✍️ চন্দন পাল
রাস্তায় এক চতুর্দশীকে বললাম,,,
এই খুকি কাজ ফেল্ , স্কুলে যা। পড় ।
লেখাপড়া ছাড়া দেশটাকি এমনিই গড়বে!
বললো, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবে !?
স্কুলে গেলে, আমি না হয় 'মিড ডে মিল'টা পাবো--
কিন্তু বাড়িতে আমার কুট্টুটা, সয্যাশায়ী মা' টা,,, কী খাবে ? আর অষুধ,,,,!
বাপ তো সেই কবেই পালিয়েছে। কারওবা মরেছে।
থাকলেও বা সবার যোগাড় করতে পারে কই।!
দুর্বল, অদক্ষ বলে, অর্ধেক দিয়ে তাড়িয়ে দাও।
দাও না!!
উফ্! যেন চাবুক!
ত্বরায় পালানোর পথ খুঁজি,
চলতে চলতে হোঁচট খাই!
দেখি, তারাতো নির্বল, অসহায় ছিলনা কেহই!!
একবার দেশভাগ, একবার ভাষাভাগ, একবার দলভাগ করে করে গ্রামছাড়া করলে হাতে আর কত থাকে !?
ঝর জল দাঙা ভূকম্পের মার তো আছেই।
দুচারজন না-হয় বাছাইকর্তার পকেটে গুঁজে দিয়ে রেশনটা, চাকরীটা বাগিয়ে নিলো! বাকিরা ---
বাকি আরও সোয়াকোটি খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানহীন ।
সংস্কারহীন, শপথহীন, ঘরছাড়ারা ঘুরে ঘুরে বড় হয় নগরে বন্দরে, নৈশালয়ে।
তারপর বছর বছর জন্মদেয় আরও আরও ঝুপড়ি শিশু।
তারাও বড় হয় আবার খাবার খোঁজে, কাজ খোঁজে।
কেউবা তাদের নিয়ে ব্যবসা ফাঁদে।
ওফ্! আমার হোঁচট আর শেষ হয় না।
বড় এক লাগে,
বড় একা লাগে কর্মে ধর্মে প্রতিনিধিত্বে।
যদি সবাই একযোগে পূষন হতে পারতাম,
তাহলে বলতে পারতাম---
শিশু শ্রম নিষিদ্ধ!
0 মন্তব্যসমূহ