✍️ অর্পিতা পূজা দাস
ওহে নারী!তুমিই কোমল পদ্ম,মসৃণ মধুর সুগন্ধিত ফুল।
তোমারি সুগন্ধ ছড়ায় প্রকৃতির অনুকূল।
তুমিই রূপের ঝর্ণার আলো চারিদিকে দীপ জালো।
তুমিই বিধাতার সেই অমূল্য সৃষ্টি,
যাকে জুড়ে নতুন প্রজন্ম পেয়েছে দৃষ্টি।
তুমিই কি সেই দশভূজা নারী? যে একহাতে সামলাই সংসার এর প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি।
যেমনি রাঁধ; তেমনি চুল বাঁধ!
নেই কোনো অভিযোগ না আছে অভিমান তাকালে
দেখি আছে শুধু
মায়ার বাঁধনে জড়ায় তোমার ওই দুটি নয়ন
আর স্নেহের ভালোবাসার অফুরন্ত প্রদীপের শিখা।
তোমার নেই বুঝি কোন আবদার?
তুমি ঠিক আমার মায়ের মত
তবে কি নারীর আছে কোন অদৃশ্য রূপ।
কেউবা চিনেছি তোমায় তার জন্মদাত্রী মা বলে।
কেউবা দিয়েছে তোমায় প্রিতৃ পরিচয়।
কেউবা গ্রহণ করেছে তোমায় তার অর্ধাঙ্গিনী রূপে।
বেলা যে যায় বয়ে ক্ষণে ক্ষণে
তেমনি তুমিও নিজেকে রাঙাও নতুনের সন্ধানে।
কিন্তু তুমি কি সেই নারী?
কি তোমার আসল পরিচয়?
তুমি সেই সূর্যের আলো, যা মেঘ বর্ষায়ও নিজের প্রকাশ জ্বালো।
তুমিই সেই শীতল হাওয়া, যা গ্রীস্মের রোদ্দুরেও মেজাজের ভাব উল্টে দিয়ে করো মন মাতোয়ারা।
হে নারী আমি চিনেছি তোমায়!
তুমিই অমাবস্যার চাঁদ হয়ে
জোছনা ছড়াও প্রাঙ্গণে।
তুমিই নতুন প্রজন্মের দেবী দুর্গা, বিপদকে করো সংহার!
তুমিই পার্বতীর মাঝেই শ্যামা কালী কার রূপ।
তুমিই বিদ্যা, জ্ঞান, মধুর সুরেরও দেবী সরস্বতী।
তুমিই দিন দুখিনির অনাহারে
পাশেই থাকা দেবী অন্নপূর্ণা।
তুমি ভালোবাসার ভান্ডার, তুমিই রূপে দেবী লক্ষ্মীর আকার।
তৃষ্ণারও তেষ্টা তুমি
নেই কোন পরিমাপ ধারণ
নিজেরে জন্ম দিলে সিদ্ধ করতে পরের ও সাধন।
প্রকৃতির সৃষ্টি তুমি অনন্যা
তুমি অদ্বিতী