মাধুরী কথন

✍️ মাধুরী লোধ

ফুল গুলো দারুন হাসে দারুন আনন্দে ফোটে গায়ে মেখে শীতকাল
প্রজাপতির দলের পাখায় নাচে শীতকুয়াশা রাঙ্গা গোধূলি  বিকাল ।
 শিশু কিশোর কিশোরী রা হুঁ হুঁ শীতে ঠোঁটে চাটে টক কটা নোনতা ঝাল 
বৌ রানী বলে কোথায় আছেন সূর্য মামা  শীত তাড়াতে দিন রোদের জাল ।
মৌমাছির দল ছুটছে সরিষা মাঠ মৌরানী খুশিতে মারছে লাফ ফাল 
শীতের মাঠে সবজি আনাজ কৃষাণ কৃষাণীর চোখ মুখে হাসিখুশির সকাল 
দাদু কেঁপে বলেন বাঁচবো না আর এবারের শীতে এখন জ্বালো খড়কুটো
আগুন তাপে ও হয় না গা গরম এ যে বয়সের দোষ হাড়ে গজিয়েছে বুড়ো ধান  দূর্বো ।।
হাঁসের গায়ে লাগে না শীত ওদের আছে তাপ উত্তাপ সবলতার চাবিকাঠি
তাইতো শীত কমাতে শৌখিন মানুষ খায় হাঁসের মাংস থাকতে সুস্থ সবল পরিপাটি ।
মাছ গুলো এতো শীত শীত করে না সাঁতরে বেড়ায় এ পাড় ও পাড় সেপাড়ে
খালি ওরা থাকে ভয়ে ভয়ে এই বুঝি পড়বে ধরা জেলেদের জালে বেচতে নেবে বাজারে ।
শীত পাখি গুলো শীতের ভয়ে দেশ ছেড়ে পরিযায়ী হয় ছুটে আসে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে
খালের ধারে ঝিলের পাড়ে জমিয়ে করে স্্সার যাপন ওরা নাচে গায় উড়ে ঘুরে  দলে দলে ।
শীতের পোশাক বাড়তি কাঁথা কম্বল লেপ সোয়েটার মোজা গরম নরম টুপি চাদর ,
উম্মে আর ঘুমে শীতের ভারী কদর  শীত কাল ভাবে আর কোন ঋতু পায় আমার মতো আদর  ।।।
জঙ্গলের পশু উম খোঁজে চরম শীতে তাদের তো নেই চাদর সোয়েটার কম্বল
তাগড়া শরীর দিয়ে করে ছুটাছুটি মারপিট লড়াই বড়াই সূর্যের তাপ থাকে সম্বল 
গৃহস্থের ঘরে বড়ো আদরে থাকেন পোস্য খড়ের বিছানা বস্তা দোরে খিল লাগিয়ে
এ করূই কেটে যায় মাত্র দু মাসের শীতকাল হেঁটে চলে আনন্দ পিকনিকে মনকে গরম তাতিয়ে ।
চারদিকে শুনি মেলা মেলা ফুল তরকারি বস্ত্র ব ই পিঠে পুলি হাসিখুশি মুখের বড়ো আয়োজন
আমি ছুটি দলের সাথে মন খারাপের ঔষধি খুঁজতে গায়ে মেখে রাখি শীতকালীন বিনোদন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ