বাবা আমায় দূর্গা বলেই ডাকে। বাবা বলে আমি তার দূর্গা মা। বাবা যখন রোজ প্রভাতে পূজোতে বসে, বারে বারে আমার মুখের দিকে তাকায়।
বাবা তুমি তো ঠাকুরের পূজো করছো। আমি কি ঠাকুর নাকি যে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো।
বাবা হাঁসলো আর বললো তোকে নিয়েই আমার সব রে মা। তুই যে আমার দূর্গা।
বাবা আমি শিল্পী হবো। মথুর জেঠুর মতো প্রতিমা গড়বো। আর আমার ঠাকুরের পূজারী হবে তুমি।
তাই, তুই প্রতিমা গড়বি! বেশ তাহলে এবার পূজোই আমার দূর্গা মা দূগ্গার প্রতিমা গড়বে।
পরের দিন সকালবেলা বাবা মাটি এনে দিল। বাইরে থেকে আওয়াজ এলো - দূর্গা.....। আসছি বাবা। একি এতটুকু মাটি এনেছো? এতে কী করে হবে বাবা? ওরে মা হবে হবে সব হবে। তুই চল আমার সঙ্গে।
আজ অষ্টমী। আমার নিজের হাতে গড়া প্রতিমার পূজোতে বসেছে বাবা। আমাদের ছোট্ট প্রতিমার দর্শন করতে একজনও এলো না।
বাবা আমার প্রতিমা দেখতে কেউ এলো না কেন?
তুই ব্যাস্ত হচ্ছিস কেন মা। আসবে ঠিক আসবে। চল মা চল সেই সকাল থেকে কিচছুটি মুখে দিস নাই। আই মা আই, খাবি আই। ওরে বোকা মেয়ে কাঁদছিস কেন? দূর্গা কাঁদে না সোনা। দেখবি ঠিক আসবে সবাই।
ইতিমধ্যেই লাল শাড়ি গায়ে খোলা চুলে আগমন ঘটলো এক নারীর। আর পেছনে তার দুই মেয়ে, ছেলে ও স্বামী।
দূর্গা .... দেখ ওরা এসেছে। ওরা এসেছে রে মা তোর প্রতিমা দেখতে।
তাদের সাথে ধীরে ধীরে অনেক লোকজন আসা শুরু হলো।
মহিলাটির মুখখানা ভারি মিষ্টি। তার চোখে একটা অন্যরকম চমক। তিনি যাওয়ার সময় বলে গেলেন - " দূর্গা ..... এমন গভীরভাবে ভালোবেসে প্রতিমা গড়লে স্বয়ং দেবী দূর্গাও আসতে বাধ্য মা"।
---------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন