রুপকথার দেশ

**********★**********
        ….✍ প্রীতম শীল
এই মেয়ে যাচ্ছো কোথায়?
-- রুপকথার দেশে।
সঙ্গে নিবি আমায়?
-- না, আমি পারবো না।
কেনরে মেয়ে?
-- আমি চিনিনা সে দেশ। 
দাঁড়া আমি নেমে আসি।
-- তুই গাছে কেন?
আমি বাঁশি বাজায় গাছে চড়ে।
-- ও আচ্ছা প্রেমিক নাকি?
না গো মেয়ে না।
-- আচ্ছা নেমে আয়।

রুপকথা আমি গল্পে পড়েছি, যদি চাস নিয়ে যেতে পারি।
-- কেমন সে দেশ?
তবে চল চোখটি বন্ধ কর।
-- হুম করলাম।

একটা ঝর্না আছে, তাতে কতোগুলো রুপালী মাছ খেলছে। আমি তোকে নিয়ে মাছ গুলোকে ধরছি। একটু আদর করে আবার ছেড়ে দিচ্ছি। পুরু ঝর্নায় দুজনে ভিজতে ভিজতে গান গাইছি।  তুই আমার গায়ে জল ছিটিয়ে দিচ্ছিস, আমি তোর খোঁপায় বনোফুলের মালা দিয়ে সাজাচ্ছি।

তার পর দুজনে মিলে সমুদ্রতটে যাই। সেখানে বালু দিয়ে নিজেদের নাম লিখছি। কখনো বালুতে শুয়ে উপরের আকাশটাকে দেখছি। কখনো তোর মায়াবী মুখ।

-- হ্যাঁ আমাদের এই রুপকথার দেশে শুধুই তুই আর আমি। এক আকাশ যেন মুক্ত বিছানা। তারা গুলো দলবদ্ধ ফুল, তুই আর আমি মালী।

মনে হয় রুপকথা দেশের আমি রাজা! তুই আমার রানী। কোনো প্রজা নেই, কোনো বিচার নেই। এক রাজ বাড়িতে আমরা দুজন।   
সে দেশের রাজবাড়ী গাঙচিল সবই আমাদের। 

-- সারাদিন শেষে সন্ধ্যার পুব আকাশের সৃর্য্যটা যখন পশ্চিমে ডুবছে। আমি তোমায় বললাম, আমার ভয় করছে,  তুই আমার হাতটি চেপে ধরে বললি কিসের ভয় আমিতো আছি।
সন্ধ্যা নামার পর বনের কাঠ পুড়িয়ে আগুনের মশাল তৈরি করেছিস। ঠিক যেন সারাদিনের ক্লান্তি শেষে দুটো পাখি নিড়ে ফিরে দুজন দুজনকে দেখছে।

হ্যাঁ ঠিক, আমি তোর বুকে মাথা রেখে আমার শরীরের দীর্ঘ্য উষ্ণতায় তোকে জাপটে ধরেছি।  আমার ঠোঁট তোর ঠোঁটে মিশাতেই---

--চুপ করো,  বন্ধ করো। না আমি যেতে চাইনা এমন রুপকথার দেশে। যেখানে এই পৃথিবীর মতো সমস্ত ভালোবাসার ইতি ঘটে দীর্ঘ্য চুম্বনে।

-- আমি বাড়ি চললাম।
এই মেয়ে শোনো। আরে আরে নাম টাতো বলে যাও।
-- নামটা জেনে নিও প্রতিটা প্রত্যাখ্যান হওয়া প্রেমিকার থেকে। যারা কিনা এমন রুপকথার স্বপ্ন দেখে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন