিচ্ছেদের আনন্দ আর নাহি সহে যে মোর প্রাণে ।।
তিলে তিলে জ্বলছি দহনে ।।
নস্টাল রাত যে কথা বলে গো...
হাসে ! হেসে হেসে বলে...
রাধার বুঝি কলঙ্ক লাগলো বলে ।।
প্রানসখা বিচ্ছেদের করুণ আবেগ ,
না সহে যে মোর এ বুকে ।।
হেলায় দিও না ফেলে ,
বাবুই পাখির বাসার মতো ঝুলছি আমি মৃত্যুর মগডালে।।
কালো কাল হয় যাবে না দুঃশয় 
প্রেম ছিল বিচ্ছেদের ।।
মুখপানে চাইয়া নেই সব কাড়িয়া ।।
বিচ্ছেদের মধ্যে যে আনন্দ গো ,
না পারি শহনে , রাখি যতনে , 
অন্ধকারের রাতে জোনাকীর আলো জ্বেলে ।।

আমার ইচ্ছে


            ✍🏻পূজা মজুমদার

আমি তো দুরন্ত ফাল্গুন গোটা গায়ে মেখে
তোমার জন্য বসে আছি
মনে মনে মাদল বাজাচ্ছি আর।।
গোধূলির রঙ দেখছি দিগন্তে,
      তোমায় রাঙাবো বলে গিয়েছি সমুদ্রে।।


    কেউ মাখায় নি  আজ এ গালে আবীর
     তুমিই তো আমার সুবীর।।


     রং খেলবো তোমার সাথে
    হাটবো রাজবাড়ির সামনাটা হাতে হাত রেখে।।

আমার ইচ্ছে


            ✍🏻পূজা মজুমদার

আমি তো দুরন্ত ফাল্গুন গোটা গায়ে মেখে
তোমার জন্য বসে আছি
মনে মনে মাদল বাজাচ্ছি আর।।
গোধূলির রঙ দেখছি দিগন্তে,
      তোমায় রাঙাবো বলে গিয়েছি সমুদ্রে।।


    কেউ মাখায় নি  আজ এ গালে আবীর
     তুমিই তো আমার সুবীর।।


     রং খেলবো তোমার সাথে
    হাটবো রাজবাড়ির সামনাটা হাতে হাত রেখে।।

শেষ দেখা


           ✍️শান্তনু মজুমদার

 চেনা শহরে তুমি আজ বড়ই অচেনা 
ব্যস্তময় জীবনে তুমি আজ কত ই না ব্যস্ত  
যদি কোনোদিন ভুল করে দেখা হয়ে যায় কোনো এক রাস্তার মোড়ে, 
তবে মুখ ফিরিয়ে নিও না বন্ধু , 
কথা বলো মুচকি হেসে, 
তবুও অপূর্ণ সব ভালোবাসার ঘরে কিছূটা রং কিনে নেবে ভালোবাসা, 
হয়ত সেটাই হবে আমাদের শেষ দেখা।। 

            

শেষ দেখা


           ✍️শান্তনু মজুমদার

 চেনা শহরে তুমি আজ বড়ই অচেনা 
ব্যস্তময় জীবনে তুমি আজ কত ই না ব্যস্ত  
যদি কোনোদিন ভুল করে দেখা হয়ে যায় কোনো এক রাস্তার মোড়ে, 
তবে মুখ ফিরিয়ে নিও না বন্ধু , 
কথা বলো মুচকি হেসে, 
তবুও অপূর্ণ সব ভালোবাসার ঘরে কিছূটা রং কিনে নেবে ভালোবাসা, 
হয়ত সেটাই হবে আমাদের শেষ দেখা।। 

            

আমার একটা নদী ছিল


        ✍️সুজন দেবনাথ

আমার একটা নদী ছিল
কিন্তু নদীটার আমি কেউ ছিলাম না। 
বহুকাল চিৎকার করে বলেছি-
"আমি  ভালোবাসি, নদী! 
কতবার বলেছি-
হে, নদী, একটুখানি দাঁড়া"


অথচ নদীর কলকল ধ্বনি সেদিন -
হা হা হা হা করে হেসে বলেছিল, 
ওহে প্রেমিক , 
আমার যে ভীষণ তাড়া। 

তারপর যখন বসন্ত এলো 
আবারও প্রেমে পড়েছিলাম। 
আমার মন প্রাণ সবকিছু কেড়ে নিয়ে
ক্ষণিকের আনন্দ দিয়ে
সেও চলে গেছে একদিন। 

এরপর একে একে যতবার ভালোবেসেছি, 
সবাই ছেড়ে চলে গেছে। 
কেউ আগে, কেউ পরে, 
কেউ অভিমান করে, কেউ অভিনয় করে
কেউ ভালোবেসে, কেউ বা ফাঁকি দিয়ে, 
চলে গেছে সবাই। 

আজ আমি বুঝে গেছি
ভালোবাসার টানে দাঁড়ায় না সময়, 
নিয়মের বাঁধা ধরা গন্ডির মাঝে
ভালোবাসারাও যেন কত অসহায়। 
তাই একদিন সকল অভিমান ফেলে রেখে
সকল যন্ত্রণা ভুলে -
 সকল কামনা, বাসনা, জলাঞ্জলি দিয়ে-
ভেসে যায় সবাই অনন্ত-অসীমে, 
 চলে যেতে হয়।

আমার একটা নদী ছিল


        ✍️সুজন দেবনাথ

আমার একটা নদী ছিল
কিন্তু নদীটার আমি কেউ ছিলাম না। 
বহুকাল চিৎকার করে বলেছি-
"আমি  ভালোবাসি, নদী! 
কতবার বলেছি-
হে, নদী, একটুখানি দাঁড়া"


অথচ নদীর কলকল ধ্বনি সেদিন -
হা হা হা হা করে হেসে বলেছিল, 
ওহে প্রেমিক , 
আমার যে ভীষণ তাড়া। 

তারপর যখন বসন্ত এলো 
আবারও প্রেমে পড়েছিলাম। 
আমার মন প্রাণ সবকিছু কেড়ে নিয়ে
ক্ষণিকের আনন্দ দিয়ে
সেও চলে গেছে একদিন। 

এরপর একে একে যতবার ভালোবেসেছি, 
সবাই ছেড়ে চলে গেছে। 
কেউ আগে, কেউ পরে, 
কেউ অভিমান করে, কেউ অভিনয় করে
কেউ ভালোবেসে, কেউ বা ফাঁকি দিয়ে, 
চলে গেছে সবাই। 

আজ আমি বুঝে গেছি
ভালোবাসার টানে দাঁড়ায় না সময়, 
নিয়মের বাঁধা ধরা গন্ডির মাঝে
ভালোবাসারাও যেন কত অসহায়। 
তাই একদিন সকল অভিমান ফেলে রেখে
সকল যন্ত্রণা ভুলে -
 সকল কামনা, বাসনা, জলাঞ্জলি দিয়ে-
ভেসে যায় সবাই অনন্ত-অসীমে, 
 চলে যেতে হয়।

বসন্ত


                    ✍️সঞ্চয়িতা শর্মা

বসন্তের হঠাৎ আগমন
প্রস্তুতির কিছুই না তেমন,
অঙ্গ সব অসচেতন
বসন্তের স্পর্শে নূতন।
হঠাৎ সে মধুর কুহু ডাক
মনেমনে কত ঘোরপাক,
বহুদিন ঢেকে রাখা মুখ
বসন্তে ভরে যায় বুক।
বসন্ত দারুণ এক কাল
চলতি খেয়ার ছেঁড়া পাল,
বসন্তের মাতাল হাওয়ায়
খেয়াগুলি দিক ভুলে যায়।
কিছু খেয়া তীরে পৌঁছে যায়,
কিছু ডোবে কিছু ভাসে হায়!
বসন্তে চরিত্র গঠন 
বসন্তে জীবন মরণ।
বসন্তে লড়াই প্রাণপণ
বসন্তে পবিত্র হয় মন।
বসন্তের রঙিন আভায়
মনে সবে স্বপ্ন সাজায়।
বসন্তে কভু সব আঁধার,
বসন্তেই দ্বীপ জ্বলে হাজার।
বসন্ত হাসতে শেখায়
বসন্ত বাঁচতে শেখায়।
বসন্তে স্হির যেবা রয়--
সর্বদা তারই বিজয়।
বসন্ত তুমি ঋতুরাজ,
ফুলে কাঁটায় পূর্ণ তব সাজ।
বসন্তের নানা রূপ রঙ
বদলে যায় জীবনের ঢং।
             

বসন্ত


                    ✍️সঞ্চয়িতা শর্মা

বসন্তের হঠাৎ আগমন
প্রস্তুতির কিছুই না তেমন,
অঙ্গ সব অসচেতন
বসন্তের স্পর্শে নূতন।
হঠাৎ সে মধুর কুহু ডাক
মনেমনে কত ঘোরপাক,
বহুদিন ঢেকে রাখা মুখ
বসন্তে ভরে যায় বুক।
বসন্ত দারুণ এক কাল
চলতি খেয়ার ছেঁড়া পাল,
বসন্তের মাতাল হাওয়ায়
খেয়াগুলি দিক ভুলে যায়।
কিছু খেয়া তীরে পৌঁছে যায়,
কিছু ডোবে কিছু ভাসে হায়!
বসন্তে চরিত্র গঠন 
বসন্তে জীবন মরণ।
বসন্তে লড়াই প্রাণপণ
বসন্তে পবিত্র হয় মন।
বসন্তের রঙিন আভায়
মনে সবে স্বপ্ন সাজায়।
বসন্তে কভু সব আঁধার,
বসন্তেই দ্বীপ জ্বলে হাজার।
বসন্ত হাসতে শেখায়
বসন্ত বাঁচতে শেখায়।
বসন্তে স্হির যেবা রয়--
সর্বদা তারই বিজয়।
বসন্ত তুমি ঋতুরাজ,
ফুলে কাঁটায় পূর্ণ তব সাজ।
বসন্তের নানা রূপ রঙ
বদলে যায় জীবনের ঢং।