সন্তান মাকে প্রশ্ন করে ঐ বাড়ীটা কার মা ?
মা বললেন এটা বাড়ী নয় বিদ্যা শালা।এখানে হয়
লেখা পড়া খেলা ব ই খাতা কলমে। এ বাড়ির ওপর নীচ ঘর বারান্দা বাগানে সাজানো আছে পড়ার বিষয়। ই্্লিশ এ পাশ্চাত্য হাওয়া বাংলায় জীবন প্রকৃতি সংস্কৃতে প্রাচীন ভৃষণ হিন্দীতে কোলাকোলি। ভূগোলের আঁতুর ঘর ইতিহাস এর ঘৌড়দৌড় বিজ্ঞান নাড়ী নক্ষত্র সমাজ বিদ্যার কর্ম শালা অ্্কের দাবা খেলা সাহিত্যে ফুটে ফুলকলি।
বাবা বললেন মহাকাশ ছেড়ে নেমে আসেন চন্দ্র সূর্য তারা নক্ষত্র পরীক্ষার খাতায়।বছর শেষে হয় মাপজোপ কে বেশি লিখলো । জীবনের প্রতি পদ প্রতিপল কিভাবে জেতা যায় লাভ ক্ষতির পাঠ।
সন্তান বললো আমি ও খেলতে চাই লেখাপড়া খেলা হাতে কলমে।
মা বললেন অবশ্যই খেলবে শিক্ষক দের সাথে।পাঠ শেষে দেবে গুরু দক্ষিণা দশ এ প্রথম হয়ে।
শিক্ষক যা দেখলেন শিক্ষার্থীর জানবার ক্ষুধা।ব ই খাতা কলমে দুর্দান্ত খেলা। শিক্ষা থীর জানবার নেশা তৈরী করে প্রশ্নের পর প্রশ্ন।যেন চলন্ত বিশ্বকোষ। প্রকৃতি মাঠঘাট নদীর উচ্ছলতা ভূগোলের এ মাঠ ও মাঠ সমুদ্রের জোয়ার ভাটা অ্্কের বাজি মহাকাশে বুড়ী ছোঁওয়া ইতিহাসের মাটি খোঁড়া। পিছিয়ে নেই ধর্ম তর্ক অর্থ আইন সামাজিক আলোড়নএমন কি রাজনীতি ও।
শিক্ষকরা পিঠ চাপড়ে বলে বাহ।তোকে দেখে আমাদের মনে জেগেছে বিশ্বকে জানবার ক্ষুধা।এমন ছাত্রের শিক্ষক ,যে গর্বে ফুলে বুক।
বাবা দেখলেন সন্তান শুকিয়ে গেছে লেখাপড়া শেখার কঠিনতম কলায়।রাতদিন দিনরাত এ শিক্ষাথীরকাছে। খাবার টেবিল এ অ্্ক বিছানায় বিজ্ঞান স্নান ঘরে ভূগোল দোলনায় ইতিহাস ঘুম ঘোরে ই্্লিশ স্বপ্ন ঘোরে বা্্লা রাজনীতি অর্থনীতি সমাজনীতি সু সমন্বয় এর সমন্বয়। স্বাস্থ্য সচেতন পরিবেশ বান্ধব।
বাবা বললেন আশির্বাদ করি তুই বিদ্বান হ দিগ্বিজয়ী হবি হবি আদর্শবান।
এমন করে কাটে দশ বছর । লেখাপড়া শেখার কঠিনতয় কলায় সন্তান আঁকে জীবনের স্বপ্নগুলো
। একদিন আসে মায়ের স্বপ্ন পূরণ এর মূহুর্ত। সন্তান এর উজ্বল মুখে মা দেখেন মধ্যাহ্নের সূর্য।
দশ এ সে প্রথম।
মা বললেন সোনা ছেলে।হীরা মাণিক আমার।
সন্তান বললো বড়ো ক্লান্ত আমি। একটুখানি ঘুমাতে দাও তোমার কোলে।
বিদ্যালয় বাড়িতে আজ মহারতির বাজনা। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা খেলছেন দোল। বাড়ির ইট কাঠ ক্্কিট এ সাজো সাজো রব। শিক্ষক দের হর্ষ রোল সহপাঠী দের কোলাহল সন্তান মুখ লুকায় বাবার আড়ালে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন