১৯৫২সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী
রক্তে লেখা দুরন্ত বিকেল
আগুনের রক্ত জবা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা একুশের দলিল
একুশের সোনালী মাঠ
একুশের মহা সমুদ্র
পথঘাট পল্লী প্রান্তরে শুধুই বাজে
একুশ বাঁশির সুর ।
জব্বার বরকত রফিক সালাম
তাঁরা শুধু বাংলাদেশের শহীদ নেই
একুশ আর একুশের স্থানে নেই ।
একুশের রৌদ্র তরঙ্গ বিশ্বের প্রতিটি ঘরে
আগুন ছড়ায় ফাগুন বনে
শিল্পে সাহিত্যে
মানবতার রক্ত বীজে,
সব পাখি ঘরে ফিরে
সব নদী সমুদ্রে
সব সমুদ্র একই ভাষায় কথা বলে
একই রঙে হাসে
দিন রাত্রির প্রেমের মতো ।
১৯শে মে শিলচর এগারো শহীদ লাশও
সূর্যালোকের মতো দিগন্তরেখা নেই
এখন আর দাঁড়িয়ে থাকার সময় নেই
একুশ আর একুশের স্থানে নেই।
একুশ থেকে ফোটে ওঠে নদী
নদীতে নারীর মতো জল
একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধ
মার্চের সবুজ ইতিহাস বিজয় দিবসের রক্ত তিলক
লাল গোলাপের দু চোখ
নতুন করে আঁকা হয় বর্ণমালার মানচিত্র
সুঠাম শরীর ।
এভাবে একুশের কথা মনে হলেই জেগে ওঠি
জ্বলে ওঠি
রাত্রির আঁধার
এখন একুশের আর আলেদা কোন দেশ নেই
আলেদা কোন প্রতিকৃতি নেই
একুশ আর একুশে নেই
একুশ আর একুশে নেই ।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন