-গৌরাঙ্গ সরকার
যখনি মোর মম তুলে বিরহের তরঙ্গ,
তুমি যে সন্নিকটে এসে দাও ধরা ;
অপরুপা হয়ে হও মোর মম সঙ্গ।
দেখেছিনু তোমার সবুজ ভরা হৃদয়,
পেয়েছিনু তোমার করুণা ভরা স্পর্শ ;
হে প্রিয়! আরো কাছে টানো তোমার, এই মোর সবিনয়।
শত খোঁজে আশার আলো পায়নি যাহা,
তুমি এক অচেনা পথিক হয়ে;
তোমারে না চাইতেই শূন্য হৃদয়ে ঢেলে দিলে তাহা।
জীবন-যাত্রায় অনেক দেখেছি,অনেক পেয়েছি,
পায়নি কেবল রঙিন চোখ,পায়নি মনের তৃষ্ণা ;
আজ পেয়েছি সব, যাহা আমি খোঁজেছি।
হে প্রিয় নৈসর্গিক! যখনি হৃদয়েতে যাহারে চেয়েছি;
তাকে পায়না পায়,বারংবার তোমারেই যে পেয়েছি।।
কবি পরিচিতি- কবি গৌরাঙ্গ সরকার জন্ম গ্রহন করেন ২রা জুলাই ১৯৯৩ সালে পশ্চিম ত্রিপুরার সিধাই মোহনপুরের কালিকামুড়া নামক এক গরীব গ্রামে। পিতা অমরচাঁন সরকার মাতা ভানুরানী সরকার। কবি অতন্ত্য গরীব কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা তিনি খুব কষ্টে দিন যাপন করেন,এমনকি না খেয়েও থাকতে হয়েছে, ২০১৪ সালে তাঁর পিতা মারা যাওয়ায় কর্ম জীবন আরো কঠোর হয়ে যায়। কবি একাধারে প্রকৃতি প্রেমিক এবং নিরাকার ঈশ্বরের ভক্তি প্রিয়। কর্মজীবনে তিনি নানান কাজের সঙ্গে যুক্ত - একটি সামাজিক সংস্থার সম্পাদক হিসাবে কাজ করছে, একটি ম্যাগাজিনে সম্পাদনা করছেন। তাছাড়া বেসরকারী স্কুল এবং গৃহ শিক্ষকতা উনার কর্ম। কবি কর্ম জীবনের পাশাপাশি নানান লেখার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি মোট কবিতা লেখেন ১০৩ টি এবং গল্প লেখেন ১টি, প্রবন্ধ ১টি "শিশুর মানসিক ভারসাম্য" (অসম্পূর্ণ) একটি কাব্যগ্রন্থ "কবিতার ফুলে সাজাই রূপসী ত্রিপুরা"(অসম্পূর্ণ)
উল্লেখযোগ্য কবিতার মধ্যে রয়েছে - 'মা', গুরুদেবের প্রতি', 'স্মৃতির কথোপকথন', 'তোমার চাওয়া', 'যা পাখি উড়ে যা', 'বন্ধু', 'হৃদয়ের তৃষ্ণা', 'শৈশব', 'শান্তির বাণী', 'মনের ক্ষুধা', 'কবিতার ডাকঘর', 'শেষ স্মৃতি'।
তাছাড়া বাংলা সনেট ৩টি এবং ইংরেজি সনেট ৪টি রচনা করেন। তিনি সমাজ সংস্কারক হিসাবে কাজ করতে চান,তাই তিনি নিজেকে সমাজের কাজে উৎসর্গ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন