-মৌ মন্ডল (গাঙ্গুলী)
পাঠকই একদিন কবিকে ,
খুঁজতে চেয়েছিলো শিরায়,উপশিরায়।
দীর্ঘ প্রতীক্ষায় দিবা রজনী পার করেছিলো,
কবির আগমনের অপেক্ষায় ।
পাঠকই একদিন কবিকে বুঝতে চেয়েছে অনন্তকাল,
বৃথা হয়েছে তবু ছাড়েনি হাল,
কবির খোঁজে মহুয়ার নেশায় হয়েছে মাতাল ।
পাঠকই একদিন কবিকে খুঁজতে খুঁজতে,
হারিয়ে ফেলেছিল জীবনের বাঁক,
ঠিক তখনই কোথা হতে ভেষে আসে কবির ডাক।
তারপর একদিন কবিতে পাঠকে,
একাকার হয়ে জন্ম নেয় ছোট্ট কবি ।
সে কবি উন্মাদ হয়েছে বড়ো হবার নেশায়,
সে ভুলেই গেলো কোথা হতে তার জন্ম।
বদলেছে মোদের প্রজন্ম ।
আজ বলতে কোনো দ্বিধা নেই,
পাঠক কখনোই কবিকে এড়িয়ে চলেনা।
কবিই কবিকে এড়িয়ে চলে,
পাঠক আজ বন্দী কবিতার বেড়াজালে।
পাঠক কবিকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই কবি হয়ে উঠেছে,
তাই সে বুঝতে পেরেছে,
কবি কে বোঝা নয়কো সোজা,
কবি যে ছন্দ দ্বারা নিজেকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখেন।
কবি পরিচিতি: জন্ম ১৯৯৭ সালের ২১জুন, নদিয়া জেলার আলাইপুর গ্রামে। ছেলেবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি বিশেষ টান,সেই সূত্রেই একটু আধটু লেখালেখির সূত্রপাত ঘটে। ছেলেবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো একজন সৎ লেখিকা হবার, দারিদ্রের মতো একটা অভিশাপ কবির লেখালেখিতে একরকম বাধা সৃষ্টি করে। ২০১৪সালে প্রিয়রঞ্জন মণ্ডলকে বিয়ে করেন, এবং বিয়ের দুবছর পর থেকে ফেসবুকের সূত্রে আবারও নতুন করে সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সর্ব প্রথম পারিজাত সাহিত্য পত্রিকার শারদ সংখ্যায় "বোনের ওড়নায় ভাইয়ের ফাঁসি" নামে একটি গল্প প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপ সহ পত্র পত্রিকাতে নিয়মিত লেখালেখি করেন, ২০১৮সালে কবি প্রথম আন্তর্জাতিক সাহিত্য একাডেমি থেকে সেরা লেখনী সন্মান এবং ২০১৯সালে পারিজাত সাহিত্য পত্রিকা পরিবার থেকে পারিজাত সাহিত্য রত্ন পুরষ্কারে ভূষিত হন। কবির একটাই উদ্দেশ্য, সাহিত্য সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করে তোলা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন