নবোন্মেষ পত্রিকায় আপনাদের স্বাগত

নবোন্মেষ পত্রিকায় আপনাদের স্বাগত

নভেম্বর ই-সংখ্যা

নভেম্বর ই-সংখ্যা 
"গোমতীর তীরে" 
প্রকাশনায়ঃ নবোন্মেষ পত্রিকা 
সম্পাদনায়ঃ গৌরাঙ্গ সরকার
সহযোগিতায়ঃ স্নেহাশীষ রায় এবং দীপা সরকার
নামকরণঃ রাজদীপ ঘোষ
আহ্বায়কঃ সুমিতা বর্ধন
মডেলিংঃ পার্বতী সূত্রধর
ক্যামেরায়ঃ সুকান্ত দেব

নভেম্বর ই-সংখ্যা

নভেম্বর ই-সংখ্যা 
"গোমতীর তীরে" 
প্রকাশনায়ঃ নবোন্মেষ পত্রিকা 
সম্পাদনায়ঃ গৌরাঙ্গ সরকার
সহযোগিতায়ঃ স্নেহাশীষ রায় এবং দীপা সরকার
নামকরণঃ রাজদীপ ঘোষ
আহ্বায়কঃ সুমিতা বর্ধন
মডেলিংঃ পার্বতী সূত্রধর
ক্যামেরায়ঃ সুকান্ত দেব

সম্পাদকীয়.......✍️

সম্পাদকীয়.......✍️
গোমতী নদী ত্রিপুরার দীর্ঘতম একটি সুন্দর প্রবাহমান নদী। এটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। এর প্রধান উৎস হলো ত্রিপুরার ডুম্বুর জলাশয়।
যাইহোক, "গোমতীর তীরে" সংখ্যার মাধ্যমে কবি-লেখকদের অন্তরে প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করা, প্রকৃতি প্রেম জাগরণ করা। আর এই প্রকৃতি প্রেম তৈরি করতে পারে মহান কবি-লেখক। আশা রাখছি সংখ্যাটি সবার মন জয় করবে।
শুভকামনা এবং ধন্যবাদান্তে
গৌরাঙ্গ সরকার 
সম্পাদক, নবোন্মেষ

সম্পাদকীয়.......✍️

সম্পাদকীয়.......✍️
গোমতী নদী ত্রিপুরার দীর্ঘতম একটি সুন্দর প্রবাহমান নদী। এটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৯৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। এর প্রধান উৎস হলো ত্রিপুরার ডুম্বুর জলাশয়।
যাইহোক, "গোমতীর তীরে" সংখ্যার মাধ্যমে কবি-লেখকদের অন্তরে প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করা, প্রকৃতি প্রেম জাগরণ করা। আর এই প্রকৃতি প্রেম তৈরি করতে পারে মহান কবি-লেখক। আশা রাখছি সংখ্যাটি সবার মন জয় করবে।
শুভকামনা এবং ধন্যবাদান্তে
গৌরাঙ্গ সরকার 
সম্পাদক, নবোন্মেষ

গোমতীর তীরে

 
✍️পৌষালী ভৌমিক
ঐ যে গোমতীর তীর,
  তটিনীর ধারে এক মায়ার নীড়,
  কুমারী কলসি কাঁখে ছড়ায় কুন্তলের ভিড়।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  কল্লোলিনী উর্বর করে যেথার তটভূমি,
  ফসলে ভরায়ে ভূতল কর্ষকে দেয় শান্তি।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  জোয়ার ভাটায় দোলে হেথায় ধীবরের প্রাণ,
  ধীবরীর সুপ্রভ কোমরবন্ধ যেন তারই প্রমাণ।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  বিহগ-বিহগীর মধুরতা ওথায় প্রবহমান,
  অনুরাগে আবেগে ধুয়ে যায় শত অভিমান।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  বনানী ঘেরা কুসুমের রঙে রাঙা বিকেল,
  রক্তিমা ছড়ায় কাহিনী আর গল্পকথা অঢেল।
কৃষ্ণবেনীর সুখ-দুঃখের অঙ্গ এ গোমতী,
মায়ার সাগর সে যে অপত্যের জননী,
পবিত্র,পুণ্যময় আর প্রশান্তির নীর,
         ঐ যে গোমতীর তীর...

গোমতীর তীরে

 
✍️পৌষালী ভৌমিক
ঐ যে গোমতীর তীর,
  তটিনীর ধারে এক মায়ার নীড়,
  কুমারী কলসি কাঁখে ছড়ায় কুন্তলের ভিড়।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  কল্লোলিনী উর্বর করে যেথার তটভূমি,
  ফসলে ভরায়ে ভূতল কর্ষকে দেয় শান্তি।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  জোয়ার ভাটায় দোলে হেথায় ধীবরের প্রাণ,
  ধীবরীর সুপ্রভ কোমরবন্ধ যেন তারই প্রমাণ।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  বিহগ-বিহগীর মধুরতা ওথায় প্রবহমান,
  অনুরাগে আবেগে ধুয়ে যায় শত অভিমান।
ঐ যে গোমতীর তীর,
  বনানী ঘেরা কুসুমের রঙে রাঙা বিকেল,
  রক্তিমা ছড়ায় কাহিনী আর গল্পকথা অঢেল।
কৃষ্ণবেনীর সুখ-দুঃখের অঙ্গ এ গোমতী,
মায়ার সাগর সে যে অপত্যের জননী,
পবিত্র,পুণ্যময় আর প্রশান্তির নীর,
         ঐ যে গোমতীর তীর...

নবান্ন

✍️দীপা সরকার 
হেমন্ত তো চলে এসেছে, অনেকেই এই ঋতুকে নবান্নের মাস বলে 
এখন আমার কোনো কাজ নেই 
নেই একটুকরো জমি 
কিভাবে নবান্ন করি আমি ? 

গোধূলির সন্নিকটে গোমতির তীরে দাড়িয়ে 
দিবাসনের অন্তিম রূপ , 
মিলিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমের আভা 
প্রশ্ন মনে -

ক্ষুধা গুলোকে জলে ডুবিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে যারা
ভাতের মূল্য  বুঝে কী  তারা ?
জীবন মানে কী জানে ?
সাধারণ মানুষের সাধারণ  খাদ্য  নেই
সে কতো দিন  ,  

তারাও তো মানুষ ছিলো 
যারা  কাজ করত  ঘর থেকে   কয়েকশো কিলোমিটার দূরে 
বিভিন্ন  কলকারখানায়  ,
ভিন রাজ্যে,  
ওরা পেটের দায়ে ঘর ছেড়েছিল
ঘরের দায়ে জীবন !

ওরা জীবন বলতে শুধু বুঝত  দুবেলা দুমুঠো ভাত

তাদের কি বলবে তুমি , 
যারা ভাতের জন্য এক শহর থেকে আরেক শহর ঘুরে 
প্রাণ দিয়েছিল মাঝ রাস্তার উপরে ।।

নবান্ন

✍️দীপা সরকার 
হেমন্ত তো চলে এসেছে, অনেকেই এই ঋতুকে নবান্নের মাস বলে 
এখন আমার কোনো কাজ নেই 
নেই একটুকরো জমি 
কিভাবে নবান্ন করি আমি ? 

গোধূলির সন্নিকটে গোমতির তীরে দাড়িয়ে 
দিবাসনের অন্তিম রূপ , 
মিলিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমের আভা 
প্রশ্ন মনে -

ক্ষুধা গুলোকে জলে ডুবিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে যারা
ভাতের মূল্য  বুঝে কী  তারা ?
জীবন মানে কী জানে ?
সাধারণ মানুষের সাধারণ  খাদ্য  নেই
সে কতো দিন  ,  

তারাও তো মানুষ ছিলো 
যারা  কাজ করত  ঘর থেকে   কয়েকশো কিলোমিটার দূরে 
বিভিন্ন  কলকারখানায়  ,
ভিন রাজ্যে,  
ওরা পেটের দায়ে ঘর ছেড়েছিল
ঘরের দায়ে জীবন !

ওরা জীবন বলতে শুধু বুঝত  দুবেলা দুমুঠো ভাত

তাদের কি বলবে তুমি , 
যারা ভাতের জন্য এক শহর থেকে আরেক শহর ঘুরে 
প্রাণ দিয়েছিল মাঝ রাস্তার উপরে ।।

একটি বাঁশের নৌকা

✍️পরিতোষ সরকার
সেদিন আমার হাতে ছিল তোমার হাত।
আর সামনে চৌকোণাকৃতির বিশাল
পুকুরের মাঝখানে একটি চিলতে বাঁশের নৌকায়
সুমেরু-কুমেরুর ন্যায় দুই প্রান্তে
দুটি সাদা বলাকা। 
শহরের অসংখ্য গাড়ির হর্ণ আর মানুষের
চিৎকারেও কোনো ভয় নেই।
আছে শুধুই অভিমান।
মাথার উপরে দুলে যায় ল্যাজওয়ালা
ঘুড়ির কেঁটে পড়া সুতো।
বিনা মেঘের বৃষ্টি যেমন মাটির তাপ
শোষে নিতে পারে না;
তেমনি পারে না, কোনো বিচ্ছেদের ঢেউ
প্রেমের একটি বাঁশের তরী তলিয়ে দিতে।

আর পারে না কেউ খোলা আকাশে উড়ে যেতে,
নৌকার এক বিন্দুতে পিছুটান রেখে।

একটি বাঁশের নৌকা

✍️পরিতোষ সরকার
সেদিন আমার হাতে ছিল তোমার হাত।
আর সামনে চৌকোণাকৃতির বিশাল
পুকুরের মাঝখানে একটি চিলতে বাঁশের নৌকায়
সুমেরু-কুমেরুর ন্যায় দুই প্রান্তে
দুটি সাদা বলাকা। 
শহরের অসংখ্য গাড়ির হর্ণ আর মানুষের
চিৎকারেও কোনো ভয় নেই।
আছে শুধুই অভিমান।
মাথার উপরে দুলে যায় ল্যাজওয়ালা
ঘুড়ির কেঁটে পড়া সুতো।
বিনা মেঘের বৃষ্টি যেমন মাটির তাপ
শোষে নিতে পারে না;
তেমনি পারে না, কোনো বিচ্ছেদের ঢেউ
প্রেমের একটি বাঁশের তরী তলিয়ে দিতে।

আর পারে না কেউ খোলা আকাশে উড়ে যেতে,
নৌকার এক বিন্দুতে পিছুটান রেখে।

আলো-ছায়া

   ✍️পুনম বোস 

আচমকা ঐ মেঘের খিলানে শতাব্দীর ঝোড়ো প্রেম 
উপসী অঞ্জলিতে ভেসে বেড়ানো সপ্তমীর দূর্গা কন্যা
অনারম্বর লাল জরি শাড়ি,কাজল চোখে হন্য হয়ে ঘুরে বেড়ানো চেনা শহরের অলিগলি ----------
এক অদৃশ্য আরবীয় সুগন্ধ নিয়ে আসে আরবার
ঐ মৃন্ময়ী আলোক সজ্জা ঠাসা ভীড়ে হঠাৎ প্রেম আমার.............
অপরাহ্নের পুর্বাস্ত সোনা রোদে বিস্ময় শতাব্দীর ছোঁয়া 
ভেসে আসা যান্ত্রিক হুইসেলে ঐশ্বর্য পারাপার
একলা দর্পনে সেই মুখ খোঁজে বিগত ভালো থাকা 
উপসী শারদ আকাশে ছেঁড়া মেঘের আস্তরন...
অনন্ত অস্তরাগ মরিয়া হয়ে দেখে গোধূলির অষ্টগন্ধা!
 সাবেকি প্রতিমার সাথে হেঁটে যায় বিস্তীর্ণ উলুখাগড়া 
কোনো প্রাচীন গর্ভ গুহায় বটের ঝুরির অদৃশ্য আলোছায়া ---------

আচমকা ঐ মেঘের খিলানে শতাব্দীর প্রেম 
উপসী অঞ্জলিতে ভেসে বেড়ানো সপ্তমীর দূর্গা কন্যা।।

আলো-ছায়া

   ✍️পুনম বোস 

আচমকা ঐ মেঘের খিলানে শতাব্দীর ঝোড়ো প্রেম 
উপসী অঞ্জলিতে ভেসে বেড়ানো সপ্তমীর দূর্গা কন্যা
অনারম্বর লাল জরি শাড়ি,কাজল চোখে হন্য হয়ে ঘুরে বেড়ানো চেনা শহরের অলিগলি ----------
এক অদৃশ্য আরবীয় সুগন্ধ নিয়ে আসে আরবার
ঐ মৃন্ময়ী আলোক সজ্জা ঠাসা ভীড়ে হঠাৎ প্রেম আমার.............
অপরাহ্নের পুর্বাস্ত সোনা রোদে বিস্ময় শতাব্দীর ছোঁয়া 
ভেসে আসা যান্ত্রিক হুইসেলে ঐশ্বর্য পারাপার
একলা দর্পনে সেই মুখ খোঁজে বিগত ভালো থাকা 
উপসী শারদ আকাশে ছেঁড়া মেঘের আস্তরন...
অনন্ত অস্তরাগ মরিয়া হয়ে দেখে গোধূলির অষ্টগন্ধা!
 সাবেকি প্রতিমার সাথে হেঁটে যায় বিস্তীর্ণ উলুখাগড়া 
কোনো প্রাচীন গর্ভ গুহায় বটের ঝুরির অদৃশ্য আলোছায়া ---------

আচমকা ঐ মেঘের খিলানে শতাব্দীর প্রেম 
উপসী অঞ্জলিতে ভেসে বেড়ানো সপ্তমীর দূর্গা কন্যা।।

ফিরে আসতে চাই

 ✍ সুমিতা স্মৃতি
আবারও আমি ফিরে আসতে চাই, 
সবুজ বনানী ঘেরা এই সুন্দর ত্রিপুরায়।। 
যেখানে রয়েছে অনেক জাতি, অনেক ধর্মের বাস। 
ত্রিপুরার প্রধান উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম বাঁশ।। 
এখানে রয়েছে বিভিন্ন লোকের ভিন্ন ভিন্ন ভাষা। 
আবারও ত্রিপুরায় ফিরে আসতে চাই এটাই আমার আশা।। 
বড়মুড়া,আঠারোমুড়া অথবা জম্পুই  পাহাড়ে। 
নয়তো বা ফিরে আসতে চাই গোমতী নদী বা মনুর তীরে।। 
বাঙালি, পাহাড়ি বা অন্য সম্প্রদায় রুপে। 
ফিরে আসতে চাই এই মনোরম ত্রিপুরার বুকে।। 
ত্রিপুরাসুন্দরী তিনদিকে বাংলাদেশ দ্বারা আবৃত। 
আরেকদিকে আসাম- আগরতলা জাতীয় সড়ক অবস্থিত।। 
ডুম্বুর জলাশয়ে অথবা শুকনো কোনো জায়গায়। 
ফিরে আসতে চাই আমি এই সুন্দর ত্রিপুরায়।।
প্রতি বছর অনেক দর্শনার্থী ত্রিপুরা দর্শনে আসে। 
শস্য শ্যামলা সুন্দর ত্রিপুরাকে সবাই ভালোবাসে।। 
ক্ষুদ্র এই পাহাড়ি রাজ্য লক্ষাধিক লোকের বাসস্থান। 
এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই বাড়ায় ত্রিপুরাবাসীর সন্মান।। 
তাইতো আমার মন আবারও ফিরে আসতে চায়, 
সবুজ বনে ঘেরা এই সুন্দর ত্রিপুরায়।।

ফিরে আসতে চাই

 ✍ সুমিতা স্মৃতি
আবারও আমি ফিরে আসতে চাই, 
সবুজ বনানী ঘেরা এই সুন্দর ত্রিপুরায়।। 
যেখানে রয়েছে অনেক জাতি, অনেক ধর্মের বাস। 
ত্রিপুরার প্রধান উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম বাঁশ।। 
এখানে রয়েছে বিভিন্ন লোকের ভিন্ন ভিন্ন ভাষা। 
আবারও ত্রিপুরায় ফিরে আসতে চাই এটাই আমার আশা।। 
বড়মুড়া,আঠারোমুড়া অথবা জম্পুই  পাহাড়ে। 
নয়তো বা ফিরে আসতে চাই গোমতী নদী বা মনুর তীরে।। 
বাঙালি, পাহাড়ি বা অন্য সম্প্রদায় রুপে। 
ফিরে আসতে চাই এই মনোরম ত্রিপুরার বুকে।। 
ত্রিপুরাসুন্দরী তিনদিকে বাংলাদেশ দ্বারা আবৃত। 
আরেকদিকে আসাম- আগরতলা জাতীয় সড়ক অবস্থিত।। 
ডুম্বুর জলাশয়ে অথবা শুকনো কোনো জায়গায়। 
ফিরে আসতে চাই আমি এই সুন্দর ত্রিপুরায়।।
প্রতি বছর অনেক দর্শনার্থী ত্রিপুরা দর্শনে আসে। 
শস্য শ্যামলা সুন্দর ত্রিপুরাকে সবাই ভালোবাসে।। 
ক্ষুদ্র এই পাহাড়ি রাজ্য লক্ষাধিক লোকের বাসস্থান। 
এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই বাড়ায় ত্রিপুরাবাসীর সন্মান।। 
তাইতো আমার মন আবারও ফিরে আসতে চায়, 
সবুজ বনে ঘেরা এই সুন্দর ত্রিপুরায়।।

তোকে ভোলা যায়না

✍️বিশাল বিশ্বাস
জানিস!এতোদিন বাদেও তোর কথা ভাবতে আলাদা করে আমার সময় বার করতে হয়না,                                                                বিশ্বাস কর!তোর অনুপস্থিতির অবকাশে তোর স্মৃতিচারণে আমায় তোর ছবি খুঁজতে হয়না,                                                                 তোর সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলি ভাবতে আমায় আর আগের মতন অলিতে-গলিতে ছুটতে হয়না,                                               তোকে নিয়ে লিখতে আমায় কল্পনার জগতে ভাসতে হয়না;আমার লেখায়  কোনোরকম মেকিতার ছাপ লাগাতে হয়না,                                                         কারোর সামনে তোর ব্যাখ্যা করতে আমার একবারও কটূক্তি কিংবা অভিমান করতে  হয়না,                                                                   তুই বহুদূরে জেনেও তোকে ফিরে পাবার জন্যে আমায় মন্দিরে  প্রণামের লাইন দিতে হয়না,                                                    তোর স্মৃতিগুলির শক্তিই বলব নাকি মুহূর্তগুলোর অবদান;যে চলার পথে আমার আর কোনো পথিকের প্রয়োজন হয়না,                                                      পুরোনো মেসেজগুলো যদিও আর দেখাহয়না তবুও তোর পাঠানো প্রথম মেসেজটি যেন আজও ভোলা যায় না,                                                                তোর অনুশাসনগুলি বৃষ্টিতে ছাতা ছাড়া আমায়  আর বেরোতে দেয়না;তোর অনুভবী কথাগুলো আমায় কখনো  ভুলপথে চলতে দেয়না,                                                           আমায় হাসতে কিংবা নোনা জল টপকাতে তোকে ছাড়া আর অন্য কোন কারন খুঁজতে হয়না,                                            আক্ষেপতো একটাই তোকে জন্মদিনে আর সবার আগে শুভেচ্ছা দেওয়া যায় না এবং আমার পরীক্ষার সময় আর তোর কাছ থেকে শুভেচ্ছা পাওয়া যায়না,               
এতোসবের মাঝে সত্যিই প্রশ্ন জাগে,এ কেমন ভালোবাসারে তোর প্রতি আমার?হাজারো চেষ্টা শেষেও যাকে ভোলা যায় না ।।

তোকে ভোলা যায়না

✍️বিশাল বিশ্বাস
জানিস!এতোদিন বাদেও তোর কথা ভাবতে আলাদা করে আমার সময় বার করতে হয়না,                                                                বিশ্বাস কর!তোর অনুপস্থিতির অবকাশে তোর স্মৃতিচারণে আমায় তোর ছবি খুঁজতে হয়না,                                                                 তোর সাথে কাটানো মূহুর্ত গুলি ভাবতে আমায় আর আগের মতন অলিতে-গলিতে ছুটতে হয়না,                                               তোকে নিয়ে লিখতে আমায় কল্পনার জগতে ভাসতে হয়না;আমার লেখায়  কোনোরকম মেকিতার ছাপ লাগাতে হয়না,                                                         কারোর সামনে তোর ব্যাখ্যা করতে আমার একবারও কটূক্তি কিংবা অভিমান করতে  হয়না,                                                                   তুই বহুদূরে জেনেও তোকে ফিরে পাবার জন্যে আমায় মন্দিরে  প্রণামের লাইন দিতে হয়না,                                                    তোর স্মৃতিগুলির শক্তিই বলব নাকি মুহূর্তগুলোর অবদান;যে চলার পথে আমার আর কোনো পথিকের প্রয়োজন হয়না,                                                      পুরোনো মেসেজগুলো যদিও আর দেখাহয়না তবুও তোর পাঠানো প্রথম মেসেজটি যেন আজও ভোলা যায় না,                                                                তোর অনুশাসনগুলি বৃষ্টিতে ছাতা ছাড়া আমায়  আর বেরোতে দেয়না;তোর অনুভবী কথাগুলো আমায় কখনো  ভুলপথে চলতে দেয়না,                                                           আমায় হাসতে কিংবা নোনা জল টপকাতে তোকে ছাড়া আর অন্য কোন কারন খুঁজতে হয়না,                                            আক্ষেপতো একটাই তোকে জন্মদিনে আর সবার আগে শুভেচ্ছা দেওয়া যায় না এবং আমার পরীক্ষার সময় আর তোর কাছ থেকে শুভেচ্ছা পাওয়া যায়না,               
এতোসবের মাঝে সত্যিই প্রশ্ন জাগে,এ কেমন ভালোবাসারে তোর প্রতি আমার?হাজারো চেষ্টা শেষেও যাকে ভোলা যায় না ।।

জীবন তরী

✍️পিংকি দাস। 
নদীর রাশি রাশি জল তরঙ্গ হাত ছানি দেয় 
একাকিত্বের প্রহর শেষে এ যেন নতুনের উন্মাদনা।
চিত্তের অস্থিরতায় জেগে ওঠে সুপ্ত বাসনা 
সহস্র তরঙ্গ মিলে যায় দূর থেকে দূরন্তে।
পাহাড়ের বুক চিরে নদী চলেছে আপন পথে
মন পাখি ডানা মেলে উড়ে যায় তার সাথে।
গ্রীষ্মের খরতাপে টান পড়ে তার স্রোতে
 বর্ষার জলোচ্ছ্বাসে দুই কূলই ভাসে।
 চাঁদের আলোয় নদীর বুকে নানান আলপনা
চোখের পলকে হাজার হাজার কল্পনা।
জীবন তরী এভাবেই ভেসে চলে
কখনো সুখে কখনো দুঃখে জীবন মোহনায়।

জীবন তরী

✍️পিংকি দাস। 
নদীর রাশি রাশি জল তরঙ্গ হাত ছানি দেয় 
একাকিত্বের প্রহর শেষে এ যেন নতুনের উন্মাদনা।
চিত্তের অস্থিরতায় জেগে ওঠে সুপ্ত বাসনা 
সহস্র তরঙ্গ মিলে যায় দূর থেকে দূরন্তে।
পাহাড়ের বুক চিরে নদী চলেছে আপন পথে
মন পাখি ডানা মেলে উড়ে যায় তার সাথে।
গ্রীষ্মের খরতাপে টান পড়ে তার স্রোতে
 বর্ষার জলোচ্ছ্বাসে দুই কূলই ভাসে।
 চাঁদের আলোয় নদীর বুকে নানান আলপনা
চোখের পলকে হাজার হাজার কল্পনা।
জীবন তরী এভাবেই ভেসে চলে
কখনো সুখে কখনো দুঃখে জীবন মোহনায়।

বাস্তববাদী কবি

✍️ শিবব্রত গুহ
কবি সুকান্ত, তুমি হলে বাস্তববাদী কবি,
তোমার কবিতা কল্পনাভিলাষী নয়,
তোমার কবিতা কঠিন কঠোর রুক্ষ 
বাস্তবের পটভূমিতে রয়েছে দাঁড়িয়ে। 
তোমার কবিতা বলে,ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য,
সুন্দর পৃথিবী গড়ার কথা।
তুমি হৃদয় দিয়ে করেছো অনুভব, 
মানুষের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণাকে,
তুমি সর্বদা গেয়েছ মনুষ্যত্বের জয়গান।
মানুষের ক্ষুধাকে তুমি করেছো অনুভব, 
তোমার কবিতা বিপ্লব জাগায় মনে,
তোমার কবিতা দুর্বলের বল,
অসহায়ের হল সহায়।
হে বাস্তববাদী কবি, সুকান্ত, 
তুমি আজো র‍য়েছো বেঁচে,
সংগ্রামী মানুষের হৃদয়ে। 

বাস্তববাদী কবি

✍️ শিবব্রত গুহ
কবি সুকান্ত, তুমি হলে বাস্তববাদী কবি,
তোমার কবিতা কল্পনাভিলাষী নয়,
তোমার কবিতা কঠিন কঠোর রুক্ষ 
বাস্তবের পটভূমিতে রয়েছে দাঁড়িয়ে। 
তোমার কবিতা বলে,ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য,
সুন্দর পৃথিবী গড়ার কথা।
তুমি হৃদয় দিয়ে করেছো অনুভব, 
মানুষের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণাকে,
তুমি সর্বদা গেয়েছ মনুষ্যত্বের জয়গান।
মানুষের ক্ষুধাকে তুমি করেছো অনুভব, 
তোমার কবিতা বিপ্লব জাগায় মনে,
তোমার কবিতা দুর্বলের বল,
অসহায়ের হল সহায়।
হে বাস্তববাদী কবি, সুকান্ত, 
তুমি আজো র‍য়েছো বেঁচে,
সংগ্রামী মানুষের হৃদয়ে। 

ব্যস্ত মানুষ

✍️ইমরান খান রাজ

মানুষগুলো খুব ব্যস্ত
সময় তাঁদের অল্প,
স্বাধীন দেশে শান্ত মনে
বলছি আমি গল্প।

কেউ ব্যস্ত দোকান কার্যে
কেউ খাচ্ছে পান,
কেউবা স্বপ্ন দেখছে অবাধ
বাউল গাইছে গান।

মেঘলা আকাশ ক্লান্ত হয়ে
দিচ্ছে মৃদু হাওয়া,
কারো আবার স্বপ্নগুলো
করছে পায়তারা।

মানুষগুলো ভিন্ন সবাই
রংধনুর মতো,
ছুটে চলে মায়ার টানে
শক্তি আছে যতো।

ব্যস্ত মানুষ

✍️ইমরান খান রাজ

মানুষগুলো খুব ব্যস্ত
সময় তাঁদের অল্প,
স্বাধীন দেশে শান্ত মনে
বলছি আমি গল্প।

কেউ ব্যস্ত দোকান কার্যে
কেউ খাচ্ছে পান,
কেউবা স্বপ্ন দেখছে অবাধ
বাউল গাইছে গান।

মেঘলা আকাশ ক্লান্ত হয়ে
দিচ্ছে মৃদু হাওয়া,
কারো আবার স্বপ্নগুলো
করছে পায়তারা।

মানুষগুলো ভিন্ন সবাই
রংধনুর মতো,
ছুটে চলে মায়ার টানে
শক্তি আছে যতো।

ভিক্ষা

✍️রঞ্জন ব্যানার্জী

মৃতদেহের স্তূপ এড়িয়ে,
অভিশপ্ত এগলি অগলি পেরিয়ে,
ঘুরে চলেছি মৃতনগরীর বক্ষচিরে
একাকী ভিক্ষাপাত্র হাতে।
দিনান্তে শূন্যতা ছাড়া ভিক্ষাপাত্র শূন্য।
নিঃস্ব ,রিক্ত হস্তে ঘুরে বেড়িয়েছি
মৃত নগরীর অভিশপ্ত গলির গোলকধাঁধায়।কেউ দুমুঠো ভিক্ষা দিলো না।শূন্য পাত্র হাতে পায়ে পায়ে এগিয়ে চলি
সহসা ধূলিঝড় ওলটপালট করে দিলো
নিঃস্ব বিষন্ন জীবনটাকে।মৃত্যুপুরীর গোলকধাঁধায় আমি একা একা মানুষের খোঁজ করে চলেছি।কেউ নেই। শোনা যাচ্ছে শুধুই হাহাকার আর বুক ফাটানো গগনবিদারী কান্নার আওয়াজ।
প্রভাতের রক্তিম সূর্য আজ বড়োই ফ্যাকাশে,ম্রিয়মান।তার ও মন বিষন্ন।
কান্নাভেজা আকাশের তলে হাঁটুগেড়ে বসে মানবজাতির তরে প্রার্থনা করলাম।
বললাম-"ঈশ্বর তোমার সৃষ্ট এই মানবনগরী আজ মৃত্যুপুরী,
মানবজাতিকে রক্ষা করো।"
খুব কাঁদলাম ।শূন্য ভিক্ষা পাত্র ছুঁড়ে ফেলে দিলাম।মৃত্যুপুরীর বন্ধ দরজায় দরজায়
করাঘাত করতে করতে দৌড়তে লাগলাম।আমি পথভ্রষ্ট ভিক্ষুক।ভিক্ষার আশায় ঘুরতে ঘুরতে এই মৃত্যুপুরীতে এসেছিলাম।
মানবজাতিকে রক্ষা করতে ছুটে চলেছি নতুন ভোরের চেনা পথের খোঁজে।।

গোমতী

✍🏻কুশল রায়
আঁকা বাঁকা পথ ধরে চলেছ দিবস রজনী
তোমার ঐ ছল ছল রূপেতে সকলে বিভাবরী ৷
সেই তীব্র গতিময় জল রাশি
কখনও কখনও মোদের মনে বাজায় আনন্দের বাঁশি ৷
ডম্বুর হতে উৎপত্তি হয়ে
মোদের রয়েছ চারিদিকে ঘিরে ৷
তোমার সৌন্দর্য ঐতিহ্য কিবা বর্ণিত হয় 
সকল ব্যক্তিই তোমার মাহাত্ম্য কয় ৷
পৌষ সংক্রান্তি হোক আর অন্য কোনো দিন,
তোমার ঐ পবিত্র জলে 
কত লোক স্নান করে প্রতিদিন ৷
তুমি মোদের ভালোবাসা
ত্রিপুরার ঐতিহ্য তুমি,
তুমি চাষিদের বন্ধু 
তীব্র গরমে যখন সব হয় মরুভূমি ৷
তপ্ত দিবস হতে রজনী
তোমার বন্ধু চাঁদ,সূর্য আর জামিনী ৷
তবু নিশিরাতে লাগে বড় ভয়,
কিন্তু তুমি জানো দিনের আলোয়
সেই তুমিই মোদের পরিচয় ৷

গোমতী

✍🏻কুশল রায়
আঁকা বাঁকা পথ ধরে চলেছ দিবস রজনী
তোমার ঐ ছল ছল রূপেতে সকলে বিভাবরী ৷
সেই তীব্র গতিময় জল রাশি
কখনও কখনও মোদের মনে বাজায় আনন্দের বাঁশি ৷
ডম্বুর হতে উৎপত্তি হয়ে
মোদের রয়েছ চারিদিকে ঘিরে ৷
তোমার সৌন্দর্য ঐতিহ্য কিবা বর্ণিত হয় 
সকল ব্যক্তিই তোমার মাহাত্ম্য কয় ৷
পৌষ সংক্রান্তি হোক আর অন্য কোনো দিন,
তোমার ঐ পবিত্র জলে 
কত লোক স্নান করে প্রতিদিন ৷
তুমি মোদের ভালোবাসা
ত্রিপুরার ঐতিহ্য তুমি,
তুমি চাষিদের বন্ধু 
তীব্র গরমে যখন সব হয় মরুভূমি ৷
তপ্ত দিবস হতে রজনী
তোমার বন্ধু চাঁদ,সূর্য আর জামিনী ৷
তবু নিশিরাতে লাগে বড় ভয়,
কিন্তু তুমি জানো দিনের আলোয়
সেই তুমিই মোদের পরিচয় ৷

ভিক্ষা

✍️রঞ্জন ব্যানার্জী

মৃতদেহের স্তূপ এড়িয়ে,
অভিশপ্ত এগলি অগলি পেরিয়ে,
ঘুরে চলেছি মৃতনগরীর বক্ষচিরে
একাকী ভিক্ষাপাত্র হাতে।
দিনান্তে শূন্যতা ছাড়া ভিক্ষাপাত্র শূন্য।
নিঃস্ব ,রিক্ত হস্তে ঘুরে বেড়িয়েছি
মৃত নগরীর অভিশপ্ত গলির গোলকধাঁধায়।কেউ দুমুঠো ভিক্ষা দিলো না।শূন্য পাত্র হাতে পায়ে পায়ে এগিয়ে চলি
সহসা ধূলিঝড় ওলটপালট করে দিলো
নিঃস্ব বিষন্ন জীবনটাকে।মৃত্যুপুরীর গোলকধাঁধায় আমি একা একা মানুষের খোঁজ করে চলেছি।কেউ নেই। শোনা যাচ্ছে শুধুই হাহাকার আর বুক ফাটানো গগনবিদারী কান্নার আওয়াজ।
প্রভাতের রক্তিম সূর্য আজ বড়োই ফ্যাকাশে,ম্রিয়মান।তার ও মন বিষন্ন।
কান্নাভেজা আকাশের তলে হাঁটুগেড়ে বসে মানবজাতির তরে প্রার্থনা করলাম।
বললাম-"ঈশ্বর তোমার সৃষ্ট এই মানবনগরী আজ মৃত্যুপুরী,
মানবজাতিকে রক্ষা করো।"
খুব কাঁদলাম ।শূন্য ভিক্ষা পাত্র ছুঁড়ে ফেলে দিলাম।মৃত্যুপুরীর বন্ধ দরজায় দরজায়
করাঘাত করতে করতে দৌড়তে লাগলাম।আমি পথভ্রষ্ট ভিক্ষুক।ভিক্ষার আশায় ঘুরতে ঘুরতে এই মৃত্যুপুরীতে এসেছিলাম।
মানবজাতিকে রক্ষা করতে ছুটে চলেছি নতুন ভোরের চেনা পথের খোঁজে।।

চলো আজ গিয়ে বসে থাকি নদীর ঘাটে

✍️ রুবেল সালমান খান         
চলো আজ গিয়ে বসে থাকি দু'জনে,
ওই ছোট নদীর ঘাটে।
যখন রাখালেরা গরুর পাল নিয়ে ফিরে।
আর দিগন্তে সূর্য যায় পাটে।

যেখানে নদীর দুই তীরে কাশ ফুল,
 আর চারিদিকে বিস্তৃত ধানের জমি।
যেখানে বিকেলের শেষে সন্ধ্যা নেমে আসে,
 নির্জনে বসে থাকবো শুধু তুমি আর আমি।

সেখানে বসে দেখবো দু'জনে,
 সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছে পাখির ঝাঁক।
নদীতে মাছের খেলা দেখবো,
আর শুনবো কোলা ব্যাঙের ডাক।

বসে থাকবো দু'জনে সারা বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা,
 যতক্ষণ না নদীর জলে চাঁদের চেহারা ভাসে,
যতক্ষণ না ঝিঁঝিঁ গান গায় আর,
হৃদয় জুড়িয়ে যায় সন্ধ্যার  হীমেল বাতাসে।

চলো আজ গিয়ে বসে থাকি নদীর ঘাটে

✍️ রুবেল সালমান খান         
চলো আজ গিয়ে বসে থাকি দু'জনে,
ওই ছোট নদীর ঘাটে।
যখন রাখালেরা গরুর পাল নিয়ে ফিরে।
আর দিগন্তে সূর্য যায় পাটে।

যেখানে নদীর দুই তীরে কাশ ফুল,
 আর চারিদিকে বিস্তৃত ধানের জমি।
যেখানে বিকেলের শেষে সন্ধ্যা নেমে আসে,
 নির্জনে বসে থাকবো শুধু তুমি আর আমি।

সেখানে বসে দেখবো দু'জনে,
 সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছে পাখির ঝাঁক।
নদীতে মাছের খেলা দেখবো,
আর শুনবো কোলা ব্যাঙের ডাক।

বসে থাকবো দু'জনে সারা বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা,
 যতক্ষণ না নদীর জলে চাঁদের চেহারা ভাসে,
যতক্ষণ না ঝিঁঝিঁ গান গায় আর,
হৃদয় জুড়িয়ে যায় সন্ধ্যার  হীমেল বাতাসে।

ময়ূখের কিরণ

✍️উজ্জ্বল ভট্টাচার্য্য
জীবন অনেকটাই ছোটো।
ঠিক কাগজের প্লেইনের মতো।
মিছি মিছি এতো প্রত্যাশার মিছিল,
স্বপ্ন তো রোজ মাছ খেকো চিল।
কখনো কখনো চোখে পড়ে  বুঝি
সামলে ফেলার ব্রিজ,
মানিয়ে নিতে নিতে ঘুম ভেঙে যায়
কান্না জমায় ফ্রিজ।
আলতো নিশি বুক ভেঙে দেয়
মুখের ওপর কাঁথা চাপা,
জানালা দিয়ে চাঁদ ছুঁয়ে দিই
শত নগরীর আমিই ক্ষ্যাপা।
বিন্দু শোক জমিয়ে রাখি
হেঁচকা টানেই তো জীবন,
খেয়াল বিহীন ভাষাই বলুক
ফিরুক এবার ময়ূখের কিরণ।

ময়ূখের কিরণ

✍️উজ্জ্বল ভট্টাচার্য্য
জীবন অনেকটাই ছোটো।
ঠিক কাগজের প্লেইনের মতো।
মিছি মিছি এতো প্রত্যাশার মিছিল,
স্বপ্ন তো রোজ মাছ খেকো চিল।
কখনো কখনো চোখে পড়ে  বুঝি
সামলে ফেলার ব্রিজ,
মানিয়ে নিতে নিতে ঘুম ভেঙে যায়
কান্না জমায় ফ্রিজ।
আলতো নিশি বুক ভেঙে দেয়
মুখের ওপর কাঁথা চাপা,
জানালা দিয়ে চাঁদ ছুঁয়ে দিই
শত নগরীর আমিই ক্ষ্যাপা।
বিন্দু শোক জমিয়ে রাখি
হেঁচকা টানেই তো জীবন,
খেয়াল বিহীন ভাষাই বলুক
ফিরুক এবার ময়ূখের কিরণ।

ভুলে যাও

  ✍️ গৌরাঙ্গ সরকার
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি,
তবে তারে নিয়ে কেন স্বপন দেখো?
মন তুমি কী আশায় তারে ছাড়োনি?

সখী থাকে মোর মন ঘরের কোণে।
কী ভরসায় মন প্রেমের বাঁধন বুনে!
শুধুই করো বিরহের প্রলাপ, সুখের ঘর বাঁধোনি।
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি।

এখন তুমি একলা ঘরে কবিতা লেখো।
রাত আঁধারে স্বপ্ন দেখে কান্নায় চোখ মাখো!
তার আশায় ভাঙা হৃদয় নিয়েও মরোনি!
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি। 

মাঝে মাঝে চোখের নদীতে কেন বন্যা আনো?
কখনো নিশিত রাতে ঘুম ভেঙে ভাসো কেন বানো?
মুচে দাও তারে, দূরে কেন রাখনি?
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি।

ভুলে যাও

  ✍️ গৌরাঙ্গ সরকার
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি,
তবে তারে নিয়ে কেন স্বপন দেখো?
মন তুমি কী আশায় তারে ছাড়োনি?

সখী থাকে মোর মন ঘরের কোণে।
কী ভরসায় মন প্রেমের বাঁধন বুনে!
শুধুই করো বিরহের প্রলাপ, সুখের ঘর বাঁধোনি।
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি।

এখন তুমি একলা ঘরে কবিতা লেখো।
রাত আঁধারে স্বপ্ন দেখে কান্নায় চোখ মাখো!
তার আশায় ভাঙা হৃদয় নিয়েও মরোনি!
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি। 

মাঝে মাঝে চোখের নদীতে কেন বন্যা আনো?
কখনো নিশিত রাতে ঘুম ভেঙে ভাসো কেন বানো?
মুচে দাও তারে, দূরে কেন রাখনি?
যারে তুমি লাল টিপ দিতে পারোনি।

বিচার

  ✍️রাজদীপ ঘোষ
লক্ষ্মী তুই এলি মা-রে,
গৃহস্থের ঘরে ঘরে।
সুখ-সমৃদ্ধি তে ভরিয়ে দে মা,
প্রতিটি গৃহস্তের ঘরের কোণে কোনে। 

জানিস মা-রে গৃহস্থ যে আজ,
আতঙ্কে মরে।
প্রতিটি ঘরের লক্ষী যে আজ,
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।

দেহের লোভে কত অসুর, 
বোন রুপী লক্ষীকে করে ধর্ষন।
শরীরের জ্বালা মিঠানোর পর,
মেরেই ফেলে সেই লক্ষীকে। 

জানিস মা-রে জানিস তুই, 
জীবিত লক্ষীকে তারা জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। 
ঐ ধর্ষনকারী  শয়তানগুলো, 
দিনের আলোতে মানবদরদী রুপে  সাঁজে।

মিনতি করে চাইছি রে লক্ষী---
শক্তি দিয়ে যা তুই নারী জাতিকে। 
ঐ ধর্ষনকারী শয়তানগুলো কে যেন---
শাস্তি দিতে পারে নিজের হাতে। 

শেষ হবে না বললে-রে বোন,
আরো আছে বিচার। 
এ-বেলায় আর বলব না কিছু,
বলব না হয় কাল।

বিচার

  ✍️রাজদীপ ঘোষ
লক্ষ্মী তুই এলি মা-রে,
গৃহস্থের ঘরে ঘরে।
সুখ-সমৃদ্ধি তে ভরিয়ে দে মা,
প্রতিটি গৃহস্তের ঘরের কোণে কোনে। 

জানিস মা-রে গৃহস্থ যে আজ,
আতঙ্কে মরে।
প্রতিটি ঘরের লক্ষী যে আজ,
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।

দেহের লোভে কত অসুর, 
বোন রুপী লক্ষীকে করে ধর্ষন।
শরীরের জ্বালা মিঠানোর পর,
মেরেই ফেলে সেই লক্ষীকে। 

জানিস মা-রে জানিস তুই, 
জীবিত লক্ষীকে তারা জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা করে। 
ঐ ধর্ষনকারী  শয়তানগুলো, 
দিনের আলোতে মানবদরদী রুপে  সাঁজে।

মিনতি করে চাইছি রে লক্ষী---
শক্তি দিয়ে যা তুই নারী জাতিকে। 
ঐ ধর্ষনকারী শয়তানগুলো কে যেন---
শাস্তি দিতে পারে নিজের হাতে। 

শেষ হবে না বললে-রে বোন,
আরো আছে বিচার। 
এ-বেলায় আর বলব না কিছু,
বলব না হয় কাল।

আমি দেখেছি

    ✍️ শ্রী রঞ্জিৎ বিশ্বাস 
আমি মানুষরূপী ভগবান দেখেছি।
আমি ভগবানরূপী শয়তান দেখেছি।
আমি মানুষরূপী পশু দেখেছি।
আমি পশুরূপী মানুষ দেখেছি।
আমি বাঘকে বাঘের মাংস না খেতে দেখেছি।
আমি মানুষকে মানুষের মাংস খেতে দেখেছি।
আমি ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান মানুষের কর্মযজ্ঞ দেখেছি।
আমি মানবরূপী দানবের রাজত্ব দেখেছি।
আমি মাথার স্বর্ণ মুকুট পায়ে আর পায়ের জুতো মাথায় স্থান পেতে দেখেছি।
আমি নাম-যশ-অর্থের কাঙ্গাল দেখেছি।
আমি গদী রাজনীতির নগ্ন রূপ দেখেছি।
আমি ধর্মের নামে মানুষকে বিভেদ করতে দেখছি।
আমি ধর্মের নামে নিরীহ পশু-পাখীর করুণ আর্ত চিৎকার ও তাজা রক্তের স্রোত বইতে দেখেছি।
আমি স্বধর্ম রক্ষার নামে মানুষকে মানুষের রক্তে স্নান করতে দেখছি।
আমি সংস্কারের নামে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন অন্ধ মানুষ দেখেছি।
আমি পশুকে প্রভুভক্ত হতে দেখেছি।
আমি মানুষকে নির্মম-পাষন্ড-বেইমান হতে দেখেছি।
আমি মানুষের শিশুকে পশুরা নিরাপত্তা দিতে দেখেছি।
আমি লালসা মেটাতে মানব শিশুর শরীর ছিঁড়ে খেতে মানুষকেই দেখেছি।
আমি শ্বেত শুভ্র বস্ত্রের নেতার নৈতিক মেরুদন্ড দেখেছি।
আমি কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি আর দলের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করা মাতব্বর নেতার মাতব্বরি দেখেছি।
আমি ভাষণবাজ নেতাকে দাঙ্গা হাঙ্গামার উস্কানি দিতে দেখেছি।
আমি সাধারণ মানুষকে দলাদলি করে মরতে আর উস্কানির নেতাকে এসি রুমে নিরাপদ থাকতে দেখেছি।
আমি দেশের প্রকৃত রক্ষক সেনাদের জীবন মৃত্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে দেখেছি।
আমি নেতা-মন্ত্রী ও তার দলকে পুঁজিবাদীদের খেলনার পুতুল হয়ে নাচতে দেখেছি।
আমি পুঁজিবাদের দানবীয় শোষণ দেখেছি
আমি মরণ নেশায় ও অসংস্কৃতির বিষ সাগরে যুব সমাজকে ডুবে মরতে দেখেছি।
আমি জন্মগত ও পরিবেশগত সংস্কারে প্রাপ্ত প্রতিভাকে সংকীর্ণ চিন্তায় নষ্ট হতে দেখেছি।
আমি প্রতিভাবান ফ্রেন্ডকে একটা গার্লফ্রেন্ড-বয়ফেন্ডের চিন্তায় জীবনকে শেষ করতে দেখেছি।
আমি জন্মদাত্রী মা ও পালনকর্তা বাবাকে অসহায় ভাবে সন্তানহীন অবস্থায় তিলে তিলে মরতে দেখেছি।
আমি পৃথিবীর ৭০ শতাংশ সম্পদ মাত্র ১০ শতাংশের কাছে কুক্ষিগত হতে দেখেছি।
আমি ৭০ শতাংশ মানুষকে শুধু বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অহরহ মরতে দেখেছি।
আমি সোনার চামচে খাওয়া মানুষদের প্রচুর খাবার ফেলে দিতে দেখেছি।
আমি একমুঠো ভাতের জন্যে কোটি কোটি মানুষকে নিত্যদিন মরতে দেখেছি।
আমি সকল দানবের রাজত্ব ধ্বংসের জন্যে  একদল নব বিপ্লবীদের রণসজ্জা দেখেছি।
আমি সেই নব বিপ্লবীদের দলেরই একজন সেটাও আমার হৃদয়ে দেখেছি।

আমি দেখেছি

    ✍️ শ্রী রঞ্জিৎ বিশ্বাস 
আমি মানুষরূপী ভগবান দেখেছি।
আমি ভগবানরূপী শয়তান দেখেছি।
আমি মানুষরূপী পশু দেখেছি।
আমি পশুরূপী মানুষ দেখেছি।
আমি বাঘকে বাঘের মাংস না খেতে দেখেছি।
আমি মানুষকে মানুষের মাংস খেতে দেখেছি।
আমি ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান মানুষের কর্মযজ্ঞ দেখেছি।
আমি মানবরূপী দানবের রাজত্ব দেখেছি।
আমি মাথার স্বর্ণ মুকুট পায়ে আর পায়ের জুতো মাথায় স্থান পেতে দেখেছি।
আমি নাম-যশ-অর্থের কাঙ্গাল দেখেছি।
আমি গদী রাজনীতির নগ্ন রূপ দেখেছি।
আমি ধর্মের নামে মানুষকে বিভেদ করতে দেখছি।
আমি ধর্মের নামে নিরীহ পশু-পাখীর করুণ আর্ত চিৎকার ও তাজা রক্তের স্রোত বইতে দেখেছি।
আমি স্বধর্ম রক্ষার নামে মানুষকে মানুষের রক্তে স্নান করতে দেখছি।
আমি সংস্কারের নামে কুসংস্কারে আচ্ছন্ন অন্ধ মানুষ দেখেছি।
আমি পশুকে প্রভুভক্ত হতে দেখেছি।
আমি মানুষকে নির্মম-পাষন্ড-বেইমান হতে দেখেছি।
আমি মানুষের শিশুকে পশুরা নিরাপত্তা দিতে দেখেছি।
আমি লালসা মেটাতে মানব শিশুর শরীর ছিঁড়ে খেতে মানুষকেই দেখেছি।
আমি শ্বেত শুভ্র বস্ত্রের নেতার নৈতিক মেরুদন্ড দেখেছি।
আমি কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি আর দলের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করা মাতব্বর নেতার মাতব্বরি দেখেছি।
আমি ভাষণবাজ নেতাকে দাঙ্গা হাঙ্গামার উস্কানি দিতে দেখেছি।
আমি সাধারণ মানুষকে দলাদলি করে মরতে আর উস্কানির নেতাকে এসি রুমে নিরাপদ থাকতে দেখেছি।
আমি দেশের প্রকৃত রক্ষক সেনাদের জীবন মৃত্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে দেখেছি।
আমি নেতা-মন্ত্রী ও তার দলকে পুঁজিবাদীদের খেলনার পুতুল হয়ে নাচতে দেখেছি।
আমি পুঁজিবাদের দানবীয় শোষণ দেখেছি
আমি মরণ নেশায় ও অসংস্কৃতির বিষ সাগরে যুব সমাজকে ডুবে মরতে দেখেছি।
আমি জন্মগত ও পরিবেশগত সংস্কারে প্রাপ্ত প্রতিভাকে সংকীর্ণ চিন্তায় নষ্ট হতে দেখেছি।
আমি প্রতিভাবান ফ্রেন্ডকে একটা গার্লফ্রেন্ড-বয়ফেন্ডের চিন্তায় জীবনকে শেষ করতে দেখেছি।
আমি জন্মদাত্রী মা ও পালনকর্তা বাবাকে অসহায় ভাবে সন্তানহীন অবস্থায় তিলে তিলে মরতে দেখেছি।
আমি পৃথিবীর ৭০ শতাংশ সম্পদ মাত্র ১০ শতাংশের কাছে কুক্ষিগত হতে দেখেছি।
আমি ৭০ শতাংশ মানুষকে শুধু বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অহরহ মরতে দেখেছি।
আমি সোনার চামচে খাওয়া মানুষদের প্রচুর খাবার ফেলে দিতে দেখেছি।
আমি একমুঠো ভাতের জন্যে কোটি কোটি মানুষকে নিত্যদিন মরতে দেখেছি।
আমি সকল দানবের রাজত্ব ধ্বংসের জন্যে  একদল নব বিপ্লবীদের রণসজ্জা দেখেছি।
আমি সেই নব বিপ্লবীদের দলেরই একজন সেটাও আমার হৃদয়ে দেখেছি।

কবিতা লিখা

  ✍পাপন দাস
আমিও কবিতা লিখবো একদিন,
কোন এক কাক ডাকা ভোরের সকালে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
কোন সন্ধ্যেবেলায় শিওর না থাকা না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া মানুষটাকে নিয়ে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
সত্য কথা বলার অপরাধে যে ছেলেটাকে চড় মারা হয়েছিলো তার প্রতিবাদ জানিয়ে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
রাস্তায় অবলা প্রাণীটাকে অহেতুক রক্ত ঝাড়ানোর ধিক্কার জানিয়ে।
আমি কবিতা লিখবো একদিন,
জীবনের শত টানাপোড়নে হাজারো ইচ্ছে নিয়া বাঁচা সতেরো বছরের ছেলেটাকে নিয়ে।
আমি একদিন কবিতা লিখবো,
যেখানে ছাপাখানা অক্ষরেই লেখা থাকবে সাহেব নির্দোষ ছেলে নসীবের গায়ে হাত তুলার পেছনের কারণ নিয়ে।
আমি কবিতা লিখবো,
ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়া ছেলেটা উঠে আবারও সত্যকে তুলে ধরা সাহসী বীরের পরিচয় দেওয়া প্রিতমকে নিয়ে।
আমি একদিন কবিতা লিখবো, 
বারবার চ্যালেঞ্জ  জুরে দেওয়া "আমি পারবো" বলা ছোট ভইটাকে নিয়ে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
নিজের কিছু না থাকা সত্বেও সব আছে ভেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সৎ মনোবল থাকা ঐ ছেলেটাকে নিয়ে।
আমি কবিতা লিখবো একদিন, একদিন কবিতা লিখবো আমি
কোন এক মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত, পরদুঃখী,সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা বাঁচিয়ে রাখা, সুচিন্তায়ক কোন এক নেতাকে নিয়ে।

কবিতা লিখা

  ✍পাপন দাস
আমিও কবিতা লিখবো একদিন,
কোন এক কাক ডাকা ভোরের সকালে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
কোন সন্ধ্যেবেলায় শিওর না থাকা না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া মানুষটাকে নিয়ে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
সত্য কথা বলার অপরাধে যে ছেলেটাকে চড় মারা হয়েছিলো তার প্রতিবাদ জানিয়ে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
রাস্তায় অবলা প্রাণীটাকে অহেতুক রক্ত ঝাড়ানোর ধিক্কার জানিয়ে।
আমি কবিতা লিখবো একদিন,
জীবনের শত টানাপোড়নে হাজারো ইচ্ছে নিয়া বাঁচা সতেরো বছরের ছেলেটাকে নিয়ে।
আমি একদিন কবিতা লিখবো,
যেখানে ছাপাখানা অক্ষরেই লেখা থাকবে সাহেব নির্দোষ ছেলে নসীবের গায়ে হাত তুলার পেছনের কারণ নিয়ে।
আমি কবিতা লিখবো,
ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়া ছেলেটা উঠে আবারও সত্যকে তুলে ধরা সাহসী বীরের পরিচয় দেওয়া প্রিতমকে নিয়ে।
আমি একদিন কবিতা লিখবো, 
বারবার চ্যালেঞ্জ  জুরে দেওয়া "আমি পারবো" বলা ছোট ভইটাকে নিয়ে।
আমিও কবিতা লিখবো একদিন, 
নিজের কিছু না থাকা সত্বেও সব আছে ভেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সৎ মনোবল থাকা ঐ ছেলেটাকে নিয়ে।
আমি কবিতা লিখবো একদিন, একদিন কবিতা লিখবো আমি
কোন এক মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত, পরদুঃখী,সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা বাঁচিয়ে রাখা, সুচিন্তায়ক কোন এক নেতাকে নিয়ে।

ডানা কাটা পাখি

  ✍️জবা দাস
আমি এক ডানা কাটা পাখি,
নিজেকে আমি সর্বদা আড়াল করেই রাখি।
স্বপ্ন আমার গগন ছোঁয়ার,
উড়ে যাবো একদিন মেঘের ওপার,
কিন্তু পায়ে যে আমার শিকল বাঁধা।
আমার ইচ্ছা আমি স্বাধীনভাবে বাঁচবো।
গাছের সেই শিশির ভেজা পাতার সনে ,
আমিও একদিন প্রানখুলে হাসবো।
আমি প্রানভরে ধরিত্রীর মধুমাখা রূপ দেখবো,
ভোরের সেই রবির আলোয় আমিও আমার দেহ রাঙ্গাবো।
আমার ডানা নেই , আছে আত্মবিশ্বাস,
তাই আমি একদিন ঠিক উড়ে যাবোই,
এটাই আমার বিশ্বাস।

ডানা কাটা পাখি

  ✍️জবা দাস
আমি এক ডানা কাটা পাখি,
নিজেকে আমি সর্বদা আড়াল করেই রাখি।
স্বপ্ন আমার গগন ছোঁয়ার,
উড়ে যাবো একদিন মেঘের ওপার,
কিন্তু পায়ে যে আমার শিকল বাঁধা।
আমার ইচ্ছা আমি স্বাধীনভাবে বাঁচবো।
গাছের সেই শিশির ভেজা পাতার সনে ,
আমিও একদিন প্রানখুলে হাসবো।
আমি প্রানভরে ধরিত্রীর মধুমাখা রূপ দেখবো,
ভোরের সেই রবির আলোয় আমিও আমার দেহ রাঙ্গাবো।
আমার ডানা নেই , আছে আত্মবিশ্বাস,
তাই আমি একদিন ঠিক উড়ে যাবোই,
এটাই আমার বিশ্বাস।

আমি দেখেছি

     ✍️জুয়েল দেব। 
হ্যাঁ আমি দিতে ভালবাসি, নিতে নয়।
আমি ভেঙ্গেছি, তাই গড়তে ভালবাসি।
আমি হারতে ভালবাসি,
কারন আমি হেরে গিয়েও জিতে আছি।
আমি দেখেছি ভাঙ্গা ভালবাসাকে জিতে যেতে,
আমি দেখেছি জেতা ভালবাসাকে হারতে।
আমি দেখেছি ভালবাসার নামে লালসাকে,
আমি দেখেছি নিঃস্বার্থ ভালবাসাকে।
আমি দেখেছি ভালবাসায় উজার করে দিতে,
আমি দেখেছি ভালবাসার নামে ভিক্ষে নিতে।
আমি দেখেছি ভালবাসায় জীবন সাজিয়ে দিতে,
আমিই দেখেছি ভালবাসার নামে নগ্গ করতে।
আমি দেখেছি ভালাসার চিহ্ন নামে লালসাকে রাস্তার ড্রেনে পড়ে থাকতে,
হ্যাঁ আমিই দেখেছি সেই ড্রেনের লালসাকে মাথায় করে রাখতে।
আমি অতীতের সমাজকে দেখেছি,
হ্যাঁ আমি পাল্টে যাওয়া সমাজকেও দেখেছি।
 আমি দেখেছি,হ্যাঁ আমিই দেখেছি।

তুমি

  ✍️লিটন শব্দকর 
তোমার টানা টানা চোখে
তাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস সুমেরীয়, 
সিন্ধু মহেঞ্জোদারো হরপ্পা
 আর নীল মিশরীয়।
নূপুরের রঙে বিলীন
হোয়াংহো ইয়াংসির বুক,
কাছাকাছি রূপেও চঞ্চল
 আহা ওই হাসিমুখ।
দুপুরের নদীর জলে মেশে
দাগী বসন্তবৌরী কিংবা
 ধনেশের পালকের রঙ;
পলির সবুজ আদর
কাছিমের ডিম বালির তলায়,
তোমার বয়স আমার 
চোখেই পড়েনা কোনদিন 
হেমন্তরাতের শিশির
 শিহরণ আঁকে যখন
জ্যোৎস্না জলের রেখায়।

তুমি

  ✍️লিটন শব্দকর 
তোমার টানা টানা চোখে
তাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস সুমেরীয়, 
সিন্ধু মহেঞ্জোদারো হরপ্পা
 আর নীল মিশরীয়।
নূপুরের রঙে বিলীন
হোয়াংহো ইয়াংসির বুক,
কাছাকাছি রূপেও চঞ্চল
 আহা ওই হাসিমুখ।
দুপুরের নদীর জলে মেশে
দাগী বসন্তবৌরী কিংবা
 ধনেশের পালকের রঙ;
পলির সবুজ আদর
কাছিমের ডিম বালির তলায়,
তোমার বয়স আমার 
চোখেই পড়েনা কোনদিন 
হেমন্তরাতের শিশির
 শিহরণ আঁকে যখন
জ্যোৎস্না জলের রেখায়।

আমি দেখেছি

     ✍️জুয়েল দেব। 
হ্যাঁ আমি দিতে ভালবাসি, নিতে নয়।
আমি ভেঙ্গেছি, তাই গড়তে ভালবাসি।
আমি হারতে ভালবাসি,
কারন আমি হেরে গিয়েও জিতে আছি।
আমি দেখেছি ভাঙ্গা ভালবাসাকে জিতে যেতে,
আমি দেখেছি জেতা ভালবাসাকে হারতে।
আমি দেখেছি ভালবাসার নামে লালসাকে,
আমি দেখেছি নিঃস্বার্থ ভালবাসাকে।
আমি দেখেছি ভালবাসায় উজার করে দিতে,
আমি দেখেছি ভালবাসার নামে ভিক্ষে নিতে।
আমি দেখেছি ভালবাসায় জীবন সাজিয়ে দিতে,
আমিই দেখেছি ভালবাসার নামে নগ্গ করতে।
আমি দেখেছি ভালাসার চিহ্ন নামে লালসাকে রাস্তার ড্রেনে পড়ে থাকতে,
হ্যাঁ আমিই দেখেছি সেই ড্রেনের লালসাকে মাথায় করে রাখতে।
আমি অতীতের সমাজকে দেখেছি,
হ্যাঁ আমি পাল্টে যাওয়া সমাজকেও দেখেছি।
 আমি দেখেছি,হ্যাঁ আমিই দেখেছি।

স্কুল

  ✍️     সুস্মিতা দেবনাথ। 
স্কুল বিদ‍্যাস্তান।
স্কুল হল সমাজ গড়ার পীঠস্তান।।
স্কুল নিয়ন্ত্রণাধীন।
স্কুল জীবনে সবাই স্বাধীন।।
স্কুলের শিক্ষায় মনোষত‍্য পাই।
মা বাবা আর শিক্ষক শিক্ষিকাই হাত ধরে পথ চলাই।।
ভুল করলে সুধরে দেয়। এমনটা স্কুল জীবনেয় বেশী হয়।।
স্কুলকে আজ miss করি।
স্কুলকে আমি ভালবাসি।।
স্কুল শিক্ষামন্দির।  
স্কুলকে শতকুটি প্রনাম করি।।

জীবন এক উপন্যাস

✍️ সৌরভ শীল। 
জীবন এক উপন্যাস হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি
এ জীবনে এক লাইব্রেরী ঘরে বন্দি থাকা কাল্পনিক চরিত্র নয়
এক বাস্তব হাজারো চরিত্রে চিত্র আঁকা
সে কোন রঙিন মলাটের বই নয়,
সে এক  বাস্তবের চরিত্রের রূপরেখা।
সে কোন কাব্যের  সরল ভাষা নয়
সে কোন গল্পের ছেঁড়া পাতা নয়
 সে এক জীবন্ত উপন্যাস
ইতিহাসের পান্ডুলিপি ভস্মীভূত
পাথরে লিখনী আজ হাজারো ক্ষত ক্ষত।
জীবন দলিলে কতখানি
জীবনটাকে কত কি শিখলাম কতটুকুই বা জানি।
জীবন কোন ছন্দে মিলন নয়
হাজারো প্রতিবন্ধকতার মাঝে জীবনের জয়
জীবন যুদ্ধে হেরেছ কত? 
লড়াই তবু থামিও না শিক্ষা নাও
বাস্তবতা শিখতে  শেখো
 রোমাঞ্চে ভরপুর কোন প্রবন্ধ নয়।
সে এক কঠিন উপন্যাস।

জীবন এক উপন্যাস

✍️ সৌরভ শীল। 
জীবন এক উপন্যাস হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি
এ জীবনে এক লাইব্রেরী ঘরে বন্দি থাকা কাল্পনিক চরিত্র নয়
এক বাস্তব হাজারো চরিত্রে চিত্র আঁকা
সে কোন রঙিন মলাটের বই নয়,
সে এক  বাস্তবের চরিত্রের রূপরেখা।
সে কোন কাব্যের  সরল ভাষা নয়
সে কোন গল্পের ছেঁড়া পাতা নয়
 সে এক জীবন্ত উপন্যাস
ইতিহাসের পান্ডুলিপি ভস্মীভূত
পাথরে লিখনী আজ হাজারো ক্ষত ক্ষত।
জীবন দলিলে কতখানি
জীবনটাকে কত কি শিখলাম কতটুকুই বা জানি।
জীবন কোন ছন্দে মিলন নয়
হাজারো প্রতিবন্ধকতার মাঝে জীবনের জয়
জীবন যুদ্ধে হেরেছ কত? 
লড়াই তবু থামিও না শিক্ষা নাও
বাস্তবতা শিখতে  শেখো
 রোমাঞ্চে ভরপুর কোন প্রবন্ধ নয়।
সে এক কঠিন উপন্যাস।

স্কুল

  ✍️     সুস্মিতা দেবনাথ। 
স্কুল বিদ‍্যাস্তান।
স্কুল হল সমাজ গড়ার পীঠস্তান।।
স্কুল নিয়ন্ত্রণাধীন।
স্কুল জীবনে সবাই স্বাধীন।।
স্কুলের শিক্ষায় মনোষত‍্য পাই।
মা বাবা আর শিক্ষক শিক্ষিকাই হাত ধরে পথ চলাই।।
ভুল করলে সুধরে দেয়। এমনটা স্কুল জীবনেয় বেশী হয়।।
স্কুলকে আজ miss করি।
স্কুলকে আমি ভালবাসি।।
স্কুল শিক্ষামন্দির।  
স্কুলকে শতকুটি প্রনাম করি।।

শিক্ষা চায় ভিক্ষা

✍️সুবীর রায়
শিক্ষক হয়ে ভিক্ষুক আজি
ভিক্ষা দেয়না সরকারে,
তারাই ছিলেন বিদ্যালয়ে
ছেলে-মেয়েদের দরকারে।
ভুল কি ছিল?
চাকুরিতে ডেকেছিল সরকারই
তবে কেন চাকরি গেল?
সবাই ভুলে থাকতে চাই
নতুন করে শিক্ষানীতি
শিক্ষক যাক ছারখারে!
একদিন আগে চাকরি পেলে
যোগ্য তারা হয়ে যায়,
এমনতর নীতির ফলে
চারিদিকে হায় হায়!
শিক্ষক বলতে লজ্জা লাগে
নামটা তাদের বিকৃত,
যোগ্য-অযোগ্যের খিচুড়ি রেঁধে 
#১০৩২৩_এ_স্বীকৃত। 
অসহায় আজ শিক্ষা-
রাস্তায় কেন শিক্ষক?
#ঘুটে_পুড়ে_গোবর_হাসে
আমজনতার দরবারে;
তারাই ছিল গুরুজন
সরকারের দরকারে।।

শিক্ষা চায় ভিক্ষা

✍️সুবীর রায়
শিক্ষক হয়ে ভিক্ষুক আজি
ভিক্ষা দেয়না সরকারে,
তারাই ছিলেন বিদ্যালয়ে
ছেলে-মেয়েদের দরকারে।
ভুল কি ছিল?
চাকুরিতে ডেকেছিল সরকারই
তবে কেন চাকরি গেল?
সবাই ভুলে থাকতে চাই
নতুন করে শিক্ষানীতি
শিক্ষক যাক ছারখারে!
একদিন আগে চাকরি পেলে
যোগ্য তারা হয়ে যায়,
এমনতর নীতির ফলে
চারিদিকে হায় হায়!
শিক্ষক বলতে লজ্জা লাগে
নামটা তাদের বিকৃত,
যোগ্য-অযোগ্যের খিচুড়ি রেঁধে 
#১০৩২৩_এ_স্বীকৃত। 
অসহায় আজ শিক্ষা-
রাস্তায় কেন শিক্ষক?
#ঘুটে_পুড়ে_গোবর_হাসে
আমজনতার দরবারে;
তারাই ছিল গুরুজন
সরকারের দরকারে।।

গোমতী

✍আক্তার হোসেন
সূর্যাস্তের বিকেল বেলায়
বসে থাকি গোমতীর কূলে,
বয়ে যাওয়া নদী আমার
নেবে কি কোলে তুলে? 

নদী আমার আপন বেগে 
যাচ্ছে ভাঁটায় চলে,
স্রোতের শব্দে নদী আমার
কি যেনো সে বলে। 

ওহে নদী আমায় ফেলো
কোথায় তুমি যাও?
দূর আকাশে আমায় তুমি
সঙ্গী করে নাও।

আমারও যে ইচ্ছে জাগে
চলতে তোমার সাথে,
হাত দু–খানা বেধে রাখবো 
আমার দুটি হাতে। 

তোমার বুকে নৌকা হয়ে
ভাসবো সারারাত,
চলার পথে দেখবো আমি
নীল আকাশের চাঁদ। 

গোমতী

✍আক্তার হোসেন
সূর্যাস্তের বিকেল বেলায়
বসে থাকি গোমতীর কূলে,
বয়ে যাওয়া নদী আমার
নেবে কি কোলে তুলে? 

নদী আমার আপন বেগে 
যাচ্ছে ভাঁটায় চলে,
স্রোতের শব্দে নদী আমার
কি যেনো সে বলে। 

ওহে নদী আমায় ফেলো
কোথায় তুমি যাও?
দূর আকাশে আমায় তুমি
সঙ্গী করে নাও।

আমারও যে ইচ্ছে জাগে
চলতে তোমার সাথে,
হাত দু–খানা বেধে রাখবো 
আমার দুটি হাতে। 

তোমার বুকে নৌকা হয়ে
ভাসবো সারারাত,
চলার পথে দেখবো আমি
নীল আকাশের চাঁদ। 

মন বিহঙ্গী

  ✍️সঞ্চয়িতা শর্মা
বন্দী খাঁচায় বিহঙ্গিনী
মেলল যবে আঁখি
নীল আকাশে উড়ছে যেথা
অন্য সকল পাখি,

মুখ বাড়িয়ে ঠোঁট উচিয়ে
দেখল বিষম ফাঁকি,
উড়ছে সকল উড়ার সাথী
সেই যে কেবল বাকি!

ভাবছিলো সে খাঁচায় বসে
সেই সে দিনের কথা,
ইচ্ছে মতন দেখতো স্বপন
উড়তো যথা তথা,

সবার সাথে উড়তো যখন
গাইতো সে কী গান
কলকলানি তারস্বরে
বাজতো সবার কান ,

ঐ আকাশের রঙিন আভায়
সবটা এখন স্মৃতির পাতায়
উড়তে নারে ডানার ভারে
অশ্রু ঝরে বন্ধ খাঁচায়।

গানগুলো সব গুলিয়ে গেছে
হারিয়ে গেছে সুর
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন এখন
রয়েছে অনেক দূর।।

মন বিহঙ্গী

  ✍️সঞ্চয়িতা শর্মা
বন্দী খাঁচায় বিহঙ্গিনী
মেলল যবে আঁখি
নীল আকাশে উড়ছে যেথা
অন্য সকল পাখি,

মুখ বাড়িয়ে ঠোঁট উচিয়ে
দেখল বিষম ফাঁকি,
উড়ছে সকল উড়ার সাথী
সেই যে কেবল বাকি!

ভাবছিলো সে খাঁচায় বসে
সেই সে দিনের কথা,
ইচ্ছে মতন দেখতো স্বপন
উড়তো যথা তথা,

সবার সাথে উড়তো যখন
গাইতো সে কী গান
কলকলানি তারস্বরে
বাজতো সবার কান ,

ঐ আকাশের রঙিন আভায়
সবটা এখন স্মৃতির পাতায়
উড়তে নারে ডানার ভারে
অশ্রু ঝরে বন্ধ খাঁচায়।

গানগুলো সব গুলিয়ে গেছে
হারিয়ে গেছে সুর
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন এখন
রয়েছে অনেক দূর।।

কাঁদছে পৃথিবী

  ✍️দ্বীপ বনিক। 
রাস্তা গুলো আজ জন মানব হীন,
নেই যে পদচিহ্ন। 
করোনা আতঙ্কে কাঁদছে পৃথিবী, 
মানব জাতি আজ ঘরে তে বন্ধ।
স্কুল কলেজ গুলো ও বন্ধ আজ,
গাড়ি ও চলে না রাস্তায়। 
নির্জনতা যেন বিরাজ করছে, 
একাকিত্ব আজ মানুষের সহায়।
দেশ থেকে বিদেশের পথে,
চোখের জ্বল শুধু আজ মানুষের সহায়।
মৃত মানুষ গুলো যেন আজ বার্তা দিচ্ছে,
মানব জাতির ভবিষ্যৎ হবে আরও কঠিনতায়।
পাখি গুলো আজ ভাবতে বসেছে,
মানুষ গুলো কোথায় গেল। 
এমন নির্জনতা তো আগে দেখিনি, 
পৃথিবীর বা কী হয়ে গেলো। 
মানুষ আজ শুধু বলছে,
কবে আসবে নতুন ভোর, 
কবে পাবো আমাদের পৃথিবী,
থাকবে না কারো চোখের জ্বল।।

কাঁদছে পৃথিবী

  ✍️দ্বীপ বনিক। 
রাস্তা গুলো আজ জন মানব হীন,
নেই যে পদচিহ্ন। 
করোনা আতঙ্কে কাঁদছে পৃথিবী, 
মানব জাতি আজ ঘরে তে বন্ধ।
স্কুল কলেজ গুলো ও বন্ধ আজ,
গাড়ি ও চলে না রাস্তায়। 
নির্জনতা যেন বিরাজ করছে, 
একাকিত্ব আজ মানুষের সহায়।
দেশ থেকে বিদেশের পথে,
চোখের জ্বল শুধু আজ মানুষের সহায়।
মৃত মানুষ গুলো যেন আজ বার্তা দিচ্ছে,
মানব জাতির ভবিষ্যৎ হবে আরও কঠিনতায়।
পাখি গুলো আজ ভাবতে বসেছে,
মানুষ গুলো কোথায় গেল। 
এমন নির্জনতা তো আগে দেখিনি, 
পৃথিবীর বা কী হয়ে গেলো। 
মানুষ আজ শুধু বলছে,
কবে আসবে নতুন ভোর, 
কবে পাবো আমাদের পৃথিবী,
থাকবে না কারো চোখের জ্বল।।

প্রকৃতির পাঠশালা

    ✍️জয়তী দেবনাথ
পাঠশালাতে প্রতিদিন তো অনেক কিছুই শিখি।
চলো না আজ অন্যভাবে একটু ভেবে দেখি ।।
পাঠশালা তো হতে পারে মুক্ত হওয়ার মাঝেও।
ছাত্র তো আমরা হতে পারি এই প্রকৃতির কাছেও।।
 
পাহাড় শেখায় নিজেকে খুবই উঁচু করে গড়তে।
নদীর স্রোত শেখায় সদাই সকল বাধায় লড়তে।।
শ্যামল ওই তরুলতা শেখায় সতেজ থাকতে।
মাটি শেখায় সকল বিঘ্নে ধর্য্য ধরে রাখতে।।
আকাশ শেখায় তার মতোই মনটা বড়ো করতে।
বৃক্ষ শেখায় গড়ল নাশী সুধায় জগত ভরতে।।
বায়ু বলে চলার পথে সকলে আলোড়িত করো।
বর্ষা শেখায় এই ধরনী শ্যামল শোভায় ভর।।

প্রকৃতির পাঠশালা

    ✍️জয়তী দেবনাথ
পাঠশালাতে প্রতিদিন তো অনেক কিছুই শিখি।
চলো না আজ অন্যভাবে একটু ভেবে দেখি ।।
পাঠশালা তো হতে পারে মুক্ত হওয়ার মাঝেও।
ছাত্র তো আমরা হতে পারি এই প্রকৃতির কাছেও।।
 
পাহাড় শেখায় নিজেকে খুবই উঁচু করে গড়তে।
নদীর স্রোত শেখায় সদাই সকল বাধায় লড়তে।।
শ্যামল ওই তরুলতা শেখায় সতেজ থাকতে।
মাটি শেখায় সকল বিঘ্নে ধর্য্য ধরে রাখতে।।
আকাশ শেখায় তার মতোই মনটা বড়ো করতে।
বৃক্ষ শেখায় গড়ল নাশী সুধায় জগত ভরতে।।
বায়ু বলে চলার পথে সকলে আলোড়িত করো।
বর্ষা শেখায় এই ধরনী শ্যামল শোভায় ভর।।