✍️ তুহিন ভৌমিক
----------------------------------------------------
২০১৯ এর ২৮ শে মার্চের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে স্থগিত জনগণা আবার শুরু হচ্ছে। এবারই প্রথম আপনার মাতৃভাষা সাথে সাথে আরো দুটো কী কী ভাষা আমরা জানি তা জানতে চাওয়া হবে। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী নিঃশব্দ ষড়যন্ত্রের শেষের ধাপ । বলিউড, কার্টুন, ক্রিকেট ধারাভাষ্য দিয়ে এতো বছর ধরে আমাদের হিন্দি গেলানো হয়েছে। এবার জানতে চাওয়া হবে আপনি মাতৃ ভাষা ছাড়া আর কি কি বোঝেন। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ, বিশ্ব মানব এবং গোবলয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করা লোকজন দুটো ভাষার মধ্যে একটা অবশ্যই হিন্দি বলবে। এরপরই শুরু হবে খেলা, পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলা হবে ভারতের বেশিরভাগ মানুষই হিন্দি বোঝে তাই সংযোগরক্ষাকারী ভাষা( রাষ্ট্র ভাষার নামান্তর) হিসেবে হিন্দিকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো এবং সেটা হবে ২০২৪ সালের আগেই।
এখন মনে হতে পারে হিন্দি সংযোগরক্ষাকারী ভাষা হলে সমস্যা কি? সমস্যা হলো সেখানে বিদেশী ভাষার নাম দিয়ে ইংলিশের গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, ট্রেন, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার, সর্ব ভারতীয় সমস্ত পরীক্ষা সহ সব একমাত্র হিন্দিতেই হবে। তাতে লাভবান হবে এক ও একমাত্র গোবলয়ের বাসিন্দারা, ৫৫% শতাংশ অহিন্দি জাতির মানুষ হবে বঞ্চিত এবং আপনি আমি হবো দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। আপনি মাতৃভাষার জন্য আজ যে আন্দোলন করছে সেটারও আর ধার-ভার থাকবে না। স্বাধীনতার সময় থেকে আজ পর্যন্ত যে হিন্দি বিষ ঢোকানো চলছিল, তা সম্ভবত পরিণতি পেতে চলেছে।
উপায় একটাই, যে ভাষার কথাই বলুন কোনোভাবেই হিন্দি বোঝেন, বলবেন না এবং সেটা যেখানে লেখা হবে তার ছবি তুলে রাখুন। অহিন্দিভাষী যে সব মানুষ জনগণনায় কাজ করবেন তারাও সতর্ক হন।
আমার সমস্ত বন্ধুদের অনুরোধ করবো এটা কপি পেস্ট করে ছড়িয়ে দিন, বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনকে সচেতন করুন, চায়ের দোকান সেলুনে আলোচনা করুন। আটকাতে আমাদের হবেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন