✍️ চন্দন পাল
সমতলে মাটি খুঁড়ে,
সোজা দাঁড়িয়ে যায় ডানা ছাটা বরাক ।
ত্রিপালের চাদর গায়ে, বরাক সেজে উঠে
দশভূজা ছাবরায়।
সম্মুখে কদলীবৃক্ষ, থার্মোকল আর শালু,
রং মেখে উঠে যায় চূড়ায়, সজ্জিত মন্ডপ।
দুলে উঠে শিউলি, শালুক আর কাশের পাড়া।
কতো! আনন্দ শ্রম, ফুটে উঠে গ্রাম-শহরের চোখেমুখে, অবয়বে।
আগমনী বার্তায় বিহ্বল কারিগর , আলো আর বাদ্যশিল্পী।
মালা বেলুন বাঁশ শিল্পীর সন্তান গুলিকে দেখো,
সহযোগিতায় কী ব্যস্ত তাদের হাত আর বিনিদ্র মুখের হাসি।
এত আলো তবুও,
তোমার সন্তানেরা মাঝে মাঝে চিৎকার করে উঠে অন্ধকার গলিতে।
দেখো মা, ছবি সঙ্গীত আর সাময়িকী শিল্পী সহ,
পরিবহন, ফুচকা, মাংস-ভাতভাজা শিল্পীরা,
কী ব্যস্ত তাদের অংকে আর মিস্টি আশায়।
এত সাধন তবুও,
তোমার স্বচ্ছ শিল্পীর হিসাব মেলে না,
দেয়া-নেয়ার হাটে।
প্রতিবারই মহালয়া আর বিসর্জন দেখি,
দেখিনি অসুরবোধ নিধন আর সুবোধ জাগানে,
শাণিত তরবারির নিশ্চিত ঝলকানি।
তুমি, এসো মা বছরবছর,
একেকটা নিত্যনতুন কুবোধ নাশে, এ ভূস্বর্গে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন