✍️ কানু বনিক
শরতের বুকে মাথা রেখে শিউলিরা যখন বনের গভীরে সুগন্ধ ছড়ায়, এক নিঃশ্বাসে মনটা আমার ঈশ্বরীয় হয়ে যায়।
তুমি উঠোনের এক প্রান্তে দাড়িয়ে আছো, মনে হয় আকাশটা আজ সহস্র আলোকবর্ষের কিনারা ছুঁয়েছে।
যুবতী চাঁদের আলোয় যতটা তোমায় দেখি, তুমি ততটাই অনিন্দিতা হয়ে যাও।
বেলাশেষে আলোরাশি যতটা লঘু, আসলে ততটা লঘু নয়, আমি তার স্রোতে বসে অনেকদূর এগিয়ে যেতে যেতে একটা মহতী সত্তা খুঁজে পাই।
সাঁঝের বেলায় এক বিন্দু জল বুকে নিয়ে দীপ্তনুর নির্মেধ আলোতে তোমার সুবাসিত রঞ্ছনসুধা পান করতে চেয়েছিলাম।
তোমার অশ্রু ধারা যখন সুউচ্চ পাহাড়ের পরিশ্রুত ঝর্ণার ধারার মতো পতিত হয়, আমি সেই ধারায় স্নান করে পরিশুদ্ধ হয়ে যাই।
তোমায় ছুঁয়ে পাই একটু পূর্ণতা , আমি অলকা স্নানে আকাশের বুকে নাম লিখে রাখি।
এ নাম কোনো এক প্রতীপদর্শিনীর ললাটে লেখা ছিল, যে নামে আছে একটু একটু হিমেল ছোঁয়া আর অপার মুগ্ধতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন