বিশ্বকবির প্রতি

প্রবীর পাঁন্ডে
----------------------------------
ধন্য তুমি কবিবর শ্যামল ধরায়
ছড়ালে জীবন সুধা কাব্য গীতিকায়-
প্রবন্ধে,গল্প কথায়,নাটকে আখ্যানে
বিরহ মিলন ময় মধুর বাখানে। 
কত নব নব ছন্দে, কত সুর গানে 
হৃদয় করিলে পূর্ণ ও গীতিবিতানে। 
তুমি না গাহিলে গান কাব্যবীণা লয়ে-
তুমি না রচিলে গীত সুর ছন্দ দিয়ে-
কে গাঁথিত গীতিমাল্য কবিতার হার! 
কে করিত উন্মোচন নন্দনের দ্বার! 
কে জানিত হৃদয়েও আছে মধুবন! 
চিত্ত সেথা অবিশ্রাম করে বিচরণ। 
সেথাও বসন্ত আসে ধরে যে মুকুল, 
সুমন্দ বাতাস বহে ফুটে শত ফুল। 
তুমি না করাতে যদি পরিচয় খানি-
অন্তরের কথাগুলো বাহিরেতে আনি, 
কে জানিত মানবের হৃদয় গুহায়
এত কথা এত ভাব রয়েছে লুকায়! 
যত কথা ছিল এই মরম মাঝারে
হৃদয়ের দ্বার খুলে আনিলে বাহিরে। 
কল্পনার চিত্র দিয়া করিয়া রচন 
জনে জনে সকলে করিলে বিতরন। 
কুশ্রীতার মাঝখানে বিচিত্র সুন্দরে 
নব রূপে নব রঙে দিলে তুমি ভরে। 
যত কিছু অসুন্দর তব শ্পর্শ পেয়ে
উঠিল নিমেষ তরে চিরশুভ্র হয়ে। 
বাংলার নদী মাঠ,পুস্পিত কানন
সর্বত্র তোমার কবি মানস চারণ। 
মানসীর ভাবোচ্ছ্বাসে; সোনার তরীতে
ভাসালে জগৎ জনে সৌন্দর্যের স্রোতে।

হে বিশ্ব বন্দিত কবি? জগতের রবি;
কোথা হতে পেয়েছিলে এ সুন্দর ছবি। 
কোথা হতে পেয়েছিলে এত ভাব ভাষা;
এত সুর, এত গান, এত ভালোবাসা।
তুমিই প্রথম কবি বিশ্ববাসী জনে 
বেঁধেছিলে একসূত্রে প্রাণের বন্ধনে। 
মিলন সাগর তীরে করিয়া আহ্বান
দিয়েছিলে সবাকারে প্রেমমন্ত্র দান। 
ধন্য তুমি বিশ্বকবি বিশ্বগত প্রাণ 
করালে জগত জনে প্রেমামৃত পান।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন