🖋কৃষ্ণ ধন শীল
পাষাণ,নামেই সে পাষাণ-
যার লোনাশ্রু ঝরে ঝর্ণা হাসে,
ঝলমলে উপল দল ভাসে,
ধ্বনিতে শকুন্ত দল গায় গান।
হ্যাঁ, সে তো সত্যিই পাষাণ-
ধরনী যার শোভে কাঁধে,
বারি ধারা যে পলকে বাঁধে,
শাখিতে পতত্রী দল ধরে তান।
ভাগ্য দোষে চূর্ণ-বিচূর্ণ সে,
তবু গড়ে তুলে বালি-মাটি,
ফাঁপা নয় যেন সোনা খাঁটি,
নিষ্প্রাণ উদাহরণ হয় নিমেষে।
মূর্তি গড়ে তুলে কষ্টি পাথরে,
দেব-দেবী কিংবা স্মৃতির,
ঘর-বাড়ি অট্টালিকা সমৃদ্ধির,
বিলিয়ে নিজেকে অকাতরে।
পরিবর্তিত হয়ে আবহবিকারে,
করে সর্ব কল্যাণ,
যদিও নিথর নিষ্প্রাণ,
অবনীর তিন তল গড়ে।
তাই তো সে পাষাণ,
তাকে আঘাত করে মুনাফা লুটে,
সর্ব শ্রমিক-মালিক জুটে,
অসহ্য যে তার বড়ো বেমানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন