দরিদ্র জীবন


                    ✍️সনত রায় 


বেশ কিছুদিন আগের কথা, যখন সতীশের মা-বাবা দুজনই স্বর্গে গমন করেন । এবং সতীশ ই ছিল তার মা-বাবার প্রথম এবং শেষ সন্তান । কি করবে, কোথায় যাবে কিছুই বোঝে ওঠতে পারছিল না । বয়স অল্প কে-ই বা তাকে কাজে রাখবে‌, আর যদি কাজে রাখে তাহলেও বেতন কম । অল্প বয়সে প্রবল চিন্তায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে । লেখাপড়ায় মনোযোগী থাকলেও অর্থের অভাবে আর পড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না হয়তো । এই দুর্দিনে তার কোন আত্মীয় স্বজন তার সঙ্গ দিচ্ছিলো না কেউ কোনদিন একটা খবরও নিতে আসেনি । এই পরিস্থিতিতে তার এমন মনে হয়েছিল যে ভগবান হয়তো পৃথিবীর সকল দুঃখ তার জন্যেই সৃষ্টি করেছেন । হতাশ হয়ে কাঁদতে থাকে সে । সফলতার কোনো পথই খোলা নেই । তখন সে নিজের মনোবল শক্ত করে এই পথটি বেছে নেয় যে সে অল্প বয়সেই কঠোর পরিশ্রম করবে, জীবনে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে হবে তাকে । কেউ যাতে তার মা-বাবার উপর প্রশ্ন তুলতে না পারে । কিন্তু কোন পথ ধরে সে এগিয়ে যাবে বোঝে ওঠতে পারছিল না । 
               ছেলেটি অনেক পরিশ্রমী এবং সৎ থাকা সত্ত্বেও খালি পেটে, বরন-পোষন কিছু নেই , গরম-ঠান্ডা মানিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়েছিল তার । এভাবে চলতে চলতে সে একদিন অসুস্থ হয়ে পরে । টাকার অভাবে ডাক্তারের কাছে যেতে পারেনি । অসুস্থতা চলাকালীন সময়ে কয়েকদিন যাওয়ার পর তার মৃত্যু ঘটে । আজ যদি তির প্রচুর টাকা বা স্বল্প ধন থাকতো তাহলে হয়তো সে এবং তার মা-বাবার এই দুর্দিনের‌ সম্মুখীন হতে হতে না । শুধুমাত্র টাকা না ‌থাকার কারনেই আজ একটি সুন্দর সুষ্ঠ পরিবারের নাম মিটে গেছে এই পৃথিবী‌ থেকে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ