কাঠ কস্তুর (২)

✒️চন্দন পাল

* মরুদ্যান
হাঁসফাঁস, স্যাঁতসেঁতে মরুতনু। প্রতি প্রত্যঙ্গে পৃষ্ঠে বসনবাকলের আঁড়ে অবিরাম হিমতৃষা। সন্ধ্যাশেষেও দরদর ঝরঝর। স্বেদজলরেখা আঁকা, সবুজ কবি ও কবিতার কপাল কপোল গ্রীবা গণ্ড, উপলছাতি কটি জঙ্ঘা মুরা। বিন্দু বিন্দু নোনাজল গিলে লজ্জাহরা আবরণ। কবি অনায়াসে তুলে নেয় স্ববাকল। দিনমান অবসাদে অবসন্ন কবিতা ঢলে পড়ে নিভৃতে মশাজালবর্গে। মধ্যনিশীথে কলমের বিনিদ্র চোখ দ্যাখে বিছানায় নিয়নের মায়ায় কবিতা! সৃষ্টির নিখুঁত শিল্প স্বল্পাবৃত! অনীহায় উষ্ণতাতে বশ্যতামাখা। উর্ধ্বে নিঃশব্দ আবর্ত পাখা। নিম্নে অবিনস্ত কুঞ্চিত কেশদামে নির্লিপ্ত পদ্মমুখ ঈষৎ হেলে। চাঁদবাঁকা ভ্রুর ঢালে নিমীলিত আঁখি যেন তুলিটানা দুই কৃষ্ণবাঁকধনু। মখমলি ওষ্ঠ ফাঁকে একাধিক অর্ধমুক্তোর ঝিকিমিকি। সুডৌল গ্রীবা শেষে, সুডৌল বক্ষোজ অনিন্দ্য সূর্যমুখী। তারই দাবী মেনে অবহেলে কাঁচুলি। রোমাঞ্চমাখা মরুগায়ে এক বিষ্ময়কর মরুদ্যান। পূর্বরাগাচ্ছন্ন কলম পরিমলাকাঙ্ক্ষায় সলাজ সঘন তাকায়। কবিতা বিভোর অচেতনে।

* কৈশোরোত্তর পাঠ
শ্বান,মন্ডূকের সকাশ মিলন প্রশ্ন এসে থামে, বয়ঃসন্ধি চোখে। গাঙভেজা কি মেঘভেজা বনবালার বিরল সৌষ্ঠব চলে অবচেতনে। কদাপি তাঁতশিল্প ভেদিয়া সবৃন্তবিল্ব ভাসে তাম্রাভ ঝলকে। স্নায়ুটানটান সরলরেখা আঁকে আড়াল রাখালের দেহে। জীবনস্তরের প্রাকৃতিক গুণে কখনো খেলে কখনো ঘর বুনে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন