✍️ দেবানন্দ দে
মিত্র পক্ষের কাছে শত্রু পক্ষ নিধন হলে
বুঝিতে পারিলাম মরিয়াও মরি নাই।
বারুদের গন্ধে যুদ্ধ শেষ হলো, মনিপুরের
রাজার বাড়িতে তৎক্ষনাত ফিরিতে হইবে,
তখনো সন্ধ্যা নামিতে দেড় প্রহর বাকী ছিল।
নারী, কাঞ্চন ব্যাতিরেখে বুঝেছিলাম সুরা অতিলোভনীয়, পুরুষের অশ্রু ফেলতে নেই,
গৃহে আছে সুখ আর সুখের ফসল।
সহসাই বাতাসের মৃদু মৃদু কম্পনে,নূপুরের
প্রারব্ধ শিঞ্জনে রাতুল পায়ের প্রক্ষালন দেখে
মোহবিষ্ট হয়ে পরেছি। উচ্ছ্বাস ভরা কেশদামের
গুঞ্জ গুঞ্জ ফুলের সুবাস মোহাতীত করলেও তার অজানুলম্বিত হস্তদ্বয়ের আলিঙ্গনে সমস্ত যন্ত্রণা
রুদ্ধ হয়ে গেছে।
ঋজু শরীরের উষ্ণ গ্রীবায় নারীত্ব এখন বন্য।
উন্নত বক্ষ কচুলি, ভারী নিতম্বে কটিদেশ
নৃত্যের ভঙ্গিমায় মৃদঙ্গের অপেক্ষায়
মৌন চিত্রঙ্গদা নৃত্যের শরীরে মোহ ছড়াইলেও,
কৃষ্ণ হরিণের চক্ষুজোড়া স্থির হইয়া
আসার জন্য অপেক্ষা করিতেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন