জাগো যৌবন


                             ✍️ শ্রীকৃষ্ণ অধিকারী
জাগো বীর। 
মন মন্দির তব উন্মুক্ত নীর।
নব যৌবন প্লাবনে ভাষাও ঝঞ্জা,দরিত্রী করো শান্ত।
প্রবল ঝড়ে উড়াও সব গোলকের সব বিভ্রান্ত।
জগো বীর।
ইসপাত হেন স্থিরধির। 
জগৎ পিতার সন্তানের দুখ করো অবধান।
সমস্ত নিয়ম ভাংগী চল চপলা চমকে চমকি ঠমকি
গিরি দুর্গম করো খান খান। 
জাগো বীর।
চির উচ্চ তব শির।
সহস্র বাসুকী গর্জে যেন, ভীম শব্দ তায়।
গভির ধরনি গর্ভে গাঢ়,
বন্ধিয়া পৈঢ় তব বিশববেদাত্রির নীলাভ ধবজ কায়।
ভীবিষিকা ছড়াও তুমি বিভীষন রনে।
ছাড়াইয়া গ্রহতারা, সর্বশক্তিমানকে   করি সর্বহারা
শান্ত হবে এিমন্ডল বিজয়াপনে।
তব ললাটে হাসে ত্রিকাল ভৈরব
মধুচন্দ্রিমার অরুন হাস।
উন্মুক্ত ঘনবাদল কেশে, অরন্যের নিস্পন্দন চষে
শ্যাম রুপ মাধুরি কর বর্ষন। 
যোগী যেন যোগ করে লভিতে যোগীরাজে
যোগীরে দাও দেখা তুমি অপরুপ সাজে।
জাগো বীর।
তুমি চির যৌবন, শাশন ত্রাসন ভেদি উষ্ণ অধির।
গীরি হিমাদ্রী লংগীয়া, গগন মন্ডল ছেদিয়া 
নক্ষএেরে  মালা করি,
চন্দ্র, সূর্যরে করিবে আলোর তরি।
এতে নাহি ক্ষান্ত।
খোদার আসন টলাইয়া, উন্মাদ নটবরে
তানুম-তা-না তান ধরে
কাচা সরাপরে রাখিবে ভারসাম্য।
তখই তুমি হবে অনন্য।
লুটিয়া গুপ্ত ভান্ড, করিয়া লন্ড ভন্ড
বিলাইবে আর্তপরে।
তদপরে নিভিবে আশা, ঘন কুয়াশা ছাড়িবে নিজ রথ।
থামায়ে বিজয় রথে,ফিরায়ে যম পথে
তবে শোষক বুঝিবে শোষন।
জাগো বীর।
চির উন্নত তব শির।
যবে থামিবে উৎপীড়িতের ক্রদন, বিদ্রহী রন ক্লান্ত 
তুমি সে দিন হবে শান্ত। 
ভোলক,গোলক,দোলক চাওনি
যবে যাবে শোক- তাপ -হানাহানি
তবেই সেদিন তুমি বিজয়ী,চির বিদ্রহী,চির যৌবন।
ঘন যামীনি পরে উষাক্ষনে উদয়ী
নব তপোধন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন