✍️রঞ্জন ব্যানার্জী
মৃতদেহের স্তূপ এড়িয়ে,
অভিশপ্ত এগলি অগলি পেরিয়ে,
ঘুরে চলেছি মৃতনগরীর বক্ষচিরে
একাকী ভিক্ষাপাত্র হাতে।
দিনান্তে শূন্যতা ছাড়া ভিক্ষাপাত্র শূন্য।
নিঃস্ব ,রিক্ত হস্তে ঘুরে বেড়িয়েছি
মৃত নগরীর অভিশপ্ত গলির গোলকধাঁধায়।কেউ দুমুঠো ভিক্ষা দিলো না।শূন্য পাত্র হাতে পায়ে পায়ে এগিয়ে চলি
সহসা ধূলিঝড় ওলটপালট করে দিলো
নিঃস্ব বিষন্ন জীবনটাকে।মৃত্যুপুরীর গোলকধাঁধায় আমি একা একা মানুষের খোঁজ করে চলেছি।কেউ নেই। শোনা যাচ্ছে শুধুই হাহাকার আর বুক ফাটানো গগনবিদারী কান্নার আওয়াজ।
প্রভাতের রক্তিম সূর্য আজ বড়োই ফ্যাকাশে,ম্রিয়মান।তার ও মন বিষন্ন।
কান্নাভেজা আকাশের তলে হাঁটুগেড়ে বসে মানবজাতির তরে প্রার্থনা করলাম।
বললাম-"ঈশ্বর তোমার সৃষ্ট এই মানবনগরী আজ মৃত্যুপুরী,
মানবজাতিকে রক্ষা করো।"
খুব কাঁদলাম ।শূন্য ভিক্ষা পাত্র ছুঁড়ে ফেলে দিলাম।মৃত্যুপুরীর বন্ধ দরজায় দরজায়
করাঘাত করতে করতে দৌড়তে লাগলাম।আমি পথভ্রষ্ট ভিক্ষুক।ভিক্ষার আশায় ঘুরতে ঘুরতে এই মৃত্যুপুরীতে এসেছিলাম।
মানবজাতিকে রক্ষা করতে ছুটে চলেছি নতুন ভোরের চেনা পথের খোঁজে।।
0 মন্তব্যসমূহ