পুণ্যস্নান


                 ✍️মায়া রানী মজুমদার

পৌষ সংক্রান্তির পূণ্যলগ্নে নদীর তীরে, 
পূণ্যার্থীদের সদলবলে ভিড় হয় নীরে।
পূর্বপুরুষদের সদ্গতি লাভে করে  তর্পণ,
বিনিময়ে ব্রাহ্মণদের করে দক্ষিণা অর্পণ।
যথাসাধ্য চেষ্টায় ব্রাহ্মণদের করে দান, 
পাপ ক্ষয়ার্থে সবাই ভোরে করে পূণ্যস্নান।
দক্ষিণায়ণ থেকেই সূর্যের উত্তরায়ণে আগমন, 
ধনুরাশি থেকে সূর্যের মকর রাশিতে গমণ।
মকরসংক্রান্তি বলেও দিনটিকে করে স্মরণ, 
দান দক্ষিণা প্রদানেতে হয় পূণ্য সঞ্চয়ণ। 
উত্তরায়ণে মৃত্যুতে পুণ্য, ভীষ্মের হল স্মরণ, 
পিতামহ ভীষ্মের শরশয্যায় ইচ্ছামৃত্যু বরণ।
পূণ্যার্থীরা পূণ্যের আশায় ভীড়ে,নদীর তীরে, 
পুত্রার্থীরা পায় পুত্রধন, স্নান করলে নীরে। 
মা গঙ্গা এই দিনেই মিশেছিলেন সাগরে, 
পূণ্যলাভের আশায় তাই সবাই চলে ধীরে। 
পূণ্যস্নানে যায় পূণ্য লাভের আশায় সবাই, 
সবাই মিলে আস তাই, পূণ্য স্নানেই যাই।
এইদিনেই হয় নানা পিঠে পুলির আয়োজন, 
সবাই মিলে বসে আনন্দেতে করে ভোজন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন