….✍ সুপর্ণা মজুমদার (রায়)
চল্ তোকে নিয়ে যাবো
সমুদ্র স্নানে,
তুই যে বলেছিলিস যাবি একসনে !
যেথা তীরে এসে চুমু খায় ঢেউ দলে দলে,
আবার দুজন যাবো সেই নীল জলে ।
চল্ তোকে নিয়ে যাবো সমুদ্র স্নানে,
যেথা তরঙ্গ টঙ্কার তুলে সাগরের প্রাণে ।
নোনাবালি চড় ধরে যাবো বহুদূর ,
নয়ন ভরে দেখবো সেথা মোদের নূতন ভোর ।
নীল জলের ঐ পারে অবগাহন শেষে ,
অভ্রজ্যোতি অরুণোদয় গৈরিক বেশে।
চল্ তোকে নিয়ে যাবো ঊষর বালিয়াড়ি,
যতদূর চোখ যায় বালি সারি সারি ।
বালুকাবেলা হাত ছুঁবে ক্লান্ত দিনের শেষে,
নীরবতা কথা বলে নিঃশব্দকে ভালবেসে ।
চল্ তোকে নিয়ে যাবো শান্ত নদী তীর,
যেথা পানকৌড়ি ভেসে বেড়ায় ছোট্ট ঢেউয়ের নীর ।
চুপটি করে বসবো দুজন সেই বিজন ধার,
তরী নিয়ে মাঝি ভাই হচ্ছে পারাপার ।
নদীর বুকে রাজহংসের অবাধ সন্তরণ ,
দিগন্তের ঐ অস্তরাগ দেখবো দুজন ।
চল্ তোকে নিয়ে যাবো বৃষ্টি ধারা মাঝে,
গুরুগম্ভীর মেঘ যেথা গরজে বাজে।
ঝরো হাওয়া শীতল স্পর্শে দোলা দিয়ে যায়,
ভালবাসা এমনি হয় কানে বলে যায় ।
চল্ তোকে নিয়ে যাবো নীল গগনের পাশে ,
যেথা ভালবাসা বিনিময়ে ক্ষীণ মেঘ ভাসে ।
আমিও তোর চোখে ভেসে যাবো বলে,
নিশীথ রাত জাগি একা নীরব হলে পড়ে।
কবে কি ঘটেছে, ভুলে যেতে চাই,
খসে যাওয়া ঝরাপাতা পিছুটান নাই ।
রাতজাগা পাখি হয়ে সুরে সুর মেলাবো,
(তোর) ভালবাসার কাছে আমি সবটুকু বিলাবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন