✍️কানু বনিক
যতটুকু পথ আগলে রেখে তুমি প্রণয়ের পরিধি বাড়িয়েছো, আমি তার সহবাসে সরোবর পযর্ন্ত এগিয়ে যেতে থাকি।
শ্রাবনীধারার শেষলগ্নে আকাশ যখন ধূসর মেঘে আচ্ছন্ন, সনাতনী ধারায় গেরুয়া সন্ন্যাসী এসে ছটপূজায় শান্তিযজ্ঞ করে নেয়।
তুমি এখনও ধ্যানে মগ্ন, ধ্যান ভাঙ্গলে না' হয় দিনের শেষে আশার বাণী শুনিয়ে যাবে।
আমি আজ সায়ন্তনী সন্ধ্যায় তোমার নির্ভেজাল কথাগুলো, ছায়ামেঘের বুকে অক্ষরে অক্ষরে সাজিয়ে চন্দ্রবিন্দু পযর্ন্ত পৌঁছে যেতে চাই ।
আমার আকাশ ততটাই নির্মল, যতটা পূর্ণতা তোমার খেয়ালে ছায়ামেঘের অন্তরালে দিবাকরের এক টুকরো আলোর প্রচ্ছদ এঁকেছে।
আমি যখন পথিক, দুপাশের বনানীর আলতো ছোঁয়া মনটাকে উজাড় করে দূর দূরান্তে চলে গিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে রয়ে গেছে।
তুমি যদি ছায়াপথ ঘুরে এসে বলো একটা নতুন আলোর সন্ধান পেয়েছি, আমি তার ঠিকানাটা হয়তো তোমার কাছে চেয়ে নিতে পারি।
আমি নিধিবনের গভীরে গিয়ে শুধু জোনাকির আলো দেখতে পাই , তোমার অলিখিত সম্পদ সেই আলোর লহরীতে বুদবুদ ছড়ায়।
তোমার অমোঘ কথাগুলো যদি কোনো পবিত্রগ্রন্থে লেখা হতো, আমার সায়ন্তনী সকালে সকল পাওয়া বুকে মেখে নেওয়া যেতো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন